দেশ বিদেশ

সবজি ও রসুনের দাম বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

২৪ মার্চ ২০১৮, শনিবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন

রাজধানীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। এর পাশাপাশি আমদানি করা রসুনের দামও বেড়েছে। সবজিতে বেড়েছে ৫-১০ টাকা। আর রসুনের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ টাকা। তবে পিয়াজের দাম আরো কমেছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। জানা গেছে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া সবজির দাম সপ্তাহ দুয়েক আগে বেশ খানিকটা কমে যায়। কিন্তু সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো বাড়তে শুরু করেছে পণ্যগুলোর দাম। বিশেষ করে শীত ফুরিয়ে যাওয়ায় বাজারে আসছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। টমেটো, সিম, কপিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির সরবরাহ কমতে থাকায় দামও বেড়েছে। তাই গেলো সপ্তাহের চেয়ে এসব সবজি কেজিতে বেড়েছে ৫-১০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মৌসুম শেষ হওয়ায় রাজধানীতে শীতকালীন সবজির দাম খানিকটা বাড়লেও অন্য শাক-সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালেই রয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সব থেকে বেশি দাম বাড়ে শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপি, টমেটো ও শিমের। এই সবজিগুলোর সেই বাড়তি দাম এখন আর নেই। তবে কমে আবারো বাড়ছে। গত সপ্তাহ পাকা টমেটো বিক্রি হয়েছে মানভেদে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহ ঘুরে সেই টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকায়। বাজারে এখন ছোট আকারের প্রতিপিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা দরে। পাতাকপিও পাওয়া যাচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। শিম ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা দরে। ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া করলা বাজারে ৬০ টাকা কেজি। এ ছাড়া বেগুন (কালো) ৩০ টাকা ও বেগুন (সাদা) ৪০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা ও ঢেঁড়শ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

হাতিরপুল বাজারে আসা শফিক বলেন, কিছুদিন আগেও তো সব সবজির দাম ছিল আকাশছোঁয়া। মনে করছিলাম দাম আরো কমবে না। তবে এখন দেখছি দাম কমেছে। সবজির দাম এমন থাকলে মোটামুটি স্বস্তিতে থাকা যায় বলে জানান তিনি।
কাঁচমরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগে এই পণ্যটির দাম ছিল ৮০ টাকা বেশি। এদিকে নতুন দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পিয়াজের কেজি ৩০-৩৫ টাকা। গত সপ্তাহেই দেশি ও আমদানি করা পিয়াজের দাম কিছুটা কমেছিল।

কাওরান বাজারের পিয়াজ ব্যবসায়ী আমিনুল বলেন, আমরা আড়ত থেকে এখন কম দামে পিয়াজ আনতে পারছি। সে কারণে কম দামে বিক্রি করতে পারছি। এখন বাজার নতুন পিয়াজে ভরপুর। তাই দাম কমে গেছে। তিনি বলেন, ভালো মানের দেশি পিয়াজ আগের সপ্তাহের মতই ১৭০-১৮০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সব থেকে ভালো মানের ভারতীয় পিয়াজের পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। তবে ভরতীয় পিয়াজ মানভেদে প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এদিকে বাজারে আমদানি করা রসুনের কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ১০ টাকা। মানভেদে ৮০-১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজারে দেশি রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়। আর আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি দাম ছিল ৯০-১২০ টাকা।

এদিকে চালের বাজার ঘুরে দেখে গেছে, মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১-২ টাকা। কিন্তু চিকন চালের দাম রয়েছে আগের মতই। বাজারে স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকা কেজি দরে। যার গত সপ্তাহের বাজার মূল্য ছিল ৪৩-৪৫ টাকা। পায়জাম ৪৮ টাকা, বিআর২৮ কেজি প্রতি ৫০-৫২ টাকা কেজি। এ ছাড়া ভালো মানের নাজিরশাইল ৬৫ টাকা, ইন্ডিয়ান নাজিরশাইল ৬২ টাকা এবং সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫২ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।
এ ছাড়া মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৬ কেজির অধিক ওজনের প্রতি কেজি রুই মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, একই ওজনের কাতল ৫০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৫০-২০০, গলদা চিংড়ি ৬০০-৮০০ টাকা এবং আকারভেদে প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৮০০ টাকা দরে।
সপ্তাহের ব্যবধানে মাংসের দাম বেড়েছে ১০-২০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা, খাসি ৮০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status