দেশ বিদেশ
রায়ের কপি পেতে দেরির পেছনে সরকারের কোনো হাত নেই- আইনমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, সোমবার, ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের কপি দেয়ার ব্যাপারে সরকারের কোনো হাত নেই। রায়ের কপি পাওয়া না পাওয়া নির্ভর করে রায়ের কপি কত বড় তার ওপর। গতকাল সিরডাপ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন এবং দুর্বৃত্ত ও দুর্নীতি মুক্ত রাজনীতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। রায়ের কপি দেরি হওয়ার বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ৬৩২ পৃষ্ঠার এ রায়ের কপি অনেক বড়। যুক্তিসঙ্গত সময়ে এ কপি পাওয়া যাবে। রায়ের কপি দেয়ার ব্যাপারে কোনো পক্ষ বিপক্ষ নেই। কপি পাওয়ার জন্য খালেদার আইনজীবীরা ডিভিশন বিভাগে কোনো আপিল করে নাই। সুতরাং সরকারকে দোষ দিয়ে কোনো লাভ নেই। খালেদার মামলাকে অরাজনৈতিক উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, এতিমের টাকা আত্মসাতের কারণে খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে। এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়। ২০০৭ সালে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন এ মামলা করেছে। পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার এ মামলা স্বাধীন দুদক বনাম খালেদা জিয়ার মামলা। এই মামলার সঙ্গে রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্ততা না থাকার কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার এ মামলার সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার জড়িত। আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যেসব জঞ্জালের বিচার হওয়া দরকার সেটুকুতেই আওয়ামী লীগ জড়িত। ২০০৪ সালের দুদক এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। দুদক মামলা করেছে। দুই কোটি টাকা আত্মসাতের মূল্য এখন ৩ কোটি টাকা। বিচার বিবেচনা করে খালেদার ৫ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। তার আরো বেশি শাস্তি হওয়ার কথা ছিল। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দেশকে তিনি উন্নয়নের উচ্চ শিখরে নিতে চাইছেন। দুর্নীতির বিষয়ে নিজেদের ঘরও পরিষ্কার করবো। অপরাধী যত ক্ষমতাশালীই হোক না কেন সে পার পাবে না। এদিকে বিএনপিকে দুর্বৃত্তায়নের দল উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে বিএনপিই রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়েছে। তারা দেশকে ধ্বংস করতে চাইছে। তারা দেশ, গণতন্ত্র ও নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। তারা এ দেশকে তাদের দেশ মনে করে না। আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গবেষক ও কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুস, অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মঞ্জুরুল ইসলাম ও একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু প্রমুখ।