খেলা
সেই বিপিএলেই চোখ আশরাফুলের
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৩ মার্চ ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের ক্রিকেটে আলোকিত উজ্জ্বল এক ক্রিকেটারের নাম মোহাম্মদ আশরাফুল। আবার সেই আশরাফুল জন্ম দিয়েছেন অন্ধকার অধ্যায়েরও। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে (বিপিএল) ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাঁচ বছরের জন্য। এর মধ্যে ৩ বছর শাস্তি কাটিয়ে ফিরেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। আর মাত্র পাঁচ মাসের অপেক্ষা। আগামী ১৩ই আগস্ট শেষ হবে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও বিপিএলের ওপর আরোপিত শাস্তির মেয়াদও। তাই আশায় বুক বেঁধেছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুই বছরে নিজেকে ফিরে পেতে শুরু করেছেন একটু একটু করে। বিশেষ করে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে তার দল কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের হয়ে হাঁকিয়েছেন ৩টি সেঞ্চুরি। আসরে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক সেঞ্চুরির মালিক তিনি। ১১ ম্যাচে ৪৬.০০ গড়ে করেছেন ৪৬০ রান। যদিও তার দল খেলছে রেলিগেশন লীগে। নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ আছে আরো দুটি ম্যাচে। খুব দ্রুতই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উঠে যাচ্ছে নিষেধাজ্ঞা। তাই এখনই আলোচনা শুরু হয়েছে আশরাফুলের জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে। তবে নিজে কী ভাবছেন আশরাফুল? এ নিয়ে দৈনিক মানবজমিনকে আশরাফুল বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি আমি এখন জাতীয় দল নিয়ে ভাবছি না। প্রিমিয়ার লীগ শেষ হলে শুরু হবে বিসিএল। এরপর আমার নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে অপেক্ষায় থাকবো ফের বিপিএলে খেলার। যদি সুযোগ পাই সেখানে চেষ্টা করবো নিজেকে আরো একবার ভালোভাবে প্রমাণ করতে। এরপর যদি নির্বাচকরা বা বিসিবি আমাকে জাতীয় দলে সুযোগের কথা ভাবে সেটি ভিন্ন বিষয়। আমার কাজ হলো যেখানেই খেলার সুযোগ থাকবে খেলে যাওয়া ও নিজের সেরাটা দেয়ার।’
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে গেল বছর খুবই বাজে সময় কেটেছে তার। বিশেষ করে তার ফিটনেস নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এবার যখন ভালো করছেন তখনও এ ফিটনেসই তার সামনে বড় প্রশ্ন হয়ে এসেছে। এ বিষয়ে আশরাফুল বলেন, ‘আসলে মাঠে ফেরার শুরুটা ভালো না হলেও আমার চেষ্টা ছিল নিজেকে মানিয়ে নেয়ার। এবার সেটি করতে পেরেছি। ৫০ ওভারের ম্যাচে নিজের ফিটনেস প্রমাণ করতে পেরেছি। এবার বিসিএলে ৪ দিনের ম্যাচে আরো একটি সুযোগ আছে। এরপর বিপিএলে যদি ২০ ওভারের ম্যাচে সুযোগ পাই সেখানেও আরেক ধরনের ফিটনেস চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমি চাইছি আগে তিন ফরমেটের ক্রিকেটে নিজেকে ফিট প্রমাণ করতে। আরেকটা বিষয় হলো বয়স হচ্ছে বা আমার ফিটনেস নেই নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে সেটিও সময়ই বলে দেবে। দেখেন ফিটনেস না থাকলে কেউ সেঞ্চুরি করতে পারে না।’
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে নিজের সেঞ্চুরি তিনটিকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘তিনটি সেঞ্চুরিই করেছি কঠিন পরিস্থিতিতে। আমি যে বড় ইনিংস খেলতে পারি সেই বিশ্বাসটা ফিরেছে এই তিনটি ইনিংসে। আমি সামনেও চাইবো ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। বিশেষ করে এখন তাকিয়ে আছি রেলিগেশনের দুই ম্যাচের দিকে। সেখানে যেন বড় দুটি ইনিংস খেলতে পারি।’
একটা সময় আশরাফুলকে পেতে বড় দলগুলোর যুদ্ধ লেগে যেত। কিন্তু এখন তার দল পাওয়াই কঠিন। খেলেছেন লীগের ছোট দল কলাবাগানে। তাই বাড়তি কোনো চাপ ছিল কিনা তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘না কলাবাগান ছোট দল নয়। আমি মনে করি তারা ভারসাম্যপূর্ণ দলই করে। তবে মাঠে ফেরার পর দুটি বাজে অভিজ্ঞতা হলো। আমি যত দিন প্রিমিয়ার লীগে খেলেছি যে দলেই খেলেছি সেটি সুপার লীগে উঠেছে। এমনকি ছোট দল হলেও সিসিএসকে সুপার লীগে খেলিয়েছি। কিন্তু গেল আসরে ও এ আসরে পারলাম না। এছাড়াও আরো একটি বাজে অভিজ্ঞতা হলো কোনো দিন রেলিগেশনে খেলিনি। এবার সেটিও খেলতে হচ্ছে।
দেখি ও কতদূর যায় ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে দারুণ পারফরম্যান্সের পর ফের আলোচনায় এসেছে আশরাফুলের জাতীয় দলের ফেরার বিষয়টি। বিশেষ করে এ বছরই তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। তাই সেই আলোচনার পালে লেগেছে জোর হাওয়া। তবে আশরাফুলকে নজরে রাখলেও এখনো তাকে নিয়ে চিন্তা করছেন না বলেই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তিনি মানবজমিনকে বলেন, ‘ও (আশরাফুল) তো মাত্র শাস্তি কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছে। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও বিপিএলে এখনো নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই ওকে নিয়ে এখনই আমরা কোনো চিন্তা করছি না। ও খেলতে থাকুক দেখি কত দূর যায়। এখনো ওকে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে আরো অনেক বেশি। বিশেষ করে ওর খেলাই নয়, আমাদের বিবেচনাতে আছে আশরাফুলের অতীত জীবন ও কর্মকাণ্ডও। ফিক্সিংয়ের মতো একটি বিষয়ের সঙ্গে ও জড়িয়ে গেছে। তাই আমাদের বিবেচনাতে আসবে সেই সব বিষয়ও। কারণ ওকে দলে নিলে অন্য ক্রিকেটারদের মতামতের একটি বিষয় আছে। বিসিবির সিদ্ধান্তেরও একটি বিষয় আছে।’
আশরাফুলের তিন সেঞ্চুরি নিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘তিনটি সেঞ্চুরি করেছে আমরা দেখেছি। কিন্তু এখনই তা নিয়ে বড় আশা করে লাভ নেই। ওকে বিসিএল, বিপিএল আছে সেখানেও নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। আর বড় বিষয় হলো নিষেধাজ্ঞাটা আগে উঠে যাক তারপর এ নিয়ে ভাববো প্রয়োজন হলে।’
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে গেল বছর খুবই বাজে সময় কেটেছে তার। বিশেষ করে তার ফিটনেস নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এবার যখন ভালো করছেন তখনও এ ফিটনেসই তার সামনে বড় প্রশ্ন হয়ে এসেছে। এ বিষয়ে আশরাফুল বলেন, ‘আসলে মাঠে ফেরার শুরুটা ভালো না হলেও আমার চেষ্টা ছিল নিজেকে মানিয়ে নেয়ার। এবার সেটি করতে পেরেছি। ৫০ ওভারের ম্যাচে নিজের ফিটনেস প্রমাণ করতে পেরেছি। এবার বিসিএলে ৪ দিনের ম্যাচে আরো একটি সুযোগ আছে। এরপর বিপিএলে যদি ২০ ওভারের ম্যাচে সুযোগ পাই সেখানেও আরেক ধরনের ফিটনেস চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমি চাইছি আগে তিন ফরমেটের ক্রিকেটে নিজেকে ফিট প্রমাণ করতে। আরেকটা বিষয় হলো বয়স হচ্ছে বা আমার ফিটনেস নেই নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে সেটিও সময়ই বলে দেবে। দেখেন ফিটনেস না থাকলে কেউ সেঞ্চুরি করতে পারে না।’
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে নিজের সেঞ্চুরি তিনটিকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘তিনটি সেঞ্চুরিই করেছি কঠিন পরিস্থিতিতে। আমি যে বড় ইনিংস খেলতে পারি সেই বিশ্বাসটা ফিরেছে এই তিনটি ইনিংসে। আমি সামনেও চাইবো ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। বিশেষ করে এখন তাকিয়ে আছি রেলিগেশনের দুই ম্যাচের দিকে। সেখানে যেন বড় দুটি ইনিংস খেলতে পারি।’
একটা সময় আশরাফুলকে পেতে বড় দলগুলোর যুদ্ধ লেগে যেত। কিন্তু এখন তার দল পাওয়াই কঠিন। খেলেছেন লীগের ছোট দল কলাবাগানে। তাই বাড়তি কোনো চাপ ছিল কিনা তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘না কলাবাগান ছোট দল নয়। আমি মনে করি তারা ভারসাম্যপূর্ণ দলই করে। তবে মাঠে ফেরার পর দুটি বাজে অভিজ্ঞতা হলো। আমি যত দিন প্রিমিয়ার লীগে খেলেছি যে দলেই খেলেছি সেটি সুপার লীগে উঠেছে। এমনকি ছোট দল হলেও সিসিএসকে সুপার লীগে খেলিয়েছি। কিন্তু গেল আসরে ও এ আসরে পারলাম না। এছাড়াও আরো একটি বাজে অভিজ্ঞতা হলো কোনো দিন রেলিগেশনে খেলিনি। এবার সেটিও খেলতে হচ্ছে।
দেখি ও কতদূর যায় ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে দারুণ পারফরম্যান্সের পর ফের আলোচনায় এসেছে আশরাফুলের জাতীয় দলের ফেরার বিষয়টি। বিশেষ করে এ বছরই তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। তাই সেই আলোচনার পালে লেগেছে জোর হাওয়া। তবে আশরাফুলকে নজরে রাখলেও এখনো তাকে নিয়ে চিন্তা করছেন না বলেই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তিনি মানবজমিনকে বলেন, ‘ও (আশরাফুল) তো মাত্র শাস্তি কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছে। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও বিপিএলে এখনো নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই ওকে নিয়ে এখনই আমরা কোনো চিন্তা করছি না। ও খেলতে থাকুক দেখি কত দূর যায়। এখনো ওকে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে আরো অনেক বেশি। বিশেষ করে ওর খেলাই নয়, আমাদের বিবেচনাতে আছে আশরাফুলের অতীত জীবন ও কর্মকাণ্ডও। ফিক্সিংয়ের মতো একটি বিষয়ের সঙ্গে ও জড়িয়ে গেছে। তাই আমাদের বিবেচনাতে আসবে সেই সব বিষয়ও। কারণ ওকে দলে নিলে অন্য ক্রিকেটারদের মতামতের একটি বিষয় আছে। বিসিবির সিদ্ধান্তেরও একটি বিষয় আছে।’
আশরাফুলের তিন সেঞ্চুরি নিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘তিনটি সেঞ্চুরি করেছে আমরা দেখেছি। কিন্তু এখনই তা নিয়ে বড় আশা করে লাভ নেই। ওকে বিসিএল, বিপিএল আছে সেখানেও নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। আর বড় বিষয় হলো নিষেধাজ্ঞাটা আগে উঠে যাক তারপর এ নিয়ে ভাববো প্রয়োজন হলে।’