বাংলারজমিন
শ্রীমঙ্গলে খাস জমি উদ্ধার
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২৩ মার্চ ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
শ্রীমঙ্গলে বালিশিরা পাহাড়ের সরকারি খাস জমিতে তৈরি করা কটেজ ও রিসোর্ট থেকে সরকারি খাসজমি উদ্ধার করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। গত ৫ই ফেব্রুয়ারি ও ১৫ই মার্চ দু’দফা অভিযান চালিয়ে এ জমি উদ্ধার করা হয়। রাধানগর এলাকায় উদ্ধারকৃত সরকারি এসব খাস জমিতে সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসকের নামে মালিকানা হিসেবে সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছে। উদ্ধারকৃত জমিতে রাধানগর এলাকায় ‘অরণ্যের দিনরাত্রি ও গ্রান্ড মুবিন রিসোর্ট’ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান সরকারি খাস জমির দখল স্বত্ব কিনে নিয়ে তারা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। খাস জমির মধ্যে গ্রান্ড মুবিন রিসোর্টের ৬টি দাগে মোট ৫ একর ১৭ শতক ও অরণ্যের দিনরাত্রির কটেজের দুটি দাগে ৪ একর ৮৫ শতক জমি বেদখলে ছিল। অন্যদিকে বিভাগীয় কমিশনার সিলেট কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার রাজস্ব আফসানা তাসলিম স্বাক্ষরিত এক পত্রের নির্দেশনায় উপজেলাধীন বালিশিরা পাহাড়-১, ২, ৩ ও ৪ মৌজার খাস জমির প্রকৃত অবস্থা নিরূপণের লক্ষ্যে জরিপ কাজ চলছে। ওই পত্রের আলোকেই শ্রীমঙ্গল ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার গত ২১শে মার্চ থেকে এই জরিপ কাজ শুরু করে।
জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার ভূমি মো. আশেকুল হক বলেন, এই জরিপের মাধ্যমে বালিশিরা পাহাড়ের চারটি মৌজায় কি পরিমাণ সরকারি খাস জমি বেদখল রয়েছে ও বর্তমানে কারা কারা এসব জমির দখলে আছেন তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে বালিশিরার ৪টি ব্লকে জরিপ কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এসব এলাকার খাস জমিতে বসবাসকারী মানুষজন উচ্ছেদ আতঙ্কে ভোগছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, তারা স্বাধীনতার পর থেকেই এখানে বসবাস করছেন। জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা আমাদের নিয়মিত রুটিন কাজের অংশ। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তারা নিয়মিত ভাবে খাস জমি চিহ্নিত করে থাকেন। জেলার প্রতিটি রাজস্ব সভায় এসি ল্যান্ডকে জানাতে হয় কতটুকু খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যারা টাকার বিনিময়ে সরকারি খাস জমি কিনে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে শুধুমাত্র তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সরকারি খাস জমিতে বসবাসরত কোনো পরিবারকে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হবে না। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই’।
জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার ভূমি মো. আশেকুল হক বলেন, এই জরিপের মাধ্যমে বালিশিরা পাহাড়ের চারটি মৌজায় কি পরিমাণ সরকারি খাস জমি বেদখল রয়েছে ও বর্তমানে কারা কারা এসব জমির দখলে আছেন তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে বালিশিরার ৪টি ব্লকে জরিপ কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এসব এলাকার খাস জমিতে বসবাসকারী মানুষজন উচ্ছেদ আতঙ্কে ভোগছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, তারা স্বাধীনতার পর থেকেই এখানে বসবাস করছেন। জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা আমাদের নিয়মিত রুটিন কাজের অংশ। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তারা নিয়মিত ভাবে খাস জমি চিহ্নিত করে থাকেন। জেলার প্রতিটি রাজস্ব সভায় এসি ল্যান্ডকে জানাতে হয় কতটুকু খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যারা টাকার বিনিময়ে সরকারি খাস জমি কিনে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে শুধুমাত্র তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সরকারি খাস জমিতে বসবাসরত কোনো পরিবারকে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হবে না। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই’।