বাংলারজমিন
স্কুলের গাছ কেটে নিলেন কমিটির সভাপতি
স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে
২৪ মার্চ ২০১৮, শনিবার, ৯:২৭ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জের মাধবপুরে পাটুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েক লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে নিয়ে গেছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ কয়েস। এছাড়া বিদ্যালয়ের অফিসের ল্যাপটপ নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন সভাপতি। গাছ কাটায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বাধা দেয়ায় তাকে বদলি ও অফিসের ল্যাপটপ ফেরত না দেয়ার হুমকি দেন সভাপতি। এতে স্কুলের কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, পাটুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ আব্দুল্লাহ কয়েস গত কয়েক দিন আগে স্কুলের ৫টিসহ সরকারি জায়গার ১১টি গাছ কেটে নিয়ে যায়। গাছ কাটার সময় স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বাঁধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে হুমকি দেন কয়েস। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন এ শিক্ষিকা। স্থানীয়রা জানান, ইতিপূর্বে কয়েস একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে কয়েক মাস জেলে ছিলেন। এ কারণে তার কোনো অন্যায় কাজে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পান না। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষও তার এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়ার সাহস পায়নি। তার বিরুদ্ধে কথা বললে তিনি মামলা করে ফাঁসানোর হুমকি দেন। এ ব্যাপারে পাটুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সামছুন্নাহার জানান, সভাপতি সাহেব প্রায় একমাস আগে আমাদের অফিসের ল্যাপটপটি অল্পদিনের জন্য নিয়ে যান। এর গত কয়েক দিন আগে তিনি গাছ কাটতে লোক পাঠান। লিখিত কোনো অনুমতি ছাড়া গাছ কাটতে আমি বাধা দিই। এরপরও তিনি অনুমতি নিয়েছেন বলে গাছ কেটে নিয়ে যান। আমি বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মোবাইলে জানাই। এতে তিনি আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং আমার বদলি না হওয়ার আগে স্কুলের ল্যাপটপও দেবেন না বলে হুমকি দেন। মাধবপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান, আমি পাটুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বা সভাপতি কাউকে কোনো অনুমতি দেয়নি। সরকারি জায়গার গাছ যদি কেউ কেটে থাকে তবে অবশ্যই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আমাকে জানিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্কুলের সরকারি ল্যাপটপ তার বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এটি খুবই বড় ধরনের অন্যায় কাজ। এ ব্যাপারেও আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, পাটুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ আব্দুল্লাহ কয়েস গত কয়েক দিন আগে স্কুলের ৫টিসহ সরকারি জায়গার ১১টি গাছ কেটে নিয়ে যায়। গাছ কাটার সময় স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বাঁধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে হুমকি দেন কয়েস। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন এ শিক্ষিকা। স্থানীয়রা জানান, ইতিপূর্বে কয়েস একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে কয়েক মাস জেলে ছিলেন। এ কারণে তার কোনো অন্যায় কাজে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পান না। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষও তার এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়ার সাহস পায়নি। তার বিরুদ্ধে কথা বললে তিনি মামলা করে ফাঁসানোর হুমকি দেন। এ ব্যাপারে পাটুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সামছুন্নাহার জানান, সভাপতি সাহেব প্রায় একমাস আগে আমাদের অফিসের ল্যাপটপটি অল্পদিনের জন্য নিয়ে যান। এর গত কয়েক দিন আগে তিনি গাছ কাটতে লোক পাঠান। লিখিত কোনো অনুমতি ছাড়া গাছ কাটতে আমি বাধা দিই। এরপরও তিনি অনুমতি নিয়েছেন বলে গাছ কেটে নিয়ে যান। আমি বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মোবাইলে জানাই। এতে তিনি আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং আমার বদলি না হওয়ার আগে স্কুলের ল্যাপটপও দেবেন না বলে হুমকি দেন। মাধবপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান, আমি পাটুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বা সভাপতি কাউকে কোনো অনুমতি দেয়নি। সরকারি জায়গার গাছ যদি কেউ কেটে থাকে তবে অবশ্যই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আমাকে জানিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্কুলের সরকারি ল্যাপটপ তার বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এটি খুবই বড় ধরনের অন্যায় কাজ। এ ব্যাপারেও আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।