বাংলারজমিন
শেরপুরে টমেটোর মণ ২০ টাকা
মতিউল আলম, শেরপুর থেকে ফিরে
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
টমেটো চাষ করে চোখের জলে ভাসছে কৃষকদের দু’গাল। খাবে কি, ঋণের টাকা পরিশোধ করবে কিভাবে? শেরপুরে পাইকারি বাজারে ২০টাকা থেকে ৪০ টাকা প্রতি মণ টমেটো বিক্রি করছে শত শত কৃষক। বাজার মূল্য কম থাকায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে প্রান্তিক চাষিরা। খুচরা ১ থেকে দেড় টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ অর্ধেক টাকাও উঠে আসছে না। শেরপুর সদর উপজেলার কৃষকরা জানান, বেতমারি, সাহেবেরচর, চরজঙ্গলদি, জঙ্গলদি নতুনপাড়াসহ চরাঞ্চলের শত শত কৃষক টমেটো চাষ করেছিল লাভের আশায়। সেই টমেটো আজ কষ্টের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য সব সবজির বেশি মূল্য থাকলেও টমেটোর বাজার ধস নেমে আসায় কৃষকরা পাগলপ্রায়। গত সোমবার সরেজমিনে গেলে শেরপুর ১১নং বলাইচর ইউনিয়নের জঙ্গলদি নতুনপাড়া গ্রামের কৃষক পলাশ হাসান (৩২) কেমন জিজ্ঞাসা করতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন, তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, চোখের জল ছাড়া আমার কিছুই নেই। ঋণ করে ২ বিঘা জমিতে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে টমেটো চাষ করেছিলাম। বাজার মূল্য কমে যাওয়ায় খরচের অর্ধেক টাকা তুলতে পারবো না। এখন শুধু ঋণের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো। পরিবারের লোকজনকে কিভাবে খাওয়াবো। পানির দরে টমেটো বিক্রি করতে হচ্ছে।
একই গ্রামের কৃষক সহিদুল ইসলাম (৪০) বলেন, ১২ হাজার টাকা খরচ করে ১৫ শতাংশ জমিতে টমেটোর চাষ করেছিলাম। টমেটোর মূল্য না পাওয়ায় এখন গাছ কেটে ফেলে দিচ্ছি। বেতমারি গ্রামের কৃষক বকুল জানান, তিনি এ বছর ৩৫ শতাংশ জমিতে ২০ হাজার টাকা টমেটো চাষ করেছেন। এক থেকে দেড় টাকা কেজি হিসেবে এ পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা টমেটো বিক্রি করেছেন। কৃষক রফিক জানান, সে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে ১ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছিলেন। এখন উৎপাদন খরচের অর্ধেক টাকাও বিক্রি করতে পারবো না। প্রতি মণ টমেটো ২০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। দুশ্চিন্তায় রাতের গুম হারাম হয়ে যাচ্ছে। শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাবু পিকন কুমার সাহা জানান, শেরপুর সদরে ২’শ ৫০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল টমেটো চাষ হয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ৪০ টন টমেটো উৎপাদন হয়। কিন্তু বাজার মূল্য কমে যাওয়ায় কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না।
কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্য পায় এ জন্য আমরা বাজার ধরার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা বেশ ক’টি ফুড প্রসেসিং কোম্পানির সঙ্গে কথা বলেছি। এরমধ্যে ভেগান এগ্রো কোম্পানির সঙ্গে কথা হয়েছে তারা টমেটো কিনবে। ঢাকার কাওরান বাজার টমেটো বিক্রির জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।
একই গ্রামের কৃষক সহিদুল ইসলাম (৪০) বলেন, ১২ হাজার টাকা খরচ করে ১৫ শতাংশ জমিতে টমেটোর চাষ করেছিলাম। টমেটোর মূল্য না পাওয়ায় এখন গাছ কেটে ফেলে দিচ্ছি। বেতমারি গ্রামের কৃষক বকুল জানান, তিনি এ বছর ৩৫ শতাংশ জমিতে ২০ হাজার টাকা টমেটো চাষ করেছেন। এক থেকে দেড় টাকা কেজি হিসেবে এ পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা টমেটো বিক্রি করেছেন। কৃষক রফিক জানান, সে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে ১ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছিলেন। এখন উৎপাদন খরচের অর্ধেক টাকাও বিক্রি করতে পারবো না। প্রতি মণ টমেটো ২০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। দুশ্চিন্তায় রাতের গুম হারাম হয়ে যাচ্ছে। শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাবু পিকন কুমার সাহা জানান, শেরপুর সদরে ২’শ ৫০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল টমেটো চাষ হয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ৪০ টন টমেটো উৎপাদন হয়। কিন্তু বাজার মূল্য কমে যাওয়ায় কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না।
কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্য পায় এ জন্য আমরা বাজার ধরার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা বেশ ক’টি ফুড প্রসেসিং কোম্পানির সঙ্গে কথা বলেছি। এরমধ্যে ভেগান এগ্রো কোম্পানির সঙ্গে কথা হয়েছে তারা টমেটো কিনবে। ঢাকার কাওরান বাজার টমেটো বিক্রির জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।