বাংলারজমিন
কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যানের বাড়ির রাস্তা নির্মাণেও নিম্নমানের ইটের খোয়া!
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২৪ মার্চ ২০১৮, শনিবার, ৯:৩১ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরীর বাড়ির সামনের পাকা সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ও ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সিরাজপুর ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের হাবীবপুর গ্রামের, হাবীবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কের, ৭০০ মিটার নতুন পাকা সড়ক নির্মাণে, এমন ঘটনা ঘটে। ঠিকাদার সূত্রে জানা যায়, এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত বরাদ্দ ৩২ লাখ টাকা। এলাকাবাসীরবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদার শিডিউল অনুযায়ী কাজ করছে না। ওই নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট ও ইটের খোয়া ব্যবহার করছে। শিডিউল অনুযায়ী সড়ক নির্মাণে এক নম্বর ইট ও ইটের খোয়া ব্যবহারের কথা। কিন্তু সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট ও ইটের খোয়া। এলাকাবাসীর অভিযোগ বরাতে জানা যায়, ঠিকাদার আবদুল্লাহ আল মামুন ক্ষমতাসীনদলের উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায়, শিডিউল না মেনে, প্রভাব খাটিয়ে নিম্নমানের কাজ করে যাচ্ছেন। এলাকাবাসী জানান, আমরা ঠিকাদারকে অভিযোগ জানিয়ে কোনো বিহিত পায়নি। ঠিকাদার জানান, এগুলো ১ নাম্বার ইট। এ বিষয়ে ঠিকাদারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সরকারিভাবে ইটের মূল্য কম দেওয়া আছে, বর্তমানে ইটের দাম বেশি। তারপরও আমি যে পর্যন্ত কাজ করেছি, তা ভালো মানের কাজ করেছি। কিন্তু এলাকাবাসী ঠিকাদারের দাবি নাকচ করে দেন, এলাকাবাসী উল্টো মন্তব্য করেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। এ সময় এলাকাবাসী দাবি করেন, সরেজমিন নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করলে তাদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরনবী চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঠিকাদার কি করবে, এখন ব্রিকফিল্ডে ভালো ইট নেই। আবার ভালো ইটের দাম অনেক বেশি বলে তিনি দাবি করেন। নুরনবী চৌধুরী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তার নিজ বাড়ির সামনের সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ও ইটের খোয়া ব্যবহারে, স্থানীয় এলাকাবাসী বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ইব্রাহীম খলিলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি নির্মানাধীন সড়ক পরিদর্শন করি। নতুন এই পাকা সড়ক নির্মাণে কোথাও নিম্নমানের ১০% খোয়া, কোথাও নিম্নমানের ২০% খোয়া ব্যবহার হয়েছে বলে, তিনি এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন।