দেশ বিদেশ

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার

২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:১১ পূর্বাহ্ন

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কারণেই দল আজ অন্য সময়ের তুলনায় বেশি ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী। তাকে বাইরে রেখে প্রহসনের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা কিভাবে নির্বাচনে যাব তা বিএনপি ঠিক করবে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা কী বলছি, যে নির্বাচনে আসতে আমাদের অসুবিধা। আমরা তো এখনো বলছি, খালেদা জিয়া অনেক বেশি শক্তিশালী ও জনপ্রিয়। তিনি আগেও জনপ্রিয় ছিলেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের অপর নাম খালেদা জিয়া হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, গতকাল এক বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা (বিএনপি) এতোই শক্তিশালী মনে করেন তাহলে এখন আর নির্বাচনে আসতে অসুবিধা কিসে’।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়াকে দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করতে চেয়েছিল সরকার কিন্তু তারা তাতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী এখন জানে একটি সাজানো ও বানোয়াট মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, এখন সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে, খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। খালেদা জিয়াকে আমরা যারা দেশনেত্রী বললাম এখন দেশবাসী তাকে ‘মা’ বলে ডাকে। দেশনেত্রী থেকে খালেদা জিয়া দেশমাতায় পরিণত হয়েছেন। জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আমরা কোনো ফাঁদে পা দেব না, কোনো উস্কানিতে পা দেব না। আমরা শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায় করব। খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়ার কোনো কারণ নেই, কোনো যুক্তি নেই। একটি স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট ভোটারবিহীন সরকার তাদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে একতরফা নির্বাচনের হীন উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলায় রায় দেয়া হয়েছে।
মামলা একটি ওসিলা জানিয়ে তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাৎ করেছে এ মর্মে একটি মিথ্যা মামলা হয়েছে। জাল জালিয়াতি করে কাগজপত্র তৈরি করা হয়েছে। যেখানে কারো স্বাক্ষর নেই, ঘষামাজা করে মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে। এবং সরকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই নথির মূলকপি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে হারিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কোনো নথি হারায় নাই। তারা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বলেছে, এই তহবিলের টাকা তসরুফ হয়েছে, আত্মসাৎ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বললেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। অথচ আদালতেই প্রমাণ হয়েছে যে এই তহবিলের একটি টাকাও তোলা হয়নি, বরং তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তা এই আদালতেই প্রমাণিত হয়েছে। তাহলে আমরা কী প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে পারি না, যে আপনি কীভাবে এই বানোয়াট কথা বলেন। যেখানে একটি টাকাও তসরুফ হয় নাই। তাহলে কীভাবে এই মামলায় সাজা হয়। ড. মোশাররফ বলেন, এই মামলায় রায় দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীরা বিচারকের হাত পা বেঁধে দিলেন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, তিনি (খালেদা) এতিমের টাকা খেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলার পর আর কার কী বলার থাকে। মন্ত্রীরা বলছেন, খালেদা জিয়ার জেল হবে, শাস্তি হবেই। তারা কীভাবে এসব কথা বলেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status