দেশ বিদেশ
মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
২৫ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
২৬শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে পুরোপুরি প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। জাতির গৌরব আর অহংকারের এ-দিনটিতে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে নামবে লাখো মানুষের ঢল। তাদের হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদি। দিবসটি উপলক্ষে গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা মাসব্যাপী অক্লান্ত পরিশ্রম করে সৌধ প্রাঙ্গণকে দিয়েছে এক নতুন রূপ। নানা রঙের বাহারী ফুলের চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে স্মৃতিসৌধের সবুজ চত্বর। চত্বরের সিঁড়ি ও নানা স্থাপনায় পড়েছে রঙ-তুলির আচড়। নিরপত্তার জন্য ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, উচ্চমাত্রার সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারিসহ সৌধ এলাকায় থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়। স্মৃতিসৌধে আগত দর্শনার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত এবং এর আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিসহ মোতায়েন থাকবে সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্মৃতিসৌধের প্রস্তুতি এবং বিদেশি ভিআইপিদের আগমন উপলক্ষ্যে ১৮ই মার্চ থেকে ২৫শে মার্চ পর্যন্ত দর্শনার্থীদের স্মৃতিসৌধে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ২৬শে মার্চ মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। দিবসটির প্রথম প্রহরেই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। তাই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদানের জন্য একটি সুসজ্জিত দল তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান জানান, মহান স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ ও বিদেশি কূটনীতিকসহ লাখো মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ জন্য সাভার গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে দীর্ঘ প্রায় এক মাস ধরে ধুয়ে মুছে, রঙতুলির আচড়ে রঙ-বেরঙের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। স্মৃতিসৌধে আগত দর্শনার্থীসহ সবার নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এ ছাড়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এখানকার পুলিশ ও আনসার ক্যাম্পকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থানে রাখা হয়েছে। ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারো মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকাজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সৌধ এলাকায় নিরাপত্তা চৌকি, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার বসানোর পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য আগের চেয়ে ফোর্স আরো বাড়ানো হয়েছে। সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারি বাড়নোসহ নিরাপত্তার স্বার্থে সাভারের আমিন বাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৪৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সাভার মডেল থানায় স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে সাত জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য এগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে। তিনি আরো বলেন, এবার দর্শনার্থীদের শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং শিশু-বৃদ্ধ ও নারীদের জন্য সুপেয় পানির এবং মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারো ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে মহান ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধসহ ১৯৪৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রেক্ষাপট জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
এ ছাড়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এখানকার পুলিশ ও আনসার ক্যাম্পকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থানে রাখা হয়েছে। ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারো মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকাজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সৌধ এলাকায় নিরাপত্তা চৌকি, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার বসানোর পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য আগের চেয়ে ফোর্স আরো বাড়ানো হয়েছে। সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারি বাড়নোসহ নিরাপত্তার স্বার্থে সাভারের আমিন বাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৪৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সাভার মডেল থানায় স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে সাত জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য এগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে। তিনি আরো বলেন, এবার দর্শনার্থীদের শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং শিশু-বৃদ্ধ ও নারীদের জন্য সুপেয় পানির এবং মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারো ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে মহান ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধসহ ১৯৪৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রেক্ষাপট জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।