বাংলারজমিন
শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে
২৪ মার্চ ২০১৮, শনিবার, ৮:৫০ পূর্বাহ্ন
চিকিৎসকের অবহেলায় পুলিশ কনেস্টবলের স্ত্রী খাদিজা আক্তার (২৩) নামে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যুর অভিযোগে পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে তার গর্ভে থাকা সন্তানটিরও মৃত্যু হয়েছে।
এ অভিযোগে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালারে অপারেশন থিয়েটার ভাঙচুর করে। এ নিয়ে ইন্টার্নি চিকিৎসক ও স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতেই ইন্টার্নি চিকিৎসকরা ধর্মঘট শুরু করে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হাসপাতালের পঞ্চম তলার গাইনি ওটিতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত খাদিজা আক্তারের স্বামী পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ শাকিল বলেন, আগামী ২৬শে মার্চ আমার স্ত্রীর ডেলিভারির তারিখ ছিল। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকদের কাছে একটি ইনজেকশন না থাকায় খাদিজাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুপুর ১২টা নাগাদ ভর্তি করা হয়। ওই সময় থেকেই খাদিজা গুরুত্বর অসুস্থ থাকায় একাধিকবার চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানানো হয়। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত ও প্রয়োজনীয় ওষুধ জোগাড় করা হয়। বিকাল ৩টা থেকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার কথা বললেও তা নেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টার দিকে খাদিজাকে অপারেশন থিয়েটারে নিতে বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেখানে গিয়েও কোনো চিকিৎসকের দেখা মিলেনি। অবস্থা বেগতিক হলে সেখানে থাকা সেবিকাদের বলা হলে তারা চিকিৎসকের কাছে যেতে বলেন। তৃতীয় তলায় গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে উপরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলে তারা সিনিয়র চিকিৎসক ছাড়া যেতে পারবেন না বলে জানান। একপর্যায়ে চিকিৎসককে ধরে টান দিলে অন্য চিকিৎসকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর শুরু করে।
ইন্টার্ন ডক্টর্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. নাহিদ হাসান জানান, রোগীটি মুমূর্ষু অবস্থায় এখানে ভর্তি হয়। তার প্রেসার অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। কিন্তু রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে জরুরি ভিত্তিতে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। আর অপারেশন টেবিলে ওঠানোর আগেই তার মৃত্যু হয়। যার কারণে বাচ্চাটিকেও বাঁচানো যায়নি। কিন্তু এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর স্বজনরা অপারেশন থিয়েটার ভাঙচুর ও ইন্টার্নি চিকিৎসকদের মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত ১০টার পর থেকে ই্টার্নি চিকিৎসকরা ধর্মঘট শুরু করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাসাপাতালে চিকিৎসকদের ধর্মঘট চলছে। আকস্মিক ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়েছে রোগীরা।
এ অভিযোগে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালারে অপারেশন থিয়েটার ভাঙচুর করে। এ নিয়ে ইন্টার্নি চিকিৎসক ও স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতেই ইন্টার্নি চিকিৎসকরা ধর্মঘট শুরু করে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হাসপাতালের পঞ্চম তলার গাইনি ওটিতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত খাদিজা আক্তারের স্বামী পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ শাকিল বলেন, আগামী ২৬শে মার্চ আমার স্ত্রীর ডেলিভারির তারিখ ছিল। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকদের কাছে একটি ইনজেকশন না থাকায় খাদিজাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুপুর ১২টা নাগাদ ভর্তি করা হয়। ওই সময় থেকেই খাদিজা গুরুত্বর অসুস্থ থাকায় একাধিকবার চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানানো হয়। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত ও প্রয়োজনীয় ওষুধ জোগাড় করা হয়। বিকাল ৩টা থেকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার কথা বললেও তা নেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টার দিকে খাদিজাকে অপারেশন থিয়েটারে নিতে বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেখানে গিয়েও কোনো চিকিৎসকের দেখা মিলেনি। অবস্থা বেগতিক হলে সেখানে থাকা সেবিকাদের বলা হলে তারা চিকিৎসকের কাছে যেতে বলেন। তৃতীয় তলায় গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে উপরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলে তারা সিনিয়র চিকিৎসক ছাড়া যেতে পারবেন না বলে জানান। একপর্যায়ে চিকিৎসককে ধরে টান দিলে অন্য চিকিৎসকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর শুরু করে।
ইন্টার্ন ডক্টর্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. নাহিদ হাসান জানান, রোগীটি মুমূর্ষু অবস্থায় এখানে ভর্তি হয়। তার প্রেসার অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। কিন্তু রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে জরুরি ভিত্তিতে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। আর অপারেশন টেবিলে ওঠানোর আগেই তার মৃত্যু হয়। যার কারণে বাচ্চাটিকেও বাঁচানো যায়নি। কিন্তু এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর স্বজনরা অপারেশন থিয়েটার ভাঙচুর ও ইন্টার্নি চিকিৎসকদের মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত ১০টার পর থেকে ই্টার্নি চিকিৎসকরা ধর্মঘট শুরু করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাসাপাতালে চিকিৎসকদের ধর্মঘট চলছে। আকস্মিক ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়েছে রোগীরা।