বাংলারজমিন
খুলনায় শিশুকে হত্যা, মা শারমিনকে যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৪ মার্চ ২০১৮, শনিবার, ৮:৫০ পূর্বাহ্ন
খুলনা মহানগরীর খালিশপুর পিপলস কলোনীতে ১১ মাসের শিশুকন্যা সুমাইয়াকে হত্যার অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মা মোসা. শারমিন (২০) কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেছেন। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শারমিন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। সে খালিশপুর পিপলস ৫ম তলা কলোনীর ৩নং বিল্ডিংয়ের নিচতলার ভাড়াটিয়া মো. সুমনের স্ত্রী। বেঞ্চ সহকারী সুভেন্দ্র রায় চৌধুরী নথির বরাত দিয়ে জানান, ২০১৫ সালের ২৫শে আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খালিশপুর পিপলস ৫ম তলা কলোনীর ৩নং বিল্ডিংয়ের নিচতলার ভাড়া বাসায় ১১ মাসের নিজ শিশু কন্যা সুমাইয়াকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মা শারমিন। গ্রেপ্তারের পর শারমিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, আগের দিন শাশুড়ি জরিনা খাতুনের সঙ্গে সংসারের অভাব-অনটন নিয়ে ঝগড়া হয়। তার স্বামী সুমন ইজিবাইক চালক। ঘটনার দিনে সকাল ৬টার দিকে তার শাশুড়ি জরিনা খাতুন ক্রিসেন্ট জুট মিলে শ্রমিকের কাজে যায়। সকাল ৮টার দিকে স্বামী সুমন ইজিবাইক চালাতে চলে যায়। এ সুযোগে স্বামীকে কষ্ট দিতে সে নিজ শিশু কন্যা সুমাইয়াকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার স্বামী মো. সুমন বাদী হয়ে স্ত্রী মোসা. শারমিন ও তার সৎ পিতা দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রামের মোসলেম মোল্লার ছেলে মিজান (৪৫)’র বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা করেন (নং-২০)। একই বছরের ৪ঠা নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. তৌহিদুর রহমান মিজানকে বাদ দিয়ে আদালতে মোসা. শারমিনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি বীরেন্দ্রনাথ সাহা ও এপিপি সাব্বির আহমেদ।