খেলা

সাক্ষাৎকারে বসুন্ধরা কিংস চেয়ারম্যান

ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি হবে ভিন্ন আদলে

সামন হোসেন

২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন

ইমরুল হাসান

আগমনে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এক ঝাঁক তারকা নিয়ে অভিষেক আসরে শিরোপাও জিতেছিলো ক্লাবটি। শিরোপা জিততে না পারলেও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবও কম যায়নি। অভিষেকে লীগে চতুর্থ তারা অংশ নিয়েছে এএফসি কাপে। সাইফ, শেখ জামালের মতো চমক দেখাতে চায় বসুন্ধরা কিংস। তাদেরও লক্ষ্য এএফসি কাপ। মৌসুম শুরু হতে অনেক সময় বাকি থাকলেও এরিমধ্যে ঘর গোছাতে শুরু করেছে ক্লাবটি। অনেকের সঙ্গে নাকি পাকা কথাও দিয়েছে ক্লাব কর্মকর্তারা। যদিও বিষয়টি স্বীকার করেননি ক্লাবের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান। দল গঠন ও লক্ষ্য নিয়ে খোলামেলা কথা হয়েছে এই ক্লাব কর্মকর্তার সঙ্গে। নিম্নে তার কিছু অংশ মানবজমিনের পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন: কেমন দল করতে চান?
ইমরুল হাসান: আসলে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে একটি ব্যালেন্সড দল গড়তে চাই আমরা। যেখানে প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড় থাকবেন। থাকবেন একেবারে নবীনও, আমাদের ক্লাবের মাধ্যমে যাদের অভিষেক ঘটবে পেশাদারী মঞ্চে।
প্রশ্ন: আপনাদের বিরুদ্ধে শুরুতেই একটা অভিযোগ উঠেছে যে, আপনারা বহু আগে দল বদলের মাঠে নেমে খেলোয়াড়দের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন?
ইমরুল: এটা সত্যি আমরা আগে মাঠে নেমেছি। তবে পরের অভিযোগ কিন্তু সত্যি না। আমরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলছি। তাদের দাবি দাওয়া শুনছি। ফুটবলারদের তো এখনো আগের মৌসুমের চুক্তিই শেষ হয়নি। সেখানে কাউকে চূড়ান্ত করবো কিভাবে?  তাছাড়া খেলোয়াড়রা যা চাইবে তাই আমরা দিবো নাকি? এছাড়া আমরা চুক্তিটাও একটু ভিন্ন আদলে করতে চাই।
প্রশ্ন: সেটা কেমন?
ইমরুল: ফুটবলারদের সঙ্গে আমাদের চুক্তিটা হবে ইউরোপের আদলে। আমরা তাদের এককালীন সব টাকা দিবো না। টাকাটা দিবো মাসিক বেতনের মাধ্যমে। এছাড়া চুক্তিতে পুরস্কার তিরস্কার সবই থাকবে। আমাদের দলে খেলে জাতীয় দলে সুযোগ পেলে যেমন বোনাস দিবো। তেমনি খারাপ করলে জরিমানা গুনতে হবে ফুটবলারদের। এসবই থাকবে চুক্তির ভেতরে।
প্রশ্ন: আপনি বলতে চাইছেন আপনারা খেলোয়াড়দের অতি মূল্যায়িত করছেন না?
ইমরুল: মোটেও না। কয়েকদিন আগে আমি এক তরুণ ফুটবলারকে ডেকেছিলাম কথা বলতে। গত মৌসুমে দুই লাখ টাকা পাওয়া ওই ফুটবলার আমার কাছে ৩৫ লাখ টাকা চেয়েছে। আমি কিন্তু ওকে বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরা খেলোয়াড়দের দাম বাড়ায়নি। খেলোয়াড়দের দাম বাড়িয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। গতবার যারা ২০ লাখ টাকা পাবার যোগ্য না তাদের ৪০-৫০ লাখ টাকা দিয়েছে দলটি।
প্রশ্ন: আপনারা কেমন বাজেটের দল গড়তে চান?
ইমরুল: বাজেট আসলে সমস্যা না। আমরা ৫-৬ কোটি টাকা বাজেট ধরেছি। তারপর দেখা যাক। আমাদের টার্গেট এএফসি কাপ। সেটা নিশ্চিত করতে পারলে বাজেট বাড়তেও পারে।
প্রশ্ন: বসুন্ধরা কিংসের শুরুটা হয়েছে পাইওনিয়র ফুটবল দিয়ে। এর পরের মৌসুমে আপনারা বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে অংশ নেন। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পেশাদার লীগে। চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে কয়জন থাকছে আপনাদের দলে?
ইমরুল: আমাদের দলের তিনজনকে নিবো। চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ থেকে আরো চার পাঁচজন থাকবে আমাদের দলে। এর বাইরে সেকেন্ড ডিভিশন ফাস্ট ডিভিশন থেকে খেলোয়াড় নিবো পাইপ লাইন তৈরি করার জন্য।
প্রশ্ন: কোচিং স্টাফ ও বিদেশিদের নিয়ে কী ভাবছেন?
ইমরুল: কোচিং স্টাফ আমরা ইউরোপ থেকে আনবো। আর বিদেশিদের বেলায় আমাদের ভিন্ন পরিকল্পনা আছে। আমরা মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফুটবলার আনবো। যাতে এএফসি কাপে ওদের আমরা কাজে লাগাতে পারি। শুনেছি প্রথমবারের মতো বাফুফে এবার এশিয়ান কোটা চালু করছে সেক্ষেত্রে কাজটা আমাদের সহজ হবে।
প্রশ্ন: শুনেছি শেখ জামাল,  শেখ রাসেলের সঙ্গে আপনারাও বিদেশি কোটা বাড়ানোর দাবি করেছেন?
ইমরুল: হ্যাঁ, করেছি। কারণ আমাদের দেশে মান সম্পন্ন খেলোয়াড়ের সংকট রয়েছে। যারা আছেন তাদের মানের খুব একটা পার্থক্য নেই। এ কারণে আমরা চাইছি বিদেশি কোটা বাড়াতে। আমাদের দাবি হলো চারজন রেজিস্ট্রেশন করিয়ে তিনজন খেলাতে। এর বাইরে এশিয়ান কোটাতো থাকছেই।
প্রশ্ন: আপনাদের হোম ভেন্যু কোথায় করছেন?
ইমরুল: আমরা চ্যাম্পিয়নশিপ লীগেই রংপুর স্টেডিয়ামকে হোম ভেন্যু করতে চেয়েছিলাম। বাফুফে শুরুতে রাজি হয়েছিলো। কিন্তু ঢাকার ক্লাবগুলোর আপত্তির কারণে সেটা বাতিল হয়। এবারো আমরা রংপুরকে হোম ভেন্যু হিসেবে চাইবো। আশা করি বাফুফে আমাদের এই দাবি মেনে নিবো।  
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status