দেশ বিদেশ

‘বিশ্রাম নিতে’ পদত্যাগ করেছেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট

মানবজমিন ডেস্ক

২২ মার্চ ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

‘বিশ্রাম নেয়ার জন্য’ পদত্যাগ করেছেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন চ। বুধবার ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছে তার কার্যালয়। এতে বলা হয়েছে, বর্তমান দায়িত্ব ও দায়বোধ থেকে বিশ্রামে থাকার জন্য তিনি পদত্যাগ করেছেন এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবরে বলা হয়, মিয়ানমারে প্রেসিডেন্টের পদ আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। তবে এ পদের অধিকারী থিন চ মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের একজন। সম্প্রতি স্থানীয় মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট অসুস্থ। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা সে খবরকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। গত নির্বাচনে অং সান সুচির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি ব্যাপক বিজয় অর্জন করে। ফলে ক্ষমতায় আসেন সুচি। কিন্তু দেশের সংবিধানের কারণে তিনি প্রেসিডেন্টের উপরে যেতে পারেন না। এ জন্যই তিনি নিজের খুব ঘনিষ্ঠ এই ব্যক্তিকে হাত ধরে টেনে নিয়ে আসেন। বসিয়ে দেন প্রেসিডেন্ট পদে। তারপর থেকে তার সঙ্গে প্রশাসনের কারো কোনো দ্বন্দ্বের কথা শোনা যায় নি। এমন কি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সারা বিশ্ব থেকে যখন নিন্দার ঝড় উঠেছে তখনও মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট কোনো কথা বলেন নি। শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করলেন। এখন শূন্য পদ কীভাবে পূরণ করা হবে, কাকে বসানো হবে ওই পদে সেদিকে তাকিয়ে থাকবেন পর্যবেক্ষকরা। প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে বলা হয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭৩ (বি)-এর অধীনে সাত কর্মদিবসের মধ্যে শূন্য পদে নতুন প্রেসিডেন্ট নিয়োগের পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিবিসি বাংলার এক খবরে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে ঐতিহাসিক এক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন থিন চ। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে চলা সেনা শাসনের অবসান হয়। তবে সেটিকেও কাগজে কলমে শুধু অবসান বলে মনে করা হয়। সেই অর্থে প্রেসিডেন্ট হিসেবে থিন চ’র তেমন কোনো ক্ষমতা ছিল না। দীর্ঘ দিনের বিরোধী নেত্রী সুচিকে বলা হতো ‘ডি ফ্যাক্টো’ নেতা। তবে তারপরও আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কোনো উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব নেয়ার ক্ষেত্রে সুচি’র ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
দেশটির সংবিধানে এমন একটি ধারা রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে মিয়ানমারের কারো সন্তান যদি অন্য দেশের নাগরিক হন তাহলে তিনি এমন দায়িত্ব নিতে পারবেন না। অনেকেই মনে করে সুচিকে এমন ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতেই ইচ্ছা করে সংবিধানে এমন ধারা রাখা হয়েছে। সুচি একজন প্রয়াত বৃটিশ নাগরিকের বিবাহিত স্ত্রী ছিলেন এবং তাদের দু’টি সন্তান রয়েছে। থিন চ ছিলেন সুচির দীর্ঘদিনের পুরনো বন্ধু ও উপদেষ্টা। তিনি সবসময় কথা খুব কম বলতেন। তবে তাকে সবসময় সুচির খুব নির্ভরযোগ্য একজন সহযোগী বলে মনে করা হয়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status