বাংলারজমিন
সুনামগঞ্জে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক এখন মরণ যান
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:০৬ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জ পৌর শহরে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক এখন মরণ যানে পরিণত হয়েছে। শহরের অলি-গলিতে বেপরোয়াভাবে চলাচলের কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। গত এক বছরে ইজিবাইকের ধাক্কায় দু’নিহত আর অনেকেই আহত হয়েছেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের সৃজন বিদ্যাপীঠ বিদ্যালরে এক শিশু শিক্ষার্থী মারা যায়। এ নিয়ে ইজিবাইক বন্ধের দাবি উঠেছে সর্বমহলে। কিন্তু ইজিবাইক বন্ধ বা চালকদের প্রশিক্ষণের কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকচলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সুনামগঞ্জে ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইজিবাইক। যত্রতত্র ইজিবাইক চলায় শহরজুড়ে থাকে যানজট। ছোট এ শহরটিতে হাজারো ইজিবাইক রয়েছে। গত বছর ষোলঘর পয়েন্টে মিঠু চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি ইজিবাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিঠু। বৃহস্পতিবার ষোলঘর পয়েন্ট এলাকায় মুহূর্ত দাস (৪) ইজিবাইকের ধাক্কায় নিহত হয়। একই স্থানে দু’জন নিহত হওয়ায় শুক্রবার বিকালে ষোলঘর পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী।
এদিকে, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সকালে সৃজন বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা মানববন্ধন করেছে। দ্রুত ইজিবাইক বন্ধ ও দোষী চালকের শাস্তির দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে। শহরের হাসন নগর এলাকার আশরাফ শাহীন বলেন, আমরা শহরের মানুষ মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়ুক ও যানজট সৃষ্টি হোক এমন যানবাহন চাই না। কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া উচিত এ ব্যাপারে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুল্লাহ বলেন, যানবাহনের বিষয়টা মূলত বিআরটিএ দেখে। তাদের মতে ইজিবাইক কোনো ধরনের যানবাহনই না। তারপরেও আমরা নাগরিক নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তা করে মাঝেমধ্যেই এদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই। সুনামগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হোসেন আহমদ রাসেল বলেন, আমার এলাকায়ই পর পর ২টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটিয়েছে বেপরোয়া ইজিবাইক। এ কারণে আমি নিজেও এদের বেপরোয়া চলাচলে ক্ষুব্ধ। আমরা এগুলোর সংখ্যা কমিয়ে আনছি। ফিটনেস নেই এসব ইজিবাইক এবং অদক্ষ চালকদের ইজিবাইক চালাতে দিচ্ছি না।
এদিকে, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সকালে সৃজন বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা মানববন্ধন করেছে। দ্রুত ইজিবাইক বন্ধ ও দোষী চালকের শাস্তির দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে। শহরের হাসন নগর এলাকার আশরাফ শাহীন বলেন, আমরা শহরের মানুষ মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়ুক ও যানজট সৃষ্টি হোক এমন যানবাহন চাই না। কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া উচিত এ ব্যাপারে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুল্লাহ বলেন, যানবাহনের বিষয়টা মূলত বিআরটিএ দেখে। তাদের মতে ইজিবাইক কোনো ধরনের যানবাহনই না। তারপরেও আমরা নাগরিক নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তা করে মাঝেমধ্যেই এদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই। সুনামগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হোসেন আহমদ রাসেল বলেন, আমার এলাকায়ই পর পর ২টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটিয়েছে বেপরোয়া ইজিবাইক। এ কারণে আমি নিজেও এদের বেপরোয়া চলাচলে ক্ষুব্ধ। আমরা এগুলোর সংখ্যা কমিয়ে আনছি। ফিটনেস নেই এসব ইজিবাইক এবং অদক্ষ চালকদের ইজিবাইক চালাতে দিচ্ছি না।