বাংলারজমিন
মাদরাসা ছাত্রীর দুপায়ের রগ কেটে দিলো সাবেক স্বামী
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া/সরাইল প্রতিনিধি
১৫ মার্চ ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
সরাইলে এক মাদরাসা ছাত্রীর দু-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে তার সাবেক স্বামী। এসময় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে ঢাকা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সরাইল থানায় মাদরাসা ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সাবেক স্বামীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
জানা যায়, উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের ইসমাঈল মিয়ার মেয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী রায়হানা আক্তার নুছরাতের বিয়ে হয় একই গ্রামের মৃত মব্বত আলীর ছেলে কামরুল মিয়ার সাথে। বিয়ের পর জানতে পারে স্বামী কামরুল মিয়া একজন মাদকাসক্ত। অর্থের জন্য বিভিন্ন সময় নুছরাতকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে কামরুল। একপর্যায়ে যৌতুক হিসেবে ৫ লাখ টাকা দেয়ার জন্যে চাপ দেয় সে নুছরাতকে। টাকা না দেয়ায় শারীরিক নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। এসব সহ্য করতে না পেরে ৭ মাস পূর্বে স্ত্রী রায়হানা আক্তার নুছরাত নিজেই তার স্বামী কামরুল মিয়াকে তালাক দেন। এরপর আবার স্থানীয় শাহবাজপুর হাজীপাড়া মহিলা মাদরাসায় ভর্তি হন নুছরাত। এরপর থেকে তার পিছনে উঠে পড়ে লাগে সাবেক স্বামী কামরুল মিয়া। মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত ও ভয়ভীতিও প্রর্দশন করতে থাকে সে। ১৩ই মার্চ সকালে নুছরাত মাদরাসা যাওয়ার পথে হাবলিপাড়া মসজিদের সামনে তাকে একা পেয়ে সাবেক স্বামী কামরুল মিয়া ও তার সহযোগীরা নুছরাতের সারা শরীরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। ওইসময় তার দুই পায়ের রগ কর্তন করে করে চলে যায় এরা। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় মাদরাসা ছাত্রীর মা হাজেরা খাতুন বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই সরাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাদ্রসা ছাত্রীর সাবেক স্বামী কামরুল মিয়াকে প্রধান আসামি করে আরও দুইজনকে আসামি করা হয়। এরা হচ্ছে চাইনু মিয়া (৩০) ও বুলবলু মিয়া (৩৫)। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি ৩/৪ জন। মামলার বাদী হাজরো খাতুন জানান মাদকাসক্ত কামরুলের যন্ত্রণায় আমার মেয়ে সংসার ছেড়ে আসলেও সে আমার মেয়ে মাদ্রাসায় আসা ও যাওয়ার পথে হয়রানি করে আসছিল। আমার মেয়ে তার কথায় রাজি না হওয়ায় হত্যা করার জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আামি তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সরাইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মফিজ উদ্দিন ভুইয়া জানান ঘটনাটি খুবই র্মমান্তিক। আমরা সাথে সাথেই মামলা নিয়েছি। আসামি গ্রেপ্তারে নিয়মিত অভিযান চলছে।
জানা যায়, উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের ইসমাঈল মিয়ার মেয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী রায়হানা আক্তার নুছরাতের বিয়ে হয় একই গ্রামের মৃত মব্বত আলীর ছেলে কামরুল মিয়ার সাথে। বিয়ের পর জানতে পারে স্বামী কামরুল মিয়া একজন মাদকাসক্ত। অর্থের জন্য বিভিন্ন সময় নুছরাতকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে কামরুল। একপর্যায়ে যৌতুক হিসেবে ৫ লাখ টাকা দেয়ার জন্যে চাপ দেয় সে নুছরাতকে। টাকা না দেয়ায় শারীরিক নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। এসব সহ্য করতে না পেরে ৭ মাস পূর্বে স্ত্রী রায়হানা আক্তার নুছরাত নিজেই তার স্বামী কামরুল মিয়াকে তালাক দেন। এরপর আবার স্থানীয় শাহবাজপুর হাজীপাড়া মহিলা মাদরাসায় ভর্তি হন নুছরাত। এরপর থেকে তার পিছনে উঠে পড়ে লাগে সাবেক স্বামী কামরুল মিয়া। মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত ও ভয়ভীতিও প্রর্দশন করতে থাকে সে। ১৩ই মার্চ সকালে নুছরাত মাদরাসা যাওয়ার পথে হাবলিপাড়া মসজিদের সামনে তাকে একা পেয়ে সাবেক স্বামী কামরুল মিয়া ও তার সহযোগীরা নুছরাতের সারা শরীরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। ওইসময় তার দুই পায়ের রগ কর্তন করে করে চলে যায় এরা। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় মাদরাসা ছাত্রীর মা হাজেরা খাতুন বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই সরাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাদ্রসা ছাত্রীর সাবেক স্বামী কামরুল মিয়াকে প্রধান আসামি করে আরও দুইজনকে আসামি করা হয়। এরা হচ্ছে চাইনু মিয়া (৩০) ও বুলবলু মিয়া (৩৫)। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি ৩/৪ জন। মামলার বাদী হাজরো খাতুন জানান মাদকাসক্ত কামরুলের যন্ত্রণায় আমার মেয়ে সংসার ছেড়ে আসলেও সে আমার মেয়ে মাদ্রাসায় আসা ও যাওয়ার পথে হয়রানি করে আসছিল। আমার মেয়ে তার কথায় রাজি না হওয়ায় হত্যা করার জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আামি তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সরাইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মফিজ উদ্দিন ভুইয়া জানান ঘটনাটি খুবই র্মমান্তিক। আমরা সাথে সাথেই মামলা নিয়েছি। আসামি গ্রেপ্তারে নিয়মিত অভিযান চলছে।