এক্সক্লুসিভ
বিজিবিতে ১৫ হাজার জনবল নিয়োগ দেয়া হবে
আল-আমিন
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শনিবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
সীমান্তের প্রহরা শক্তিশালীকরণ ও সকল রিজিয়নের কর্মকাণ্ডে আরো বেশি গতিশীলতা আনতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’তে ১৫ হাজার সিপাহি নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিগগিরই এই কার্যক্রম শুরু হবে। সারা দেশে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হবে। স্বচ্ছতার ব্যাপারে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী এই প্রতিষ্ঠানটি আপসহীন থাকবে। নতুনভাবে যেসব সিপাহি নিয়োগ করা হবে তাদের সারা দেশে বিজিবির ৬১ বাটালিয়নের মধ্যে যেসব ব্যাটালিয়নে জনবল ঘাটতি রয়েছে সেইসব ব্যাটালিয়নে নিযুক্ত করা হবে। বিশেষ করে কক্সবাজারের রামুতে যে নতুন বিজিবি কর্তৃক নতুন রিজিয়ন স্থাপন করা হয়েছে সেই রিজিয়নে প্রায় অর্ধেক সদস্যদের নিযুক্ত করা হবে। খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার সীমান্তে মাদক, চোরাচালান ও অবৈধ প্রবেশ রোধে তারা দায়িত্ব পালন করবেন। ১৫ হাজার জনবল নিয়োগ হলে সীমান্তে নজরদারি আরো বাড়বে দীর্ঘদিন ধরে জনবলের ঘাটতি কিছুটা হলেও রোধ হবে বলে বিজিবি কর্মকর্তারা জানান।
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন এনডিসি মানবজমিনকে জানান, খুব দ্রুত এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। নিয়োগকৃত ১৫ হাজার জনবল অধিকাংশ নতুন স্থাপিত রিজিয়ন রামুতে পাঠানো হবে। তিনি আরো বলেন, এতে ওই এলাকার সীমান্তে চোরাচালান রোধ করা যাবে। এ ছাড়াও যেসব ব্যাটালিয়নে জনবলের ঘাটতি রয়েছে সেখানে তাদের পাঠানো হবে।
বিজিবির সদর দপ্তরের প্রশাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কখনও কখনও নির্দিষ্ট সময়েরও বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয় বিজিবি সদস্যদের। সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে একটি দল সেখানে না গেলে তারা আর সেখান থেকে নির্দিষ্ট চৌকিতে ফিরতে পারেন না। এটির মূল কারণ হচ্ছে, জনবলের সংকট। এ ছাড়াও সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা একদিকে দায়িত্ব পালন করলে আরেকটি দিক ফাঁকা রয়ে যায়। টহল জোরদার হয় না। তখন চোরাচালানকারীরা এই সুযোগে ব্যবহার করে মাদক, অবৈধ অস্ত্র, গরু, স্বর্ণসহ বিভিন্ন পণ্যাদি সীমান্ত দিয়ে পাচার করে। অনেকে অবৈধ প্রবেশ করে। এতে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমন হুমকির মধ্যে পড়ছে তেমনি করে চোরাচালানের কারণে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
সূত্র জানায়, নিয়োগকৃত ১৫ হাজারের অর্ধেককে নতুন স্থাপিত রিজিয়ন রামুতে পাঠানোর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, কক্সবাজারের নাফ নদীতে টহল জোরদার করা। এই নদীটি মাদক বিশেষ করে ইয়াবা চোরাচালানের অন্যতম একটি রুট বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। নাফ নদীতে মাছ ধরা কালীন দুই দেশের জেলেরা ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার করে থাকে। চোরাচালনকারীরা অনেক সময় বড় মাছের পেট ফেড়ে কৌশলে ইয়াবা ঢুকিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।
বিজিবির জনবলের ঘাটতির কারণে সেখানে থাকা অনেক মাছ ধরাকারী অনেক নৌকা ও সব মাছের ডালি তল্লাশি করার সময় থাকে না। একটি নৌকা তল্লাশির কাজে অতি সময় দিলে অন্য নৌকা ঘাটে দ্রুত ভিড়ে যায়। তখন চোরাচালানকারীরা দ্রুত মাদক নিয়ে সটকে পড়ে। নাফ নদীকেন্দ্রিক চোরাচালান বন্ধ ও সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে তাদের সেখানে দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হবে। ইতিমধ্যে ওই কক্সবাজারের রামুর রিজিয়নে পিলখানার মতো সকল অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
বিজিবির প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বন্যা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিজিবির সদস্যরা গঠনমূলক ভূমিকা পালন করেছে। দেশে সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিলে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বিভিন্নস্থানে তারা টহল দিয়ে থাকেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তাদের টহল আরো বাড়বে বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৮৭ কিলোমিটারের কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেখানে তারা ডিউটি পালন করবেন।
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন এনডিসি মানবজমিনকে জানান, খুব দ্রুত এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। নিয়োগকৃত ১৫ হাজার জনবল অধিকাংশ নতুন স্থাপিত রিজিয়ন রামুতে পাঠানো হবে। তিনি আরো বলেন, এতে ওই এলাকার সীমান্তে চোরাচালান রোধ করা যাবে। এ ছাড়াও যেসব ব্যাটালিয়নে জনবলের ঘাটতি রয়েছে সেখানে তাদের পাঠানো হবে।
বিজিবির সদর দপ্তরের প্রশাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কখনও কখনও নির্দিষ্ট সময়েরও বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয় বিজিবি সদস্যদের। সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে একটি দল সেখানে না গেলে তারা আর সেখান থেকে নির্দিষ্ট চৌকিতে ফিরতে পারেন না। এটির মূল কারণ হচ্ছে, জনবলের সংকট। এ ছাড়াও সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা একদিকে দায়িত্ব পালন করলে আরেকটি দিক ফাঁকা রয়ে যায়। টহল জোরদার হয় না। তখন চোরাচালানকারীরা এই সুযোগে ব্যবহার করে মাদক, অবৈধ অস্ত্র, গরু, স্বর্ণসহ বিভিন্ন পণ্যাদি সীমান্ত দিয়ে পাচার করে। অনেকে অবৈধ প্রবেশ করে। এতে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমন হুমকির মধ্যে পড়ছে তেমনি করে চোরাচালানের কারণে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
সূত্র জানায়, নিয়োগকৃত ১৫ হাজারের অর্ধেককে নতুন স্থাপিত রিজিয়ন রামুতে পাঠানোর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, কক্সবাজারের নাফ নদীতে টহল জোরদার করা। এই নদীটি মাদক বিশেষ করে ইয়াবা চোরাচালানের অন্যতম একটি রুট বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। নাফ নদীতে মাছ ধরা কালীন দুই দেশের জেলেরা ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার করে থাকে। চোরাচালনকারীরা অনেক সময় বড় মাছের পেট ফেড়ে কৌশলে ইয়াবা ঢুকিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।
বিজিবির জনবলের ঘাটতির কারণে সেখানে থাকা অনেক মাছ ধরাকারী অনেক নৌকা ও সব মাছের ডালি তল্লাশি করার সময় থাকে না। একটি নৌকা তল্লাশির কাজে অতি সময় দিলে অন্য নৌকা ঘাটে দ্রুত ভিড়ে যায়। তখন চোরাচালানকারীরা দ্রুত মাদক নিয়ে সটকে পড়ে। নাফ নদীকেন্দ্রিক চোরাচালান বন্ধ ও সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে তাদের সেখানে দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হবে। ইতিমধ্যে ওই কক্সবাজারের রামুর রিজিয়নে পিলখানার মতো সকল অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
বিজিবির প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বন্যা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিজিবির সদস্যরা গঠনমূলক ভূমিকা পালন করেছে। দেশে সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিলে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বিভিন্নস্থানে তারা টহল দিয়ে থাকেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তাদের টহল আরো বাড়বে বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৮৭ কিলোমিটারের কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেখানে তারা ডিউটি পালন করবেন।