বাংলারজমিন
জুড়ীতে গ্রাম্য মোড়লের নির্যাতনের শিকার যুবতী
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২৩ মার্চ ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
জুড়ী উপজেলার জাঙ্গিরাই গ্রামে মরিয়ম (২০) নামের এক যুবতী মিথ্যা অপবাদে গ্রাম্য মোড়লের বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গতকাল সাংবাদিকদের কাছে বর্বর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে নিজের নিরাপত্তা ও ঘটনার বিচার দাবি করেন ওই যুবতী। মেয়ের পিতার অভিযোগ, গ্রাম্য মোড়ল আব্দুল জব্বারের পুলিশের সঙ্গে সখ্যতা থাকায় পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করছে।
মরিয়ম বেগম অভিযোগ করেন, মা হারা তিন বোন আর বাবা এরশাদ মিয়াকে নিয়ে তিনি জুড়ী শহরের জাঙ্গিরাই গ্রামে লায়লা বেগমের বাসায় ভাড়া থাকেন। পার্শ্ববর্তী উত্তর জাঙ্গিরাই গ্রামের রহিম মিয়ার ছেলে আবু সায়েম তাদের বাসায় প্রায়ই আসা যাওয়া করতো। একপর্যায়ে মন দেয়া নেয়া চলে। গত ১৭ই মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় আবু সায়েম তাদের বাসায় আসলে বাসার মালিক লায়লা বেগমের মেয়ে শেফা বেগম ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে গ্রাম্য মোড়ল আব্দুল জব্বারকে খবর দেয়। খবর পেয়ে আব্দুল জব্বার বাসায় এসে শেফার সহযোগিতায় মরিয়ম ও আবু সায়েমকে বেঁধে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। আহত মরিয়ম কুলাউড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
তিনি আরো জানান, ওইদিন রাতে আব্দুল জব্বার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চক্রান্ত করে আবু সায়েমের সঙ্গে বিনা কাবিননামায় আমার বিয়ে দিয়ে দেন। এ ধরনের বর্বর ঘটনায় জাঙ্গিরাই গ্রামে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন একটি সাদা কাগজে ও সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় নির্যাতনকারী আব্দুল জব্বার। ঘটনার পরদিন ১৮ই মার্চ মরিয়ম জুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। আব্দুল জব্বার পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী ও থানার দালাল হওয়ায় পুলিশ নির্যাতিতা মরিয়মের অভিযোগ গ্রহণ করেনি। অভিযুক্ত আব্দুল জব্বার এ ব্যাপারে দম্ভোক্তি করে বলেন, মেয়েটা খারাপ। এর আগেও কয়েক জায়গায় খারাপ কাজে ধরা পড়েছে। তাই আমি মেরেছি এবং ওসি বলেছে বিয়ে পড়িয়ে দিতে। এ ব্যাপারে জায়ফরনগর ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার জানান, নির্যাতনের খবরটি ঘটনার দিন বিকালে জেনেছেন। রাতে তিনি গিয়ে মেয়েকে দেখেছেন। তবে, এই মেয়েটা যে খারাপ তা আমার জানা নেই বা কেউ আমাকে জানায়ও নি। এ ব্যাপারে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জালাল উদ্দিন জানান, মেয়েটারও কিছু সমস্যা আছে। একটা ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে জানালে উভয়ের বিয়ে দিতে স্থানীয়দের বলেছি। আমার জানা মতে জব্বার দালাল নয়। তারপরও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
মরিয়ম বেগম অভিযোগ করেন, মা হারা তিন বোন আর বাবা এরশাদ মিয়াকে নিয়ে তিনি জুড়ী শহরের জাঙ্গিরাই গ্রামে লায়লা বেগমের বাসায় ভাড়া থাকেন। পার্শ্ববর্তী উত্তর জাঙ্গিরাই গ্রামের রহিম মিয়ার ছেলে আবু সায়েম তাদের বাসায় প্রায়ই আসা যাওয়া করতো। একপর্যায়ে মন দেয়া নেয়া চলে। গত ১৭ই মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় আবু সায়েম তাদের বাসায় আসলে বাসার মালিক লায়লা বেগমের মেয়ে শেফা বেগম ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে গ্রাম্য মোড়ল আব্দুল জব্বারকে খবর দেয়। খবর পেয়ে আব্দুল জব্বার বাসায় এসে শেফার সহযোগিতায় মরিয়ম ও আবু সায়েমকে বেঁধে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। আহত মরিয়ম কুলাউড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
তিনি আরো জানান, ওইদিন রাতে আব্দুল জব্বার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চক্রান্ত করে আবু সায়েমের সঙ্গে বিনা কাবিননামায় আমার বিয়ে দিয়ে দেন। এ ধরনের বর্বর ঘটনায় জাঙ্গিরাই গ্রামে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন একটি সাদা কাগজে ও সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় নির্যাতনকারী আব্দুল জব্বার। ঘটনার পরদিন ১৮ই মার্চ মরিয়ম জুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। আব্দুল জব্বার পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী ও থানার দালাল হওয়ায় পুলিশ নির্যাতিতা মরিয়মের অভিযোগ গ্রহণ করেনি। অভিযুক্ত আব্দুল জব্বার এ ব্যাপারে দম্ভোক্তি করে বলেন, মেয়েটা খারাপ। এর আগেও কয়েক জায়গায় খারাপ কাজে ধরা পড়েছে। তাই আমি মেরেছি এবং ওসি বলেছে বিয়ে পড়িয়ে দিতে। এ ব্যাপারে জায়ফরনগর ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার জানান, নির্যাতনের খবরটি ঘটনার দিন বিকালে জেনেছেন। রাতে তিনি গিয়ে মেয়েকে দেখেছেন। তবে, এই মেয়েটা যে খারাপ তা আমার জানা নেই বা কেউ আমাকে জানায়ও নি। এ ব্যাপারে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জালাল উদ্দিন জানান, মেয়েটারও কিছু সমস্যা আছে। একটা ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে জানালে উভয়ের বিয়ে দিতে স্থানীয়দের বলেছি। আমার জানা মতে জব্বার দালাল নয়। তারপরও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।