দেশ বিদেশ
স্টিফেন হকিংয়ের মৃত্যুতে গবেষকদের প্রতিক্রিয়া
মানবজমিন ডেস্ক
১৫ মার্চ ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
বিশ্বনন্দিত পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং বুধবার দিনের প্রথমভাগে মৃত্যুবরণ করেছেন। ৭৬ বছর বয়সে মায়ার এই পৃথিবীকে বিদায় জানালেন তিনি। রেখে গেছেন স্ত্রী, তিন সন্তান, লাখ লাখ ভক্তসহ পৃথিবী বদলে দেয়া নিজের বিখ্যাত সব গবেষণাকর্ম। একসময় স্টিফেন দুরারোগ্য ব্যাধিকে পরাজিত করে অব্যাহত রেখেছেন গবেষণাকর্ম। কিন্তু অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে ইহজগৎ ত্যাগ করলেন তিনি। কীর্তিমান এই পদার্থবিজ্ঞানীর প্রয়াণে শোকের সাগরে ভাসছে বিশ্ব। বিশ্ব নেতারা বলছেন, তার প্রস্থান বিশ্ববাসীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। বাবার মৃত্যুর বিষয়ে তার তিন সন্তান বলেন, তিনি ছিলেন একজন মহান বিজ্ঞানী ও অসাধারণ মানুষ। যার কর্ম বহু বছর বিশ্বের বুকে টিকে থাকবে। তার মেধা, উৎসাহ ও অধ্যবসায় বিশ্বজুড়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা তার শূন্যতা অনুভব করবো। আর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব-এর প্রতিষ্ঠাতা টিম বার্নার্স লি বলেন, আমরা একটি বিশাল মন ও বিস্ময়কর আত্মা হারিয়েছি। শান্তিতে থাকুন স্টিফেন হকিং। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর স্টিফেন টপি বলেন, প্রফেসর হকিং অতুলনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। শুধু কেমব্রিজই না, গোটা বিশ্ব তাকে স্বরণ করবে। গণিত ও বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করে তুলতে তার অবদান মানুষ চিরদিন স্মরণ করবে। তিনি লাখ লাখ মানুষের অনুপ্রেরণা। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কসমোলজি ও অ্যাস্ট্রোফিজিকস বিভাগের ইমিরেটাস অধ্যাপক প্রফেসর লর্ড মার্টিন রিস বলেন, ১৯৬৪ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রাজুয়েট ছাত্র হিসেবে ভর্তি হওয়ার পর আমি একজন ছাত্রের দেখা পেলাম। যিনি পড়ালেখায় আমার থেকে দু’বছর এগিয়ে। নিজের পায়ের ওপর ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারতেন না। কথা বলতেও অনেক কষ্ট হতো। তিনিই ছিলেন স্টিফেন হকিং। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। এই অবস্থায় তার পিএইচডি সম্পন্ন করাই অসম্ভব হয়ে পড়েছিলো। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ৭৬ বছর বেঁচে থাকলেন তিনি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে বেঁচে থাকাই যেখানে মিরাকল, সেখানে তিনি শুধু বেঁচেই থাকেন নি। বরং বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানীতে পরিণত হয়েছেন।
স্টিফেন হকিংয়ের বিষয়ে নাসা বলেছে, তার তত্ত্বগুলো মানুষের সামনে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। তার দেয়া সূত্র ধরেই আমরা এখন বিশ্বকে জানতে পারছি। মাইক্রোগ্রাভিটিতেও স্টিফেন সুপারম্যানের মতো উড়তে থাকুন। যেমনটি তিনি ২০১৪ সালে বলেছিলেন।
স্টিফেন হকিংয়ের বিষয়ে নাসা বলেছে, তার তত্ত্বগুলো মানুষের সামনে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। তার দেয়া সূত্র ধরেই আমরা এখন বিশ্বকে জানতে পারছি। মাইক্রোগ্রাভিটিতেও স্টিফেন সুপারম্যানের মতো উড়তে থাকুন। যেমনটি তিনি ২০১৪ সালে বলেছিলেন।