প্রথম পাতা
সমাবেশের অনুমতি মেলেনি
শনিবার কালো পতাকা মিছিল বিএনপি’র
স্টাফ রিপোর্টার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৫১ পূর্বাহ্ন
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পায়নি বিএনপি। আজ এ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল দলটি। পূর্ব ঘোষিত সমাবেশ করতে না পারায় শনিবার ঢাকায় কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বিকালে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ২২শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা নয়া পল্টনে কার্যালয়ের সামনে জনসভার জন্য পুলিশের কাছে আমরা অনুমতি চেয়েছিলাম, আমরা সকল প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। বিএনপি যাতে জনসভা না করতে পারে তার জন্য যত উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার সেটি তারা করেছে। এটা মানুষের মৌলিক অধিকার হরণকারী সরকারের গণতন্ত্রবিরোধী ও গণতন্ত্রবিনাশী একটি প্রতিহিংসামূলক আচরণ। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রিজভী আহমেদ আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে ধারাবাহিক যে কর্মসূচি চলছে, তা অব্যাহত থাকবে। শিগগিরই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। গত ৮ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর সারা দেশে তিন দফায় ৮ দিনের টানা কর্মসূচি চলে, যা গত ২০শে ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। এই সব কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিক্ষোভ, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, গণঅনশন, গণস্বাক্ষর অভিযান, জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশের একটি পত্রিকায় গতকাল ‘তারেকের স্ত্রী, কন্যার বৃটিশ নাগরিকত্বের আবেদন চেয়ে দরখাস্ত’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যে সংবাদটি একেবারেই হীন উদ্দেশ্যে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কলঙ্ক লেপনের ভয়াবহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মাস্টার প্ল্যানের অংশ। সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু ও বেলাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বিচারক ‘জুডিশিয়াল ফ্রড’-রিজভী: জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলার রায়ের উদ্ধৃতিতে খালেদা জিয়ার জবানবন্দি বিকৃত করা হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, বিচারক ড. আখতারুজ্জামান তার শিক্ষা ও পেশার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি জুডিশিয়াল ফ্রড, বিচারিক প্রতারণা করেছেন। জবানবন্দিতে বেগম জিয়া এক জায়গায় বলেছিলেন, নির্বিচারে গুলি করে প্রতিবাদী মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে, ছাত্র ও শিক্ষকদের হত্যা করা হচ্ছে। এগুলো কি ক্ষমতার অপব্যবহার নয়? অপব্যবহার আমি করেছি? উনি প্রশ্ন করছেন বিক্ষুব্ধ হয়ে। অথচ এটাকে বিচারক (রায়ে) বলেছেন যে, আসামি বেগম খালেদা জিয়া ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারার বিধানমতে আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক বক্তব্য দেয়ার সময় নিজ জবানিতে স্বীকার করেছেন যে, তিনি অপরাধ করেছেন। কীভাবে বিকৃত করে বিচারক রায় দিয়েছেন। প্রশ্নবোধক চিহ্ন তুলে দিয়ে উনি দাঁড়ি দিয়ে দিয়েছেন। রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ন্যায়বিচারকে পদদলিত করে বিচারক ড. আখতারুজ্জামান যে কুৎসিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তাতে তিনি ইতিহাসে কলঙ্কিত ব্যক্তি হয়ে থাকবেন। শেখ হাসিনার জমানায় ইনসাফ যে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে তা এই ড. আখতারুজ্জামানদের মতো বিচারকদের কারণে। কেবল সরকার প্রধানকে সন্তুষ্ট করার জন্য এমন রায় দিয়েছেন তিনি। নিজের চাকরির পদোন্নতির জন্যই তিনি বেগম জিয়ার বক্তব্যকে বিকৃত করে তার রায় লিখেছেন বলে জনগণ মনে করে। পক্ষপাতদুষ্ট এই বিচারকরা সরকারের অনুগ্রহভাজন হওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকায় এই ভোটারবিহীন সরকার গণতন্ত্রকে ধুলোয় লুটিয়ে দেশে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, হিংসা ও গুম-খুনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশের একটি পত্রিকায় গতকাল ‘তারেকের স্ত্রী, কন্যার বৃটিশ নাগরিকত্বের আবেদন চেয়ে দরখাস্ত’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যে সংবাদটি একেবারেই হীন উদ্দেশ্যে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কলঙ্ক লেপনের ভয়াবহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মাস্টার প্ল্যানের অংশ। সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু ও বেলাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বিচারক ‘জুডিশিয়াল ফ্রড’-রিজভী: জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলার রায়ের উদ্ধৃতিতে খালেদা জিয়ার জবানবন্দি বিকৃত করা হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, বিচারক ড. আখতারুজ্জামান তার শিক্ষা ও পেশার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি জুডিশিয়াল ফ্রড, বিচারিক প্রতারণা করেছেন। জবানবন্দিতে বেগম জিয়া এক জায়গায় বলেছিলেন, নির্বিচারে গুলি করে প্রতিবাদী মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে, ছাত্র ও শিক্ষকদের হত্যা করা হচ্ছে। এগুলো কি ক্ষমতার অপব্যবহার নয়? অপব্যবহার আমি করেছি? উনি প্রশ্ন করছেন বিক্ষুব্ধ হয়ে। অথচ এটাকে বিচারক (রায়ে) বলেছেন যে, আসামি বেগম খালেদা জিয়া ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারার বিধানমতে আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক বক্তব্য দেয়ার সময় নিজ জবানিতে স্বীকার করেছেন যে, তিনি অপরাধ করেছেন। কীভাবে বিকৃত করে বিচারক রায় দিয়েছেন। প্রশ্নবোধক চিহ্ন তুলে দিয়ে উনি দাঁড়ি দিয়ে দিয়েছেন। রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ন্যায়বিচারকে পদদলিত করে বিচারক ড. আখতারুজ্জামান যে কুৎসিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তাতে তিনি ইতিহাসে কলঙ্কিত ব্যক্তি হয়ে থাকবেন। শেখ হাসিনার জমানায় ইনসাফ যে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে তা এই ড. আখতারুজ্জামানদের মতো বিচারকদের কারণে। কেবল সরকার প্রধানকে সন্তুষ্ট করার জন্য এমন রায় দিয়েছেন তিনি। নিজের চাকরির পদোন্নতির জন্যই তিনি বেগম জিয়ার বক্তব্যকে বিকৃত করে তার রায় লিখেছেন বলে জনগণ মনে করে। পক্ষপাতদুষ্ট এই বিচারকরা সরকারের অনুগ্রহভাজন হওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকায় এই ভোটারবিহীন সরকার গণতন্ত্রকে ধুলোয় লুটিয়ে দেশে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, হিংসা ও গুম-খুনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।