বাংলারজমিন
বানিয়াচঙ্গে বেড়েছে ট্রান্সফরমার চুরি
বানিয়াচঙ্গ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৮ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
বানিয়াচঙ্গ উপজেলায় কয়েক দিনের ব্যবধানে ৭টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ৭টি ট্রান্সফরমারের মধ্যে ১টি আবাসিক গ্রাহক এবং ৬টি রয়েছে সেচ গ্রাহকদের। এ ট্রান্সফরমার চুরির কারণে ব্যাহত হচ্ছে কৃষকের ধানি জমিতে পানি দেয়ার কাজ। কৃষকের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেচ প্রকল্পের মালিকপক্ষও। এ চুরি রোধে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে প্রচার প্রচারণা চালালেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ইতিমধ্যে বানিয়াচঙ্গ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এজিএম কাজী রাকিবুল ইলসামকে প্রধান করে ও সহ-এনফোর্সমেন্ট শামীমকে সদস্য করে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বানিয়াচঙ্গ থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে বানিয়াচঙ্গ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্তৃপক্ষ। একের পর এক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আবাসিক ও বিদ্যুৎচালিত সেচ প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে বানিয়াচঙ্গ ২নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নের ঘাগড়া কোনা সেচ প্রকল্পের ৫ কেভি ৩টি, বানেশ্বর বিশ্বাসের পাড়ায় ১৫ কেভি এবং কবিরপুরে গ্রামের ৫ কেভি ৩টি ট্রান্সফরমার রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যায় একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র। চুরিকৃত ট্রান্সফরমারের মূল্য প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বানিয়াচঙ্গ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবু জাফর এ প্রতিনিধিকে জানান, বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক, ট্রান্সফরার চুরির ফলে একদিকে যেমন ক্ষতি হচ্ছে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ, অন্যদিকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে বানিয়াচঙ্গ থানায় ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং সংঘবদ্ধ এ চক্রটিকে ধরিয়ে দিতে জনগণের সহায়তা চেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।