প্রথম পাতা
ভারতীয় সেনাপ্রধানের দাবি
ভারতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের নেপথ্যে পাকিস্তান সমর্থনে চীন
মানবজমিন ডেস্ক
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত দাবি করেছেন, আসামে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ‘পরিকল্পিত’। আর চীনের সমর্থনে প্রক্সি যুদ্ধের অংশ হিসেবে সেখানে বিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ কাজ করে যাচ্ছে পাকিস্তান। বুধবার তিনি এমন মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, আসামের বেশ কয়েকটি জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে ভারতীয় সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন। আসাম রাজ্যে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তুলনায় বদরুদ্দিন আজমলের নেতৃত্বাধীন এআইইউডিএফ এর সমর্থন বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেন তিনি। জেনারেল রাওয়াত বলেন, ‘আমাদের পশ্চিমা প্রতিবেশীর (পাকিস্তান) কারণে পরিকল্পিত অভিবাসন চলছে।
তারা সবসময় চেষ্টা করবে এবং নিশ্চিত করতে চাইবে যে এ এলাকা যেন আয়ত্তে নেয়া যায়, তারা এমন প্রক্সি যুদ্ধ খেলতে চায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের পশ্চিমা প্রতিবেশী এই প্রক্সি গেমটা ভালোই খেলে। এতে সমর্থন দেয় আমাদের উত্তর সীমান্তের প্রতিবেশি (চীন)। এ এলাকায় বিশৃঙ্খলা রাখাই এর লক্ষ্য। এর সমাধান হলো সমস্যাগুলো শনাক্ত করা এবং সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেগুলো দেখা।’ বাংলাদেশ থেকে অভিবাসনের আরেক কারণ হিসেবে ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেছেন, বন্যাসহ নানা কারণে এদেশের ভূখণ্ড কমে যাচ্ছে।
ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক এক কনফারেন্সে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিপিন রাওয়াত।
আসামের রাজনৈতিক দল এআইইউডিএফ’কে নিয়ে তিনি বলেন, আপনি যদি দলটির দিকে তাকান তাহলে দেখবেন তারা বিগত বছরগুলোতে বিজেপির চেয়েও দ্রুতগতিতে বেড়েছে। আসামে তারা খুবই দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এআইইউডিএফ আসামে মুসলিমদের ইস্যুগুলো নিয়ে সচেষ্ট। বর্তমানে লোকসভায় তাদের তিনজন পার্লামেন্টারিয়ান আছেন। রাজ্যসভায় আছেন ১৩ জন আইনপ্রণেতা।
এদিকে, মুসলিম অভিবাসনের কারণে দলের লোক বাড়ছে সেনাপ্রধানের এমন ইঙ্গিতে বিস্মিত হয়েছেন বলে জানান এআইইউডিএফ এর প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দিন আজমল। এক টুইটে তিনি বলেন, ‘জেনারেল বিপিন রাওয়াত একটি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন, শকিং!’
তিনি আরো বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি রাজনৈতিক দল বিজেপির চেয়ে দ্রুত বাড়ছে তা নিয়ে সেনাপ্রধানের কেন মাথাব্যথা? বড় দলগুলোর দুঃশাসনের জন্যই এআইইউডিএফ, এএপি’র মতো বিকল্প দলগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েছে।’
রিপোর্টে বলা হয়েছে, আসামের বেশ কয়েকটি জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে ভারতীয় সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন। আসাম রাজ্যে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তুলনায় বদরুদ্দিন আজমলের নেতৃত্বাধীন এআইইউডিএফ এর সমর্থন বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেন তিনি। জেনারেল রাওয়াত বলেন, ‘আমাদের পশ্চিমা প্রতিবেশীর (পাকিস্তান) কারণে পরিকল্পিত অভিবাসন চলছে।
তারা সবসময় চেষ্টা করবে এবং নিশ্চিত করতে চাইবে যে এ এলাকা যেন আয়ত্তে নেয়া যায়, তারা এমন প্রক্সি যুদ্ধ খেলতে চায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের পশ্চিমা প্রতিবেশী এই প্রক্সি গেমটা ভালোই খেলে। এতে সমর্থন দেয় আমাদের উত্তর সীমান্তের প্রতিবেশি (চীন)। এ এলাকায় বিশৃঙ্খলা রাখাই এর লক্ষ্য। এর সমাধান হলো সমস্যাগুলো শনাক্ত করা এবং সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেগুলো দেখা।’ বাংলাদেশ থেকে অভিবাসনের আরেক কারণ হিসেবে ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেছেন, বন্যাসহ নানা কারণে এদেশের ভূখণ্ড কমে যাচ্ছে।
ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক এক কনফারেন্সে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিপিন রাওয়াত।
আসামের রাজনৈতিক দল এআইইউডিএফ’কে নিয়ে তিনি বলেন, আপনি যদি দলটির দিকে তাকান তাহলে দেখবেন তারা বিগত বছরগুলোতে বিজেপির চেয়েও দ্রুতগতিতে বেড়েছে। আসামে তারা খুবই দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এআইইউডিএফ আসামে মুসলিমদের ইস্যুগুলো নিয়ে সচেষ্ট। বর্তমানে লোকসভায় তাদের তিনজন পার্লামেন্টারিয়ান আছেন। রাজ্যসভায় আছেন ১৩ জন আইনপ্রণেতা।
এদিকে, মুসলিম অভিবাসনের কারণে দলের লোক বাড়ছে সেনাপ্রধানের এমন ইঙ্গিতে বিস্মিত হয়েছেন বলে জানান এআইইউডিএফ এর প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দিন আজমল। এক টুইটে তিনি বলেন, ‘জেনারেল বিপিন রাওয়াত একটি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন, শকিং!’
তিনি আরো বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি রাজনৈতিক দল বিজেপির চেয়ে দ্রুত বাড়ছে তা নিয়ে সেনাপ্রধানের কেন মাথাব্যথা? বড় দলগুলোর দুঃশাসনের জন্যই এআইইউডিএফ, এএপি’র মতো বিকল্প দলগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েছে।’