এক্সক্লুসিভ
ইউনিসেফ
দুর্যোগ ঝুঁকিতে রোহিঙ্গা শিশুরা
মানবজমিন ডেস্ক
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শনিবার, ৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা শিশুরা দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুমে তাদের সুরক্ষার জন্য কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হলে নির্যাতিত এসব শিশু ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ-এর এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কটের ছয় মাস পূর্ণ হওয়ায় ‘লিভস ইন লিম্বো’ বা ‘নরকের জীবন’- শীর্ষক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুমে ঝড় ও তা থেকে সৃষ্ট বন্যা অস্বাস্থ্যকর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের শিশুদের জীবনযাত্রা আরো ভয়াবহ করে তুলতে পারে। কেননা সেখানে পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার প্রকট আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে সেখানকার শিশুরা যে সামান্য সেবা পেয়ে থাকে তাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিয়ানমারের রাখাইনে এখনো ১ লাখ ৮৫ হাজার শিশু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। আর বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা শিশুর সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ ৩৪ হাজার। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে ৭ লাখ ২০ হাজার শিশু বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে ইউনিসেফের জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালক ম্যানুয়েল ফন্টেইন বলেন, এটা এমন একটি সঙ্কট যার কোনো তাৎক্ষণিক সমাধান নেই। সমন্বিত প্রচেষ্টা না থাকলে এই সঙ্কট সমাধানে বহু বছর লেগে যেতে পারে। নিজেদের বসতভিটা থেকে উৎখাত হয়ে রোহিঙ্গারা এখন পরিত্যক্ত। তারা নরকে আটকা পড়েছে। তিনি সহিংসতা বন্ধের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা, শিক্ষা, জীবিকা ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। ফন্টেইন বলেন, রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি তাদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। কেননা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পেলে তারা রাখাইনে ফিরে যাবে না। এছাড়া ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ইউনিসেফসহ অন্যান্য ত্রাণ সংস্থাগুলোর রাখাইনে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান ফন্টেইন।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে ইউনিসেফের জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালক ম্যানুয়েল ফন্টেইন বলেন, এটা এমন একটি সঙ্কট যার কোনো তাৎক্ষণিক সমাধান নেই। সমন্বিত প্রচেষ্টা না থাকলে এই সঙ্কট সমাধানে বহু বছর লেগে যেতে পারে। নিজেদের বসতভিটা থেকে উৎখাত হয়ে রোহিঙ্গারা এখন পরিত্যক্ত। তারা নরকে আটকা পড়েছে। তিনি সহিংসতা বন্ধের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা, শিক্ষা, জীবিকা ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। ফন্টেইন বলেন, রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি তাদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। কেননা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পেলে তারা রাখাইনে ফিরে যাবে না। এছাড়া ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ইউনিসেফসহ অন্যান্য ত্রাণ সংস্থাগুলোর রাখাইনে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান ফন্টেইন।