বাংলারজমিন
পিরোজপুরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা
পিরোজপুর প্রতিনিধি
২৫ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর সদর উপজেলার শারিকতলা-ডুমরিতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়াডের্র সদস্য মিজানুর রহমান মিজান মল্লিকের বিরুদ্ধে বিয়ের নাটক সাজিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ধর্ষণের শিকার ঐ কলেজছাত্রী নিজে বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় এ মামলা করেন। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মিজান মল্লিক (৩০) সদর উপজেলার ৬ নং শারিকতলা-ডুমরিতলা ইউনিয়ন পশ্চিম ডুমরিতলা গ্রামের সাহেব আলী মল্লিকের ছেলে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি সোহ্রাওয়ার্দী কলেজের ডিগ্রি পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে মিজান মল্লিক এর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মিজান বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ১লা জানুয়ারি কলেজছাত্রীর সঙ্গে জরুরি কথা আছে বলে মোবাইলে শহরে আসতে বলে। এ সময় মিজান মল্লিক তাকে নিয়ে শহরের বলাকা ক্লাব সড়কে একটি বাসায় নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু প্রথমে কলেজছাত্রী রাজি না হলেও পরে পরিস্থিতির কারণে সে বিয়েতে রাজি হন। এরপর শারিকতলা এলাকার কাজী কালামের মাধ্যমে ও মিজান মল্লিকের বন্ধু সাইফের সাক্ষীতে একটি মিথ্যা বিয়ের কাবিননামায় উক্ত কলেজছাত্রীর স্বাক্ষর নিয়ে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়েছে বলে জানায়। এরপর মিজান কলেজছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কলেজছাত্রীর বাড়িতে যায় এবং ওই ছাত্রীর মায়ের কাছে তাদের বিয়ে হয়েছে বলে জানায়। সেই রাত থেকেই তারা দু’জনে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে মেলামেশা করে আসছিল।
তবে কয়েকদিন যেতে না যেতেই মিজানের বিভিন্ন আচরণে তাদের সন্দেহ হলে ছাত্রীর পরিবার থেকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে, মিজান বিবাহিত। তাদের কাছে আগের বিয়ের কথা গোপন রেখে সে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেছে। বিষয়টি ছাত্রী জানতে পেরে মিজান মল্লিকের কাছে স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করলে মিজান মল্লিক তাকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করে।
এরপর ওই ছাত্রী খোঁজ নিয়ে আরো জানতে পারেন যে, মিজান তাকে বিয়ে করার নামে মিথ্যা নাটক করেছে। কাবিননামাটি ছিল ভুয়া। এবং তার সঙ্গে প্রতারণা করে দীর্ঘদিন স্বামী-স্ত্রীর ন্যায় মেলামেশা করেছে। পিরোজপুর সদর থানার ওসি এসএম জিয়াউল হক জানান, ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার মিজান মল্লিককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তবে কয়েকদিন যেতে না যেতেই মিজানের বিভিন্ন আচরণে তাদের সন্দেহ হলে ছাত্রীর পরিবার থেকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে, মিজান বিবাহিত। তাদের কাছে আগের বিয়ের কথা গোপন রেখে সে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেছে। বিষয়টি ছাত্রী জানতে পেরে মিজান মল্লিকের কাছে স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করলে মিজান মল্লিক তাকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করে।
এরপর ওই ছাত্রী খোঁজ নিয়ে আরো জানতে পারেন যে, মিজান তাকে বিয়ে করার নামে মিথ্যা নাটক করেছে। কাবিননামাটি ছিল ভুয়া। এবং তার সঙ্গে প্রতারণা করে দীর্ঘদিন স্বামী-স্ত্রীর ন্যায় মেলামেশা করেছে। পিরোজপুর সদর থানার ওসি এসএম জিয়াউল হক জানান, ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার মিজান মল্লিককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।