দেশ বিদেশ
ঢাবি’র ৭ বুদ্ধিজীবী শিক্ষককে সম্মাননা প্রদান
৪৭ বছরেও গেজেট না হওয়ায় আক্ষেপ পরিবারের
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
২৫ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (ডুআ) বিশ্ববিদ্যালয়টির সাত বুদ্ধিজীবী শিক্ষককে সম্মাননা দিয়েছে। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- অধ্যাপক ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব (জি সি দেব), অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক আবু নাসের মুহাম্মদ মুনীরউজ্জামান, অধ্যাপক আবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা ও অধ্যাপক এস এম এ রাশিদুল হাসান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা শহীদ শিক্ষকদের পরিবারের সদস্যদের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেন। গতকাল বিকাল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে তাদের এ সম্মাননা দেয়া হয়। গণহত্যা দিবস ২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অ্যালামনাইয়ের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, সাবেক ভিসি অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক তপন চৌধুরী, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কে এম বাবর আশরাফুল হক প্রমুখ। এদিকে অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রাপ্ত সাত বুদ্ধিজীবী ৪৭ বছরেও গেজেটভুক্ত না হওয়ায় অনুষ্ঠানে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। তারা সাত বুদ্ধিজীবীর জীবন, কর্ম ও গবেষণা নিয়ে চর্চার ক্ষেত্র বাড়ানোর আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্য ড. তৌফিক-ই-ইলাহীও বলেন, এই বিখ্যাত সাত শহীদ বুদ্ধিজীবী গেজেটভুক্ত না হওয়ায় অবাক হয়েছি।
তিনি বলেন, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন যদি আমাকে সহযোগিতা করে, তাহলে আমি আমার ক্ষুদ্র শক্তি দিয়ে গেজেট প্রকাশের জন্য কাজ করবো। তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, আমরা আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছি। এভাবে বিভিন্ন অর্জনের মাধ্যমে আমরা শহীদদের ত্যাগের কিছুটা মূল্য দিতে পারি। তাদের আত্মা শান্তি পাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা এই বুদ্ধিজীবীদের জন্য গৌরাবান্বিত বোধ করি। সেই সময় পাকিস্তানিরা ঢাবি ক্লাবেও নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। এর কারণ সেখানে শিক্ষকরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করতো। পাকিস্তানিরা সেটা থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। তবুও এতদিন পরে তাদের সম্মাননা জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।
প্রধান অতিথির বক্তব্য ড. তৌফিক-ই-ইলাহীও বলেন, এই বিখ্যাত সাত শহীদ বুদ্ধিজীবী গেজেটভুক্ত না হওয়ায় অবাক হয়েছি।
তিনি বলেন, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন যদি আমাকে সহযোগিতা করে, তাহলে আমি আমার ক্ষুদ্র শক্তি দিয়ে গেজেট প্রকাশের জন্য কাজ করবো। তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, আমরা আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছি। এভাবে বিভিন্ন অর্জনের মাধ্যমে আমরা শহীদদের ত্যাগের কিছুটা মূল্য দিতে পারি। তাদের আত্মা শান্তি পাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা এই বুদ্ধিজীবীদের জন্য গৌরাবান্বিত বোধ করি। সেই সময় পাকিস্তানিরা ঢাবি ক্লাবেও নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। এর কারণ সেখানে শিক্ষকরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করতো। পাকিস্তানিরা সেটা থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। তবুও এতদিন পরে তাদের সম্মাননা জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।