দেশ বিদেশ
সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের হাওয়া উল্টানোর চেষ্টা করেছে সরকারপক্ষ : মওদুদ
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ মার্চ ২০১৮, শনিবার, ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের হাওয়া উল্টানোর জন্য সরকারের অনেক প্রভাবশালী লোকেরা চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা পারেননি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জিয়া নাগরিক ফোরাম-জিনাফ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মওদুদ আহমদ বলেন, এ বছরের সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন আমাদের জন্য সাংঘাতিক তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। সরকারের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নাম বলবো না সরকারের অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দরা চেষ্টা করেছেন এই নির্বাচনের হাওয়া উল্টাতে এবং জয়লাভ করতে। কিন্তু তারপরও তারা পারেননি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনমতের প্রতিফলন ঘটেছে। দেশের মানুষ কি ভাবছে তা পরিষ্কার হয়েছে। কারণ এখানে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। সবাই প্রতিযোগিতা করেছে। একটা উৎসবের মধ্য দিয়ে নির্বাচন হয়েছে। কোথাও কোনো করচুপি হয়নি। আগামী সাধারণ নির্বাচন যদি এমন উৎসবপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয় তাহলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সঙ্গে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ভোটের পার্থক্য হবে ৭৫ ও ২৫ শতাংশ। এটিই বাস্তবতা। সরকার ২৫ শতাংশের বেশি ভোট পাবে না। তিনি বলেন, সরকার ২০১৩ সালের ৫ই জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন দেখছে। কিন্তু সেই স্বপ্ন কোনোদিনই বাস্তবায়িত হবে না। সব কিছুর একটা লিমিট আছে। এই সরকার সেই সীমা পেরিয়ে গেছে। আগামী মাস আমাদের জন্য কঠিন পরীক্ষার মাস। এখনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। সরকার যদি সমঝোতায় না আসে তাহলে একটা সময় আসবে রাজপথে কঠোর আন্দোলন ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প থাকবে না।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যেখানে দেশে গণতন্ত্র নেই সেখানে উন্নয়শীলতার কোনো অর্থ নাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে।
আজ দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের কথা বলার অধিকার নেই, নির্বাচিত সংসদ নেই অথচ তকমা লাগানো হয়েছে উন্নয়নশীল দেশের। আসলে উন্নয়নশীল দেশের এ তকমা অর্থহীন। এমন উন্নয়নে দেশের মানুষ কোনোভাবে সম্পৃক্ত হতে চায় না। কারণ গণতন্ত্র ছাড়া কখনো সত্যিকারের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর এই উন্নয়নশীল হওয়ার পেছনে কোনো একক সরকারের কৃতিত্ব নেই। এখানে কৃতিত্ব রয়েছে তিন শ্রেণির মানুষের। তারা হলো- গ্রামের কৃষক, গার্মেন্টসের মা-বোনেরা ও বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী ভাইয়েরা। এখানে কোনো বিশেষ সরকারের কোনো কৃতিত্ব নেই। আমরা ক্ষমতায় থাকলে আরো ৭/৮ বছর আগেই উন্নয়নশীল হতো দেশ। আওয়ামী লীগের দুঃশাসন ও দুর্নীতির কারণে এটি দেরিতে হয়েছে। এ স্বীকৃতিতে সরকারের কোনো অবদান নেই।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রতমাতুল্লাহ, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈশা, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যেখানে দেশে গণতন্ত্র নেই সেখানে উন্নয়শীলতার কোনো অর্থ নাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে।
আজ দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের কথা বলার অধিকার নেই, নির্বাচিত সংসদ নেই অথচ তকমা লাগানো হয়েছে উন্নয়নশীল দেশের। আসলে উন্নয়নশীল দেশের এ তকমা অর্থহীন। এমন উন্নয়নে দেশের মানুষ কোনোভাবে সম্পৃক্ত হতে চায় না। কারণ গণতন্ত্র ছাড়া কখনো সত্যিকারের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর এই উন্নয়নশীল হওয়ার পেছনে কোনো একক সরকারের কৃতিত্ব নেই। এখানে কৃতিত্ব রয়েছে তিন শ্রেণির মানুষের। তারা হলো- গ্রামের কৃষক, গার্মেন্টসের মা-বোনেরা ও বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী ভাইয়েরা। এখানে কোনো বিশেষ সরকারের কোনো কৃতিত্ব নেই। আমরা ক্ষমতায় থাকলে আরো ৭/৮ বছর আগেই উন্নয়নশীল হতো দেশ। আওয়ামী লীগের দুঃশাসন ও দুর্নীতির কারণে এটি দেরিতে হয়েছে। এ স্বীকৃতিতে সরকারের কোনো অবদান নেই।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রতমাতুল্লাহ, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈশা, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।