বাংলারজমিন
শীতলক্ষ্যায় নৌকাডুবি, নিখোঁজ ৫
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৫ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
রূপগঞ্জে গত শুক্রবার রাতে উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে মাঝিসহ নৌকার ১৫ আরোহীর মাঝে এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে গত ২০ ঘণ্টা যাবত নদীতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের। রাত ৯টার দিকে উপজেলার তারাব পৌরসভার দক্ষিণ রূপসী এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুর রহমান জানান, রাত সোয়া ৮টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর ডেমরা ঘাট থেকে রাজধানীর কদমতলী, শ্যামপুর ও ধোলাইপাড় এলাকার ১৪ বন্ধু মিলে একটি নৌকা ভাড়া করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভ্রমণ করার জন্য। রাত ৯টার দিকে নৌকাটি শীতলক্ষ্যা নদীর তারাব পৌরসভার দক্ষিণ রূপসী এলাকায় এলে একটি বালুবাহী বাল্কহেড অন্ধকারে যাত্রীবাহী নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মুহূর্তে নৌকাটি নদীতে তলিয়ে যায়। এ সময় নৌকায় থাকা মাঝিসহ ১৫ জনের মধ্যে ১০ জন সাঁতারে নদীর তীরে উঠতে সক্ষম হন। বাকিরা- রাজধানীর পূর্ব ধোলাইপাড় এলাকার রবিউল আউয়ালের ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী শরীফ আহমেদ, ধোলাইপাড় এলাকায় নাসিরউদ্দিনের ছেলে জুতা ব্যবসায়ী তুষার আহমেদ, একই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম রিপন বাবু, কদমতলী থানার দক্ষিণ দনিয়া এলাকার আজিজুল খানের ছেলে ব্যবসায়ী লতিফ খান এবং রূপগঞ্জ থানার তারাব পৌরসভার মাসাবো এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাস্টমস্ কর্মকর্তা জসিম খান নদীতে তলিয়ে যান। খবর পেয়ে রাতেই ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল উদ্ধার কাজ শুরু করে। শনিবার ভোর থেকে দুর্ঘটনা খবর পেয়ে নদীর উভয় পাড়ে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান। নিখোঁজ হওয়া পরিবারের লোকজনের কান্নায় নদীর পাড় ভারি হয়ে ওঠে। শনিবার বেলা ১০টা থেকে ডেমরা ফায়ার সার্ভিস ও ফায়ার সার্ভিস হেডকোয়ার্টারের মোট ১২ জন ডুবুরি এবং স্থানীয় এলাবাসীদের নিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখনো নিখোঁজ হওয়া কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাল্কহেডটি সনাক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অপরদিকে উদ্ধার অভিযানও অব্যাহত রয়েছে। নদীতে স্রোত ও পানি ময়লা থাকার কারণে নিখোঁজ ব্যক্তিরা দূরবর্তীস্থানে চলে গেছে বলে ডুবুরিদের ধারণা। আজকের পর আরো বড় এলাকাজুড়ে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে। এছাড়া প্রচলিত নিয়মে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।