বিশ্বজমিন
দুর্নীতি মামলায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হবেন তার বিশ্বস্ত সহযোগী
মানবজমিন ডেস্ক
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতি মামলায় রাজসাক্ষী হতে সম্মত হয়েছেন তারই এক বিশ্বস্ত সহযোগী। প্রায় সকল শীর্ষ ইসরাইলি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, এই ব্যাপারে নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী শলমো ফিলবারের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে পুলিশ। যদিও পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
খবরে বলা হয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক পরিচালক ফিলবার কেস ৪০০০ মামলার একজন প্রধান সন্দেহভাজন। কেস ৪০০০ অনুসারে, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি টেলি-যোগাযোগ কোমপানি বেজেক’কে রাজনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন। এ রকম সুবিধা প্রদানের বদলে বেজেক এর নিউজ ওয়েবসাইট ওয়াল্লা! নেতানিয়াহু ও তার পরিবারের পক্ষে খবর প্রকাশ করেছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ফিলবারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বেজেক ইসরাইলি টেলিকমিউনিকেশন কো. লিমিটেড-এর মালিক শাওল এলোভিচ কি কি বিষয়ে ও ধরনের রাজনৈতিক সুবিধা চেয়েছিলেন ও কিসের বদলে সেসব সুবিধা পেয়েছিলেন, এসব বিষয়ে ফিলবারের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য রয়েছে।
এদিকে, সমপ্রতি নেতানিয়াহুর আরেক ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে এক বিচারককে ঘুষ প্রদানের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। এরপরই স্থানীয় গণমাধ্যমে ফিলবারের রাজসাক্ষী হতে চলার খবর প্রকাশ পায়। এসব অভিযোগে এখনো নেতানিয়াহুর নাম সন্দেহভাজনের তালিকায় স্থান পায়নি। তবে খুব শিগগিরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি এসব অভিযোগকে মিডিয়া চালিত একটি উইচ-হান্ট বলে বর্ণনা করেছেন। তার ক্ষমতাসীন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা, যারা এতদিন ধরে তার পক্ষে কথা বলে এসেছেন, তারা প্রায় সবাই এখন নীরব হয়ে গেছেন। সমপ্রতি এক ভিডিওতে নেতানিয়াহু অভিযোগগুলোকে পুরোপুরি পাগলামো বলে আখ্যায়িত করেছেন।
অনেক বিশ্লেষকের ধারণা- সামপ্রতিক এসব অভিযোগের কারণে নেতানিয়াহুর পতন ঘটতে চলেছে। ইসরাইলি পত্রিকা দ্য হারেৎসের প্রধান সমপাদক আলুফ বেন, নেতানিয়াহুর শাসনামল শেষের দিকে বলে বর্ণনা করেছেন। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী গঠনের বিষয়টি আসার কয়েকদিন আগে দেশটির পুলিশ ঘোষণা দেয় যে, নেতানিয়াহুকে দু’টি ভিন্ন মামলায় দুর্নীতি, জালিয়াতি ও আস্থাভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করার জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। এজন্য তারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সুপারিশ করেছেন। তবে আদৌ অভিযোগ গঠন হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নিবেন নেতানিয়াহু নিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আভিচাই ম্যান্ডেলবিত। এই প্রক্রিয়া সমপন্ন হতে কয়েক মাস লাগতে পারে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এক মামলা অনুসারে, হলিউড প্রযোজক আর্নন মিলকান ও অস্ট্রেলীয় ব্যবসায়ী জেমস প্যাকারের কাছ থেকে বিলাসবহুল উপঢৌকন গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। এসব উপহারের বদলে তিনি তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক সুবিধা প্রদান করেছেন। অপর একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, নেতানিয়াহু এক পত্রিকা প্রকাশককে বিশেষ সুবিধা দিয়েছেন। তিনি পত্রিকাটির কাছ থেকে ইতিবাচক কাভারেজ চেয়েছিলেন। পরিবর্তে পত্রিকাটির একটি প্রতিদ্বন্দ্বী পত্রিকার ক্ষতিসাধন করার প্রতিশ্রুতি করেছিলেন।
খবরে বলা হয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক পরিচালক ফিলবার কেস ৪০০০ মামলার একজন প্রধান সন্দেহভাজন। কেস ৪০০০ অনুসারে, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি টেলি-যোগাযোগ কোমপানি বেজেক’কে রাজনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন। এ রকম সুবিধা প্রদানের বদলে বেজেক এর নিউজ ওয়েবসাইট ওয়াল্লা! নেতানিয়াহু ও তার পরিবারের পক্ষে খবর প্রকাশ করেছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ফিলবারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বেজেক ইসরাইলি টেলিকমিউনিকেশন কো. লিমিটেড-এর মালিক শাওল এলোভিচ কি কি বিষয়ে ও ধরনের রাজনৈতিক সুবিধা চেয়েছিলেন ও কিসের বদলে সেসব সুবিধা পেয়েছিলেন, এসব বিষয়ে ফিলবারের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য রয়েছে।
এদিকে, সমপ্রতি নেতানিয়াহুর আরেক ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে এক বিচারককে ঘুষ প্রদানের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। এরপরই স্থানীয় গণমাধ্যমে ফিলবারের রাজসাক্ষী হতে চলার খবর প্রকাশ পায়। এসব অভিযোগে এখনো নেতানিয়াহুর নাম সন্দেহভাজনের তালিকায় স্থান পায়নি। তবে খুব শিগগিরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি এসব অভিযোগকে মিডিয়া চালিত একটি উইচ-হান্ট বলে বর্ণনা করেছেন। তার ক্ষমতাসীন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা, যারা এতদিন ধরে তার পক্ষে কথা বলে এসেছেন, তারা প্রায় সবাই এখন নীরব হয়ে গেছেন। সমপ্রতি এক ভিডিওতে নেতানিয়াহু অভিযোগগুলোকে পুরোপুরি পাগলামো বলে আখ্যায়িত করেছেন।
অনেক বিশ্লেষকের ধারণা- সামপ্রতিক এসব অভিযোগের কারণে নেতানিয়াহুর পতন ঘটতে চলেছে। ইসরাইলি পত্রিকা দ্য হারেৎসের প্রধান সমপাদক আলুফ বেন, নেতানিয়াহুর শাসনামল শেষের দিকে বলে বর্ণনা করেছেন। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী গঠনের বিষয়টি আসার কয়েকদিন আগে দেশটির পুলিশ ঘোষণা দেয় যে, নেতানিয়াহুকে দু’টি ভিন্ন মামলায় দুর্নীতি, জালিয়াতি ও আস্থাভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করার জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। এজন্য তারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সুপারিশ করেছেন। তবে আদৌ অভিযোগ গঠন হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নিবেন নেতানিয়াহু নিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আভিচাই ম্যান্ডেলবিত। এই প্রক্রিয়া সমপন্ন হতে কয়েক মাস লাগতে পারে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এক মামলা অনুসারে, হলিউড প্রযোজক আর্নন মিলকান ও অস্ট্রেলীয় ব্যবসায়ী জেমস প্যাকারের কাছ থেকে বিলাসবহুল উপঢৌকন গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। এসব উপহারের বদলে তিনি তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক সুবিধা প্রদান করেছেন। অপর একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, নেতানিয়াহু এক পত্রিকা প্রকাশককে বিশেষ সুবিধা দিয়েছেন। তিনি পত্রিকাটির কাছ থেকে ইতিবাচক কাভারেজ চেয়েছিলেন। পরিবর্তে পত্রিকাটির একটি প্রতিদ্বন্দ্বী পত্রিকার ক্ষতিসাধন করার প্রতিশ্রুতি করেছিলেন।