বাংলারজমিন
কিশোরগঞ্জে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জে চুরির অপবাদে রাতভর অমানুষিক নির্যাতনের শিকার ১০ বছর বয়সী শিশু ইদু’র বাম হাতের হাড় ভেঙে গেছে। এছাড়া ফেটে গেছে ডান হাতের তালুর মাংস। এক্স-রে করার পর বাম হাতের হাড় ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়েছে। কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের অর্থোপেডিক চিকিৎসক ডা. শাহীনুল ইসলাম শিশুটির হাতে প্লাস্টার করবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া ইদুর সারা শরীরেই নির্যাতনের আঘাত রয়েছে। এদিকে নির্যাতনকারী যুবক বকুল (৩০) ও তার বাবা কেন্তু মিয়াকে আসামি করে সোমবার বিকালে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় শিশু ইদুর মা রেজিয়া বাদী হয়ে মামলা করেছেন। কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসামিরা পলাতক রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি। তবে আইসক্রিম ফ্যাক্টরিটির তিন কর্মচারিকে পুলিশ থানায় নিয়ে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এদিকে থানার পরিদর্শক (অপারেশক) তানভীর আহমেদ হাসপাতালে গিয়ে আহত শিশু ইদুর কাছ থেকে নির্যাতনের বর্ণনা রেকর্ড করেছেন। শহরতলির পূর্ব তারাপাশা এলাকার সোহরাব মিয়ার ছেলে ইদুকে রেলস্টেশন সংলগ্ন আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক কেন্তু মিয়ার ছেলে বকুল ফ্যাক্টরির পাইপ চুরির অপবাদ দিয়ে গত শুক্রবার রাতে বাড়ি যাওয়ার পথে আটক করে চড়থাপ্পর দিয়ে জিআরপি থানায় নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর বকুল আবার ইদুকে ধরে নিয়ে তাদের আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে আটকে রেখে রাতভর পাইপ ও রড দিয়ে সারা শরীরে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন। শনিবার সকালে ইদুকে ছেড়ে দিলে স্বজনরা তাকে শহরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই শিশু নির্যাতনের বিষয়ে সোমবার দৈনিক মানবজমিন-এ সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়। কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির বক্তব্য নিয়ে তার মা রেজিয়াকে থানায় মামলা করতে উদ্বুদ্ধ করে। পরে শিশুটির মা এজাহার দেয়ার পর সোমবার বিকালেই থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। তবে পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর থেকে নির্যাতনকারী বকুল ও তার বাবা কেন্তু মিয়া পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।