এক্সক্লুসিভ
ভাষার জন্য ভালোবাসা
তারুণ্য ডেস্ক
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ৯:০৫ পূর্বাহ্ন
২১শে ফেব্রুয়ারি। বাঙালির শোকের দিন। গর্বের দিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ ভাষা শহীদদের বুকের তাজা রক্ত ঝরে। সে দিনটির স্মৃতি বাঙালির মনে অমর হয়ে আছে শহীদ দিবস হিসেবে। এদিন ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদমিনার ভেসে যায় ফুলে ফুলে। অর্ধনমিত রাখা হয় জাতীয় পতাকা। পাশে তোলা হয় কালো পতাকা। তবে, ভাষা শহীদদের এই মহান আত্মত্যাগের মহিমা শুধু বাঙালি জাতির অন্তরেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ছড়িয়ে গেছে বিশ্ববাসীর প্রাণে। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর থেকে দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয় বিশ্বব্যাপী। এ বছর অমর একুশের ৬ দশক পূর্তি হওয়ায় দেশজুড়ে উদযাপনের আয়োজনে যোগ হয় ভিন্নমাত্রা। একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে রাষ্ট্রীয়ভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনে খালি পায়ে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়। ভাষা শহীদদের স্মরণ করেন কৃতজ্ঞচিত্তে, ফুলেল শ্রদ্ধায়। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে বাঙালির শোক ও অহঙ্কারের প্রতীক শহীদ মিনার।
ভাষা শহীদদের জন্য, ভাষার জন্য এই যে আমাদের শ্রদ্ধার বিনম্র প্রকাশ, এটা শুধু এই দিনটিতেই নয়, প্রজ্বলিত থাকুক সারা বছর। ভাষার বিকৃতি রোধে আমাদের ভেতর গড়ে উঠুক সচেতনতা। ইদানীং বাংলার সঙ্গে ইংরেজি মিশিয়ে কথা বলার একটা ট্রেন্ড তরুণ প্রজন্মের ভেতর দেখা যায়। ইংরেজি ভাষাটি জানা আমাদের প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট জরুরি, এ কথা ঠিক- অনস্বীকার্যও। তাই বলে নিজের ভাষা বাংলাতে কথা বলার সময় অতিরিক্ত ইংরেজি মিশিয়ে কথা বলাকে আদিখ্যেতা বললে ভুল হবে না। এই কথাটা যতটুকু সম্ভব মাথায় রেখে পরিশীলিত বাংলায় কথা বলার চেষ্টা তরুণ প্রজন্মের মনে বছরব্যাপী প্রচ্ছন্নভাবে থাকুক। সেটাই হতে পারে ভাষার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ। প্রিয় তারুণ্য, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই মাতৃভাষা। সেই তাজা রক্ত শহীদেরা ঝরিয়েছিলেন অন্তরের অন্তস্তলে ভাষারপ্রতি তীব্র ভালোবাসা ও দায়বোধ থেকে। তাই, ভাষার জন্য ভালোবাসা থাকুক আমাদের অন্তরে। আর ভাষার গর্ব উদযাপিত হোক আমাদের কথায়।
ভাষা শহীদদের জন্য, ভাষার জন্য এই যে আমাদের শ্রদ্ধার বিনম্র প্রকাশ, এটা শুধু এই দিনটিতেই নয়, প্রজ্বলিত থাকুক সারা বছর। ভাষার বিকৃতি রোধে আমাদের ভেতর গড়ে উঠুক সচেতনতা। ইদানীং বাংলার সঙ্গে ইংরেজি মিশিয়ে কথা বলার একটা ট্রেন্ড তরুণ প্রজন্মের ভেতর দেখা যায়। ইংরেজি ভাষাটি জানা আমাদের প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট জরুরি, এ কথা ঠিক- অনস্বীকার্যও। তাই বলে নিজের ভাষা বাংলাতে কথা বলার সময় অতিরিক্ত ইংরেজি মিশিয়ে কথা বলাকে আদিখ্যেতা বললে ভুল হবে না। এই কথাটা যতটুকু সম্ভব মাথায় রেখে পরিশীলিত বাংলায় কথা বলার চেষ্টা তরুণ প্রজন্মের মনে বছরব্যাপী প্রচ্ছন্নভাবে থাকুক। সেটাই হতে পারে ভাষার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ। প্রিয় তারুণ্য, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই মাতৃভাষা। সেই তাজা রক্ত শহীদেরা ঝরিয়েছিলেন অন্তরের অন্তস্তলে ভাষারপ্রতি তীব্র ভালোবাসা ও দায়বোধ থেকে। তাই, ভাষার জন্য ভালোবাসা থাকুক আমাদের অন্তরে। আর ভাষার গর্ব উদযাপিত হোক আমাদের কথায়।