বিশ্বজমিন

নেপালে হাসপাতালের সামনে স্বজনদের কান্না

মানবজমিন ডেস্ক

১৪ মার্চ ২০১৮, বুধবার, ৩:১৯ পূর্বাহ্ন

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান কি কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে। ওদিকে দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেয় হচ্ছে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে। তাদের স্বজনরা সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। কাঠমান্ডুর এক হাসপাতালের সামনে দেখা গেছে স্বজনদের একজনকে আরেকজন জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। এমন ছবি প্রকাশ করেছে কাঠমান্ডু পোস্ট। ওই পত্রিকার সঙ্গে হাসপাতালের বিছানা থেকে কথা বলেছেন বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রী আশিষ রনজিত। তিনি বালাজুতে একটি ট্রাভেল এজেন্সির অপারেটর। তিনি সহ তাদের এজেন্সির বেশ কয়েকজন বাংলাদেশে এসেছিলেন প্রশিক্ষণ নিতে। আশিষ এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন নরভিচ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে। সেখান থেকে বলেছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে আমি কিছু একটা বিপদের আলামত লক্ষ্য করেছিলাম। ওই সময় বিমানটি ভয়ঙ্করভাবে দুলছিল। ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে গিয়েছিলাম আমি। এ জন্য একজন বিমানবালাকে ডাকলাম। তিনি আমাকে বুড়ো আঙ্গুল উঁচিয়ে দেখালেন। বোঝাতে চাইলেন সব কিছু ঠিক আছে। এর আগে একই রকম কথা বলেন বসন্ত বোহরা। তিনি বলেছেন, আমরা বিমানটির পিছন দিকে বসে ছিলাম। অকস্মাৎ বিমান দুলতে থাকে। এক বন্ধু আমাকে সামনে দৌড়াতে বলে। আমরা পিছনে তাকিয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। সেই আগুনে অনেকে পুড়ে পড়ে যাচ্ছেন মেঝেতে। এক পর্যায়ে আমি বিমানের জানালা ভেঙে বেরিয়ে এলাম। এরপরই চেতনা হারাই। আমাকে কেউ একজন উদ্ধার করে। ওদিকে কি কারণে বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়েছে তা কেউই বলতে পারছেন না। নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক মহাপরিচালক ত্রিরতœ মানান্ধার বলেছেন, বছরের এ সময়টা (ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল) এটা স্বাভাবিক ঘটনা যে, বাতাসের বেগ থাকবে অনেক। ঘূর্ণাকারে বাতাস বইতে থাকে। তা উড়িয়ে নিতে চেষ্টা করে বিমানকে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status