বাংলারজমিন

বদরগঞ্জে গুঁড়িয়ে দেয়া ইটভাটা আবারো চালু

বদরগঞ্জ (রংপুর) সংবাদদাতা

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, সোমবার, ৮:১৩ পূর্বাহ্ন

বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের এ.এস.বি নামে অবৈধ ইটভাটা দু’বার ভ্রাম্যমাণ আদালত গুঁড়িয়ে দেয়ার পর আবারো চালু করা হয়েছে। এবারে তিনি মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে ওই ভাটা পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, ইটভাটার ড্রাম চিমনি দু’বার গুঁড়িয়ে দেয়া হলেও ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ওই মালিক চিমনি স্থাপন করে ফের ভাটা চালু করেছেন। তারা ভাটা মালিক আবেদ আলীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।  উল্লেখ্য, আবেদ আলী নামে এক ব্যক্তি ওই গ্রামের পাশে কৃষিজমিতে ৯ মাস আগে অবৈধভাবে ড্রাম চিমনি দিয়ে ওই ইটভাটা গড়ে তুলেন। সেখানে তিনি কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো শুরু করেন। গত ৪ঠা জানুয়ারি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম ওই ইটভাটায় গিয়ে কোনো বৈধ কাগজপত্র না পেয়ে ভাটার দু’টি ড্রাম চিমনি গুঁড়িয়ে দেন। এর দু’দিন পর ফের ড্রাম চিমনি তুলে কাঠ দিয়ে কাঁচা ইট পোড়ানো শুরু করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত  হলে ১৪ জানুয়ারি আবারো জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওই বিচারক ইটভাটায় গিয়ে দু’টি ড্রাম চিমনি গুঁড়িয়ে দিয়ে ভাটার যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এ সময় ভাটা মালিক আবেদ আলী সটকে পড়েন। মালিকের পক্ষে সেখানে যান সংশ্লিষ্ট মধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়নাল হক। সেখানে আর ইট পোড়ানো হবে না- মালিকের হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে এমন লিখিত অঙ্গীকার করেন চেয়ারম্যান আয়নাল হক। বৃহস্পতিবার বিকালে ওই ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায়, ‘সেখানে আবারো দুইটি ড্রাম চিমনি নির্মাণ করে কাঁচা ইট পোড়ানো হচ্ছে। ভাটায় মালিক আবেদ আলীকে পাওয়া যায়নি। ভাটার কাজে তদারকি করছেন মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি।’ তিনি বলেন, ‘ভাই, এ নিয়ে আর লেখালেখি করেন না। আপনাদের (সাংবাদিক) লেখালেখির কারণে মালিক অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ’ মুঠোফোনে ভাটা মালিক আবেদ আলী বলেন, ‘হাইকোর্টের কাগজ এবং একজন মন্ত্রীর সুপারিশ নিয়ে ইটভাটা চালু করেছি। তবে এসব কাগজ দেখতে চাইলে তিনি সাংবাদিককে দেখাতে নারাজ।’
মধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়নাল হক বলেন, ‘আমি এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে আবেদ আলীকে রক্ষার জন্য ওইদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে গিয়ে ইটভাটা চালু না করার অঙ্গীকার করেছিলাম। কিন্তু আবেদ আলী এখন একজন মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে আবার ইটভাটা চালু করেছেন। এরপর তার ভাটার কিছু হলে আমি আর সেখানে যাবো না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল হক বলেন, ‘ওই ইটভাটা চালু করার কথা নয়। বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মুঠোফোনে রংপুরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ইটভাটাটি চালু করার কথা নয়। বিষয়টি দেখা হবে।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status