‘গণতন্ত্রহীন দেশে উন্নয়নশীল দেশের তকমা অর্থহীন’

কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। আজ বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপি বৈঠকে দলের সিনিয়র নেতারা অংশ নেন। এতে ৯ টি দেশের দূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএসএআইডির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রহীন দেশে উন্নয়নশীল দেশের তকমা লাগানো অর্থহীন ব্যাপার। যে দেশে গণতন্ত্র নেই, সে দেশে উন্নয়নশীল দেশের তকমা পুরোপুরি অর্থহীন। এটি জনগণের কাজে আসবে না। আজ দেশের কোথাও গণতন্ত্র নেই, মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। গণতন্ত্র ছাড়া কখনো সত্যিকারের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে সরকারি খরচে জনসভা করছেন, নৌকা মার্কায় ভোট চাইছেন। আর আমাদের কোথাও সভা সমাবেশ তো দূরের কথা রাস্তায় দাঁড়াতেও দিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে রাষ্ট্রীয় খরচে নির্বাচনী জনসভা করা বিধি পরিপন্থী। এটি প্রধানমন্ত্রী করছেন। মওদুদ আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত খরচে দলীয় প্রধান হিসেবে ভোট চাইতেই পারেন। তবে সমান সুযোগ বিরোধী দলগুলোকেও দিতে হবে। কিন্তু সেটি না করে একজনকে জেলে আটকে রেখেছে, আরেকজন সরকারি খরচে ভোটের অঙ্গীকার আদায় করছেন। অথচ নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, ইসমাইল হোসেন জবিউল্লাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, রুমিন ফারহানা প্রমুখ। বিদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে ছিলেন সুইজারল্যান্ড, স্পেন, সৌদি আরব ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সচিব, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, জাপান ও নেদারল্যান্ডের ডেপুটি রাষ্ট্রদূত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেপুটি চিফ, ইউএসএআইডির কান্ট্রি ম্যানেজার।