এক্সক্লুসিভ
কোটা সংস্কার
জনপ্রতিক্রিয়া
২৫ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ৮:০৪ পূর্বাহ্ন
অ্যাডভোকেট আমিন আহমেদ
৫৬ ভাগ কোটা? ভাবা যায়! একটা সভ্য সুশিক্ষিত সমাজে এভাবে মেধার কবর রচনা হতে দেয়া যায় না। মেধাবীরা সুযোগ না পেলে মেধা পাচার হবেই। এতে পিছাবে দেশ, পিছাবে জাতি। আমরা পিছাতে চাইনা, এগিয়ে যেতে চাই দুর্বার গতিতে। তাই কোটা ব্যবস্থার সংস্কার অতীব জরুরি।
কামরুল
কোটা ব্যবস্থা আমার কাছে বিষের মতো। আমি এটাকে চরম ঘৃণা করি। কারণ, এর দ্বারা মেধাবীদের ধ্বংস করা হচ্ছে।
আবুল হাসনাত
কোটা প্রথা সাময়িক বিষয়, কিন্তু আমাদের দেশে মনে হচ্ছে চিরস্থায়ী ব্যবস্থা। যদি সার্বিক বিবেচনায় রাখতে হয় তাহলে সর্বোচ্চ ২৫ ভাগের বেশি নয়।
নূর আলম মামুন
মেধাবী এবং আগামীর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য কোটা একান্ত জরুরি।
মো. আমলাক আলী
কোটা মুক্ত বাংলাদেশ অবশ্যই চাই, সেই সঙ্গে চাই ঘুষ মুক্ত চাকরি।
নাজ
কোটা থাকা উচিত নয়। শুধু মেধাকেই গুরুত্ব দেয়া উচিত। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছুটা কোটা থাকতে পারে, তা কি তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য? তারা কি দেশকে বাঁচানোর জন্য রক্ষা করার জন্য নাকি কোটার জন্য?
ডা. মাজিদ
কোটা পদ্ধতি এখনই বন্ধ করা উচিত।
আবদুল কাদির
এটা দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের বিরোধী।
শফিকুল ইসলাম
কোটার কারণে স্বাধীন দেশে নিজেকে পরাধীন মনে হয়।
কাজী আনিসুর রহমান
কোটা পদ্ধতি আমাদের সকল প্রকার অর্জনকে ধ্বংস করে দেয়।
সামিরুল ইসলাম
প্রথমত মেধাবী প্রার্থীদের চরম ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যেটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। মেধাবীদের অবমূল্যায়ন করে দেশকে এগিয়ে নেয়া একেবারেই অসম্ভব। দ্বিতীয়ত কোটা পদ্ধতি আমাদের মহান সংবিধানের সঙ্গে শতভাগ সাংঘর্ষিক যেটা আমরা যুগের পর যুগ টানতে পারি না। তবে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী শুধুমাত্র জেলা কোটা রাখা যেতে পারে।
মমতাজ
কোটা নয় মেধাভিত্তিক চাই।
রাকিব ইমন
কোটা প্রথার কারণে লাখ লাখ মেধাবী সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়ে বেকার ও মানবেতর জীবন যাপন করেছে। আমি কোটাপ্রথা বাতিল চাই।
মো. আশিকুর রহমান
কোটা রহিত হোক এটা আমার মত।
মোহাম্মদ ইউসুফ
বৈষম্য প্রশমিত করার প্রত্যয় নিয়ে কোটা পদ্ধতি চালু হলেও এখন ‘কোটা’ পদ্ধতিই বৈষম্যের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে! যে রাষ্ট্র প্রতিবন্ধীদের দায়িত্ব নিতে পারে কিন্তু মেধাবীদের দায়িত্ব নিতে পারে না সেই দেশে মেধাবীর জন্মই অবান্তর নয় কি? বাংলাদেশ যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিনেও মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ কখনোই শোধ হবার নয়। তাই ওনাদের সন্তানদের কোটা বলবৎ থাকুক কিন্তু নাতি-নাতনিদের নয়। প্রয়োজনে ওনাদেরকে রাষ্টীয় কোষাগার থেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হোক। তবুও মেধার জায়গায় মোটা মাথা কাম্য নয়।
এমএস এইচ চৌধুরী
কোটা পদ্ধতি দ্রুত সংস্কার করে যোগ্য ব্যক্তিকে যথাযথ স্থানে বসানো উচিত। যোগ্য ব্যক্তির পরিচালনা দ্বারাই একটা ভালো জেনারেশন তৈরি হতে পারে। কোটা বাদ দিয়ে যদি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয় তাহলে আমাদের দেশের দ্রুত উন্নয়ন হবে।
জুয়েল রানা
আমি কোটা পদ্ধতিকে চরমভাবে ঘৃণা করি। কোটা সংস্কারের পাশাপাশি আরো বলতে চাই, চাকরির ক্ষেত্রে মামা, খালু, দুলাভাই এমনকি দালাল ঘুষখোরদের হাত থেকে যোগ্য মেধাবীদের রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করছি।
এসকে লোকমান হোসেন
বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারের দেশের শিক্ষার সঙ্গে সব কিছুর উন্নয়ন হচ্ছে। একজন ব্যক্তির লেখাপড়া শেষ করতে কমপক্ষে ৩০ বছর সময় লাগে। তার জন্য বাবা মা’র যে কতটুক শ্রম দিতে হয় তা লেখাপড়া যারা করান তারা ভালোভাবেই জানেন। তার পর যদি সেই সন্তানের চাকরি না হয়। তা হলে সেই সন্তানের করার আর কী আছে। তখনই তারা খারাপ পথে চলে যায়। আর যদি লেখাপড়া শেষে চাকরি হয়ে যায় তা হলে তার কোনো খারাপ চিন্তা মাথায় থাকে না। তাই আমার অনুরোধ বর্তমান সরকার তাদের চিন্তা করে সবাইর জন্য চাকরির ব্যবস্থা করবেন।
আনোয়ার আহমেদ
কোটা ব্যবস্থা উঠিয়ে দিয়ে মেধার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ দেয়া উচিত! এভাবে চললে মেধা ধ্বংস হয়ে যাবে।
নাজমুল হাসান
মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা অবশ্যই থাকা উচিত, কিন্তু সেটা শুধুমাত্র তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীর জন্য। বিসিএস শুধু মেধাবীদের জন্য। এখানে কোনো ছাড় দেয় যাবে না।
সাফায়েত
বর্তমানে কোনো ভাবেই কোটাকে গ্রহণ করা সম্ভব না, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আমরা কেন কোটার কারণে বঞ্চিত হব।
আকরাম হোসাইন
আমার মনে হয় যেহেতু প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানেই পর্যাপ্ত সংখ্যক লোকবলের অভাব। তাই কোটার সঙ্গে সঙ্গে মেধাভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার দ্বিগুণ পরিমাণ লোকবল নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনা করলে হয়তো কাজকর্ম সঠিকভাবে সম্পাদিত হবে। কারণ প্রায়ই শোনা যায় লোকবলের কারণে কার্য সম্পাদন যথাসময়ে সম্পন্ন হয় না। তাই প্রথমেই বিবেচনা করা উচিত প্রতিষ্ঠানের কার্যপরিধি এবং পরে বিবেচনা করা উচিত কি পরিমাণ লোকবলের দরকার। অতঃপর কোনরকম গড়িমসি না করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা দূর করে একটি আধুনিক ও দ্রুত সেবাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। যা কিনা জনগণ তথা দেশের কল্যাণ বয়ে আনবে।
টিএম সোহাগ
আমার কাছে যৌতুকপ্রথা যেমন, চাকরির ক্ষেত্রে ৫৬ ভাগ কোটা ব্যবস্থা তেমন।
মো. ওয়াসিম
কোটা ব্যবস্থা সংস্কার কেন জরুরি? বর্তমানে কোটা ব্যবস্থা অনগ্রসর করার এক নীল নকশা বলে আমি মনে করি। কারণ পোষ্য ও মুক্তিযোদ্ধা কোটার কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই এবং এটি সংবিধানের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। জেলা কোটাও বর্তমানে এক শ্রেণির সুবিধাই প্রকাশ করে। যেমন ঢাকা জেলা ৮ দশমিক ৩৬ ভাগ, অন্যদিকে দরিদ্র কুড়িগ্রাম ১ দশমিক ৪৪ ভাগ, বান্দরবন শূন্য দশমিক ২৭ ভাগ, উপজাতি কোটার প্রয়োজন আছে তবে এত বেশি নয়। ১ দশমিক ১৩ ভাগ, ৫ ভাগ কোটা যা সংস্কার জরুরি। নারী কোটা সংস্কার করে একটু কমানো উচিত বলে আমি মনে করি। আর প্রাইমারি শিক্ষাকে ধ্বংস করতে না চাইলে এর নিয়োগ বিধি সম্পূর্ণ রূপে সংস্কার করা উচিত বলে আমি মনে করি। আর অন্যান্য কোটা বাতিল করা সময়ের সঙ্গে অগ্রগতি সাধনের অন্যতম পথই নির্দেশ করবে বলে আশা করি।
আমিনুল ইসলাম
কোটা নয় মেধাভিত্তিক চাই। কোটা দ্বারা মেধাবীদের ধ্বংস করা হচ্ছে।
মীর নজরুল
কোটাপ্রথা বিলীন করা উচিত। চাকরির ক্ষেত্রে মেধা আর যোগ্যতার পরীক্ষায় যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারাই প্রকৃত যোগ্য।
সঞ্জয় হালদার
আমি কোটা পদ্ধতিকে চরমভাবে ঘৃণা করি।
শফিক আহমেদ
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে দেশকে বা একটা জাতিকে এগিয়ে নিতে মেধার বিকল্প আরো বেশি মেধা। খুব সাদমাটা ভাবে দেখলে জাতীয় বাজেটের উন্নয়ন ব্যয়ের একটা বৃহত্তম অংশ প্রতি বছর অব্যয়িত থাকতে দেখা যাচ্ছে। আর যা ব্যয় হচ্ছে সেটাও পুরোই দুর্নীতি আর অপব্যয় ছাড়া কিছুই নয়।
সাইফুল ইসলাম
কোটা নয় মেধাভিত্তি চাই।
আল হাছনাত
কোটা সংস্কার জরুরি কিন্তু সরকার মনে হয় সংস্কার করবে না। কারণ এতগুলো আন্দোনলের পরেও কোনো বিবৃতি দিল না যেটা তরুণদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক। সরকার কিসের জন্য সংস্কার করছে না এটা আমাদের জানা নেই। কিন্তু সংস্কার না কারার পিছনে যে সরকারের দুর্বলতা আছে সেটা নিশ্চিত। সরকারের যত বড়ই দুর্বলতা থাকুক না কেন তরুণদের এভাবে হতাশ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। আর সর্বোচ্চ ৩ ভাগ মানুষ ৭১ এর পর থেকে আজ পর্যন্ত ৫০ বছর ৫৬ থেকে ৭০ ভাগ কোটা ভোগ করে আসছে। এই ৩ ভাগ পিছিয়ে পড়া জাতি আজ এতটাই এগিয়ে যে আজকেই যদি কোটা বন্ধ করে দেয়া হয় তবে ৯৭ ভাগ মানুষ তাদের সমান হতে ১০০ বছরেরও বেশি সময় লাগবে। এর পরো যদি সরকার বলে ৩ ভাগ এখনো পিছিয়ে আছে তবে এই ৩ ভাগকে আগামী ৫০০ বছর ১০০ ভাগ কোটা প্রদান করলেও তারা তাদের অবস্থার উন্নয়ন করতে পারবে না।
শেখ আব্দুল মালেক
দেশ প্রকৃত মেধাবী আমলা পাচ্ছে না। দ্বিতীয়/তৃতীয় শ্রেণির লোক প্রথম শ্রেণির চাকরি করছে আর প্রথম শ্রেণির লোক বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে যেমন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এর পরিবর্তে নাতি-নাতনি পাচ্ছে।
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ
কোটা ব্যবস্থা আমার কাছে বিষের মতো। আমি এটাকে চরম ঘৃণা করি। কারণ এর দ্বারা মেধাবীদের ধ্বংস করা হচ্ছে।
৫৬ ভাগ কোটা? ভাবা যায়! একটা সভ্য সুশিক্ষিত সমাজে এভাবে মেধার কবর রচনা হতে দেয়া যায় না। মেধাবীরা সুযোগ না পেলে মেধা পাচার হবেই। এতে পিছাবে দেশ, পিছাবে জাতি। আমরা পিছাতে চাইনা, এগিয়ে যেতে চাই দুর্বার গতিতে। তাই কোটা ব্যবস্থার সংস্কার অতীব জরুরি।
কামরুল
কোটা ব্যবস্থা আমার কাছে বিষের মতো। আমি এটাকে চরম ঘৃণা করি। কারণ, এর দ্বারা মেধাবীদের ধ্বংস করা হচ্ছে।
আবুল হাসনাত
কোটা প্রথা সাময়িক বিষয়, কিন্তু আমাদের দেশে মনে হচ্ছে চিরস্থায়ী ব্যবস্থা। যদি সার্বিক বিবেচনায় রাখতে হয় তাহলে সর্বোচ্চ ২৫ ভাগের বেশি নয়।
নূর আলম মামুন
মেধাবী এবং আগামীর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য কোটা একান্ত জরুরি।
মো. আমলাক আলী
কোটা মুক্ত বাংলাদেশ অবশ্যই চাই, সেই সঙ্গে চাই ঘুষ মুক্ত চাকরি।
নাজ
কোটা থাকা উচিত নয়। শুধু মেধাকেই গুরুত্ব দেয়া উচিত। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছুটা কোটা থাকতে পারে, তা কি তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য? তারা কি দেশকে বাঁচানোর জন্য রক্ষা করার জন্য নাকি কোটার জন্য?
ডা. মাজিদ
কোটা পদ্ধতি এখনই বন্ধ করা উচিত।
আবদুল কাদির
এটা দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের বিরোধী।
শফিকুল ইসলাম
কোটার কারণে স্বাধীন দেশে নিজেকে পরাধীন মনে হয়।
কাজী আনিসুর রহমান
কোটা পদ্ধতি আমাদের সকল প্রকার অর্জনকে ধ্বংস করে দেয়।
সামিরুল ইসলাম
প্রথমত মেধাবী প্রার্থীদের চরম ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যেটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। মেধাবীদের অবমূল্যায়ন করে দেশকে এগিয়ে নেয়া একেবারেই অসম্ভব। দ্বিতীয়ত কোটা পদ্ধতি আমাদের মহান সংবিধানের সঙ্গে শতভাগ সাংঘর্ষিক যেটা আমরা যুগের পর যুগ টানতে পারি না। তবে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী শুধুমাত্র জেলা কোটা রাখা যেতে পারে।
মমতাজ
কোটা নয় মেধাভিত্তিক চাই।
রাকিব ইমন
কোটা প্রথার কারণে লাখ লাখ মেধাবী সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়ে বেকার ও মানবেতর জীবন যাপন করেছে। আমি কোটাপ্রথা বাতিল চাই।
মো. আশিকুর রহমান
কোটা রহিত হোক এটা আমার মত।
মোহাম্মদ ইউসুফ
বৈষম্য প্রশমিত করার প্রত্যয় নিয়ে কোটা পদ্ধতি চালু হলেও এখন ‘কোটা’ পদ্ধতিই বৈষম্যের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে! যে রাষ্ট্র প্রতিবন্ধীদের দায়িত্ব নিতে পারে কিন্তু মেধাবীদের দায়িত্ব নিতে পারে না সেই দেশে মেধাবীর জন্মই অবান্তর নয় কি? বাংলাদেশ যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিনেও মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ কখনোই শোধ হবার নয়। তাই ওনাদের সন্তানদের কোটা বলবৎ থাকুক কিন্তু নাতি-নাতনিদের নয়। প্রয়োজনে ওনাদেরকে রাষ্টীয় কোষাগার থেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হোক। তবুও মেধার জায়গায় মোটা মাথা কাম্য নয়।
এমএস এইচ চৌধুরী
কোটা পদ্ধতি দ্রুত সংস্কার করে যোগ্য ব্যক্তিকে যথাযথ স্থানে বসানো উচিত। যোগ্য ব্যক্তির পরিচালনা দ্বারাই একটা ভালো জেনারেশন তৈরি হতে পারে। কোটা বাদ দিয়ে যদি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয় তাহলে আমাদের দেশের দ্রুত উন্নয়ন হবে।
জুয়েল রানা
আমি কোটা পদ্ধতিকে চরমভাবে ঘৃণা করি। কোটা সংস্কারের পাশাপাশি আরো বলতে চাই, চাকরির ক্ষেত্রে মামা, খালু, দুলাভাই এমনকি দালাল ঘুষখোরদের হাত থেকে যোগ্য মেধাবীদের রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করছি।
এসকে লোকমান হোসেন
বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারের দেশের শিক্ষার সঙ্গে সব কিছুর উন্নয়ন হচ্ছে। একজন ব্যক্তির লেখাপড়া শেষ করতে কমপক্ষে ৩০ বছর সময় লাগে। তার জন্য বাবা মা’র যে কতটুক শ্রম দিতে হয় তা লেখাপড়া যারা করান তারা ভালোভাবেই জানেন। তার পর যদি সেই সন্তানের চাকরি না হয়। তা হলে সেই সন্তানের করার আর কী আছে। তখনই তারা খারাপ পথে চলে যায়। আর যদি লেখাপড়া শেষে চাকরি হয়ে যায় তা হলে তার কোনো খারাপ চিন্তা মাথায় থাকে না। তাই আমার অনুরোধ বর্তমান সরকার তাদের চিন্তা করে সবাইর জন্য চাকরির ব্যবস্থা করবেন।
আনোয়ার আহমেদ
কোটা ব্যবস্থা উঠিয়ে দিয়ে মেধার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ দেয়া উচিত! এভাবে চললে মেধা ধ্বংস হয়ে যাবে।
নাজমুল হাসান
মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা অবশ্যই থাকা উচিত, কিন্তু সেটা শুধুমাত্র তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীর জন্য। বিসিএস শুধু মেধাবীদের জন্য। এখানে কোনো ছাড় দেয় যাবে না।
সাফায়েত
বর্তমানে কোনো ভাবেই কোটাকে গ্রহণ করা সম্ভব না, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আমরা কেন কোটার কারণে বঞ্চিত হব।
আকরাম হোসাইন
আমার মনে হয় যেহেতু প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানেই পর্যাপ্ত সংখ্যক লোকবলের অভাব। তাই কোটার সঙ্গে সঙ্গে মেধাভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার দ্বিগুণ পরিমাণ লোকবল নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনা করলে হয়তো কাজকর্ম সঠিকভাবে সম্পাদিত হবে। কারণ প্রায়ই শোনা যায় লোকবলের কারণে কার্য সম্পাদন যথাসময়ে সম্পন্ন হয় না। তাই প্রথমেই বিবেচনা করা উচিত প্রতিষ্ঠানের কার্যপরিধি এবং পরে বিবেচনা করা উচিত কি পরিমাণ লোকবলের দরকার। অতঃপর কোনরকম গড়িমসি না করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা দূর করে একটি আধুনিক ও দ্রুত সেবাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। যা কিনা জনগণ তথা দেশের কল্যাণ বয়ে আনবে।
টিএম সোহাগ
আমার কাছে যৌতুকপ্রথা যেমন, চাকরির ক্ষেত্রে ৫৬ ভাগ কোটা ব্যবস্থা তেমন।
মো. ওয়াসিম
কোটা ব্যবস্থা সংস্কার কেন জরুরি? বর্তমানে কোটা ব্যবস্থা অনগ্রসর করার এক নীল নকশা বলে আমি মনে করি। কারণ পোষ্য ও মুক্তিযোদ্ধা কোটার কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই এবং এটি সংবিধানের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। জেলা কোটাও বর্তমানে এক শ্রেণির সুবিধাই প্রকাশ করে। যেমন ঢাকা জেলা ৮ দশমিক ৩৬ ভাগ, অন্যদিকে দরিদ্র কুড়িগ্রাম ১ দশমিক ৪৪ ভাগ, বান্দরবন শূন্য দশমিক ২৭ ভাগ, উপজাতি কোটার প্রয়োজন আছে তবে এত বেশি নয়। ১ দশমিক ১৩ ভাগ, ৫ ভাগ কোটা যা সংস্কার জরুরি। নারী কোটা সংস্কার করে একটু কমানো উচিত বলে আমি মনে করি। আর প্রাইমারি শিক্ষাকে ধ্বংস করতে না চাইলে এর নিয়োগ বিধি সম্পূর্ণ রূপে সংস্কার করা উচিত বলে আমি মনে করি। আর অন্যান্য কোটা বাতিল করা সময়ের সঙ্গে অগ্রগতি সাধনের অন্যতম পথই নির্দেশ করবে বলে আশা করি।
আমিনুল ইসলাম
কোটা নয় মেধাভিত্তিক চাই। কোটা দ্বারা মেধাবীদের ধ্বংস করা হচ্ছে।
মীর নজরুল
কোটাপ্রথা বিলীন করা উচিত। চাকরির ক্ষেত্রে মেধা আর যোগ্যতার পরীক্ষায় যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারাই প্রকৃত যোগ্য।
সঞ্জয় হালদার
আমি কোটা পদ্ধতিকে চরমভাবে ঘৃণা করি।
শফিক আহমেদ
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে দেশকে বা একটা জাতিকে এগিয়ে নিতে মেধার বিকল্প আরো বেশি মেধা। খুব সাদমাটা ভাবে দেখলে জাতীয় বাজেটের উন্নয়ন ব্যয়ের একটা বৃহত্তম অংশ প্রতি বছর অব্যয়িত থাকতে দেখা যাচ্ছে। আর যা ব্যয় হচ্ছে সেটাও পুরোই দুর্নীতি আর অপব্যয় ছাড়া কিছুই নয়।
সাইফুল ইসলাম
কোটা নয় মেধাভিত্তি চাই।
আল হাছনাত
কোটা সংস্কার জরুরি কিন্তু সরকার মনে হয় সংস্কার করবে না। কারণ এতগুলো আন্দোনলের পরেও কোনো বিবৃতি দিল না যেটা তরুণদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক। সরকার কিসের জন্য সংস্কার করছে না এটা আমাদের জানা নেই। কিন্তু সংস্কার না কারার পিছনে যে সরকারের দুর্বলতা আছে সেটা নিশ্চিত। সরকারের যত বড়ই দুর্বলতা থাকুক না কেন তরুণদের এভাবে হতাশ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। আর সর্বোচ্চ ৩ ভাগ মানুষ ৭১ এর পর থেকে আজ পর্যন্ত ৫০ বছর ৫৬ থেকে ৭০ ভাগ কোটা ভোগ করে আসছে। এই ৩ ভাগ পিছিয়ে পড়া জাতি আজ এতটাই এগিয়ে যে আজকেই যদি কোটা বন্ধ করে দেয়া হয় তবে ৯৭ ভাগ মানুষ তাদের সমান হতে ১০০ বছরেরও বেশি সময় লাগবে। এর পরো যদি সরকার বলে ৩ ভাগ এখনো পিছিয়ে আছে তবে এই ৩ ভাগকে আগামী ৫০০ বছর ১০০ ভাগ কোটা প্রদান করলেও তারা তাদের অবস্থার উন্নয়ন করতে পারবে না।
শেখ আব্দুল মালেক
দেশ প্রকৃত মেধাবী আমলা পাচ্ছে না। দ্বিতীয়/তৃতীয় শ্রেণির লোক প্রথম শ্রেণির চাকরি করছে আর প্রথম শ্রেণির লোক বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে যেমন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এর পরিবর্তে নাতি-নাতনি পাচ্ছে।
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ
কোটা ব্যবস্থা আমার কাছে বিষের মতো। আমি এটাকে চরম ঘৃণা করি। কারণ এর দ্বারা মেধাবীদের ধ্বংস করা হচ্ছে।