দেশ বিদেশ
ফ্রান্সে হামলাকারী আগেই পুলিশের নজরদারিতে ছিল
মানবজমিন ডেস্ক
২৫ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ৯:৫১ পূর্বাহ্ন
ফ্রান্সে সুপার মার্কেটে সন্ত্রাসী হামলাকারী ২৫ বছর বয়সী মরক্কো বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক রেদুয়ান লাকদিম। তার বিষয়ে আগে থেকেই ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানতো। সে ইসলামপন্থি উগ্রবাদের দিকে ঝুঁকে যেতে পারে এমন আশঙ্কা ছিল ফরাসি গোয়েন্দাদের। ফলে তারা তার ওপর নজর রাখতো। এ ছাড়া রেদুয়ান অল্প সময় মাদকের ডিলারও ছিল। তার ছোটখাট কিছু অপরাধের ইতিহাস আছে। এ সবই জানতো পুলিশ। সেই রেদুয়ানই অস্ত্র হাতে শুক্রবার দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের একটি সুপার মার্কেটে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে দুই জনকে। এরপর পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য গার্ডিয়ান। এতে আরো বলা হয়েছে, ফ্রান্সের কারকাসোনে’তে বসবাস করতো রেদুয়ান। ২০১৪ সালের গ্রীষ্ম থেকে তাকে উগ্রবাদে ঝুঁকে যাওয়ার আশঙ্কায় ওয়াচলিস্টে রাখা হয়। ফ্রান্সের সন্ত্রাস বিরোধী শীর্ষ প্রসিকিউটর ফ্রাঁসোয়া মোলিন বলেছেন, সে উগ্রবাদী হয়ে উঠেছিল। তা ছাড়া সালাফি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। এজন্য তাকে ওই ওয়াচলিস্টে রাখা হয়েছিল। নিষিদ্ধ অস্ত্র বহনের অভিযোগে তাকে ২০১১ সালে অভিযুক্ত করা হয়।
এরপর মাদক ব্যবহার ও আদালতের নির্দেশ অমান্য করার জন্য ২০১৫ সালে অভিযুক্ত করা হয়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তার বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত করেছে।
তবে সে যে এমন সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে এমন কোনো ইঙ্গিত ছিল না তাতে। তবে শুক্রবার ত্রেবসের কাছে সুপার ইউ সুপার মার্কেটে প্রবেশের সময় রেদুয়ান ইসলামিক স্লোগান দেয়। ঘোষণা করে, সিরিয়ানদের জন্য সে মরতে প্রস্তুত আছে। ওই মার্কেটে একজন খদ্দের ও একজন কর্মচারীকে হত্যা করার আগে সে ‘ভাইদের’ মুক্তি দাবি করে। এরপরই শুক্রবার রাতভর বড় ধরনের পুলিশ অপারেশন পরিচালনা করা হয় কারকাসোনে এলাকায় হাউজিং এস্টেট ওকানামে। ওই এলাকার একজন বাসিন্দা বলেছেন, তাদের এলাকা ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ও মুখোশ পরা পুলিশ কর্মকর্তারা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাচ্ছে। এতে তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। একজন অধিবাসী বলেছেন, ওই এস্টেট সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মদ ব্যবসার স্থান হয়ে উঠেছে। পুলিশ অভিযান চালানোর সময় গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন নারী। ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেন, তিনি ১৪ বছর বয়সের সময় ওজানামে গিয়েছেন। এখন তার মা’কে বের করে নিচ্ছেন। কারণ, তার দু’টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। তবে অন্যরা বলেছেন, অন্য হাউজিং এস্টেটগুলোর চেয়ে ওজানামের অবস্থা ভালো। এখানে উগ্রবাদের উত্থান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
এরপর মাদক ব্যবহার ও আদালতের নির্দেশ অমান্য করার জন্য ২০১৫ সালে অভিযুক্ত করা হয়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তার বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত করেছে।
তবে সে যে এমন সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে এমন কোনো ইঙ্গিত ছিল না তাতে। তবে শুক্রবার ত্রেবসের কাছে সুপার ইউ সুপার মার্কেটে প্রবেশের সময় রেদুয়ান ইসলামিক স্লোগান দেয়। ঘোষণা করে, সিরিয়ানদের জন্য সে মরতে প্রস্তুত আছে। ওই মার্কেটে একজন খদ্দের ও একজন কর্মচারীকে হত্যা করার আগে সে ‘ভাইদের’ মুক্তি দাবি করে। এরপরই শুক্রবার রাতভর বড় ধরনের পুলিশ অপারেশন পরিচালনা করা হয় কারকাসোনে এলাকায় হাউজিং এস্টেট ওকানামে। ওই এলাকার একজন বাসিন্দা বলেছেন, তাদের এলাকা ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ও মুখোশ পরা পুলিশ কর্মকর্তারা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাচ্ছে। এতে তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। একজন অধিবাসী বলেছেন, ওই এস্টেট সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মদ ব্যবসার স্থান হয়ে উঠেছে। পুলিশ অভিযান চালানোর সময় গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন নারী। ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেন, তিনি ১৪ বছর বয়সের সময় ওজানামে গিয়েছেন। এখন তার মা’কে বের করে নিচ্ছেন। কারণ, তার দু’টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। তবে অন্যরা বলেছেন, অন্য হাউজিং এস্টেটগুলোর চেয়ে ওজানামের অবস্থা ভালো। এখানে উগ্রবাদের উত্থান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।