দেশ বিদেশ
পরাজয়ের ভয়ে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে সরকার: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার আগামী নির্বাচনে নিজেদের পরাজয়ের ভয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসনের কারামুক্তির দাবিতে মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের অধিকারের জন্য আন্দোলন করছেন। যে নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য সমস্ত জীবনকে উৎসর্গ করেছেন, গৃহবধূ থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনভর রাজপথে লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। তাকে অবৈধ সরকার সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো মামলায় কারারুদ্ধ করেছে। আমরা এই দুঃখ, এই কষ্ট রাখব কোথায়? তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এই আন্দোলনকে ভয় পায় বলে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। তারা চায় বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে আবারো একটি ষড়যন্ত্রমূলক একদলীয় নির্বাচন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে। কারণ, আগামী নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতে পারবে না। সেই জন্য নিজেদের একদলীয় শাসনকে দীর্ঘায়িত করতেই মিথ্যা, সাজানো ও জাল জালিয়াতি করে তৈরি করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সরকার দেশনেত্রীকে ভয় পায় বলে এই নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে। মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, একটা নির্জন জঘন্য কারাগারে বেগম জিয়াকে রাখা হয়েছে। আইনের যে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা আছে, তাও তাকে দেয়া হচ্ছে না। রায়ের সত্যায়িত কপি দিতে টালবাহানা করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে দেশের কোনো মানুষ ভোট দিতে যায়নি। আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল করেছে। এরপর দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের করায়ত্ত করেছে। দেশের মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচারালয়কেও এই সরকার নিজেদের করায়ত্ত করে রেখেছে। প্রধান বিচারপতিকেও অন্যায়ভাবে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। মহিলা দলের নেতাকর্মীদের রাজপথের আন্দোলনে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলেছেন। আমরা সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করে আনব। আজ মা-বোনেরা জেগেছেন, তাদের অনুরোধ জানাব- আপনারা সবাইকে নিয়ে রাস্তায় নামুন। দেশকে উদ্ধার করতে হবে। কারণ, এখন দেশ, গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া একাকার হয়ে গেছেন। জনগণের সমস্ত শক্তি দিয়ে তাকে মুক্ত করতে হবে। প্রতিটি দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রকামী মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে অপসারণ করে দেশে গণতন্ত্রের মুক্ত বাতাস ফেরাতে হবে। একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশে গণতন্ত্রকে পুন:প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইয়াসমিন আরা হক, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে দেশের কোনো মানুষ ভোট দিতে যায়নি। আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল করেছে। এরপর দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের করায়ত্ত করেছে। দেশের মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচারালয়কেও এই সরকার নিজেদের করায়ত্ত করে রেখেছে। প্রধান বিচারপতিকেও অন্যায়ভাবে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। মহিলা দলের নেতাকর্মীদের রাজপথের আন্দোলনে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলেছেন। আমরা সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করে আনব। আজ মা-বোনেরা জেগেছেন, তাদের অনুরোধ জানাব- আপনারা সবাইকে নিয়ে রাস্তায় নামুন। দেশকে উদ্ধার করতে হবে। কারণ, এখন দেশ, গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া একাকার হয়ে গেছেন। জনগণের সমস্ত শক্তি দিয়ে তাকে মুক্ত করতে হবে। প্রতিটি দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রকামী মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে অপসারণ করে দেশে গণতন্ত্রের মুক্ত বাতাস ফেরাতে হবে। একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশে গণতন্ত্রকে পুন:প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইয়াসমিন আরা হক, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।