দেশ বিদেশ
বাংলার যথাযথ ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্ব আরোপ
স্টাফ রিপোর্টার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
বিশ্বে জাতির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে বাংলা ভাষার যথাযথ চর্চা, ব্যবহার এবং সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছি এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছি। এটি আমাদের জন্য বিরাট গৌরবের বিষয়। তাই এ ভাষার চর্চা ভুলে যাওয়া উচিত হবে না। তিনি আরো বলেন, বাঙালি হিসেবে আমরা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও অন্যান্য গৌরব সমুন্নত রাখবো এবং এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করবো। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে গতকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের (আইএমএলআই) ৪ দিনের কর্মসূচি উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ইনস্টিটিউটের নিজস্ব মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী এবং ঢাকায় ইউনেস্কোর প্রধান প্রতিনিধি বি কালদুনও বক্তব্য রাখেন। এতে ‘লিঙ্গুইস্টিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড মাল্টিলিঙ্গুয়ালিজম কাউন্ট ফর সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন শ্রীলঙ্কার ন্যাশনাল কো-এক্সিটেন্স ডায়ালগ অ্যান্ড অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজের সচিব ডব্লিউএমপিজি বিক্রমসিংগে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব সোহরাব হোসেন এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। ধন্যবাদ জানান আইএমএলআই’র মহাপরিচালক ড. জিনাত ইমতিয়াজ আলী। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বাংলাদেশ শিগগিরই উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য যত শর্ত রয়েছে, তার সবই বাংলাদেশ পূর্ণ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থানকে উন্নত করতে পারবো। সেই পর্যায়ে এসে গেছি। ইন্শাআল্লাহ সেই ঘোষণা আপনারা শিগগিরই পাবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু যে জাতি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, তাদের সঙ্গে তো নিম্ন শব্দটি থাকতে পারে না। আমাদের এখন একটি সুযোগ এসে গেছে। যে কয়টি ক্যাটাগরিতে অর্জন থাকলে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেতে পারি, তার প্রতিটি শর্তই বাংলাদেশ এখন পূর্ণ করেছে। কাজেই আমাদের মর্যাদাটা আরো একধাপ ওপরে এগিয়ে নিতে পারবো। শ্রীলঙ্কায় এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের কিছু কিছু চিত্র দেখেছি। এজন্য সত্যিই আমরা আনন্দিত। জাতিসংঘ সদস্যভুক্ত সব দেশে যেন এই দিবসটি পালিত হয়, আমরা এর জন্য তথ্য সব জায়গায় পাঠিয়েছি। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকেও প্রতিবছর এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া উচিত। তাহলে সবাই বিষয়টি জানতে পারবে।