অনলাইন
প্রশ্নফাঁস বন্ধ ও কোচিং সেন্টার খোলা রাখার দাবিতে মানববন্ধনের চেষ্টা, পুলিশের বাধা
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার, ৬:৪০ পূর্বাহ্ন
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে কোচিং সেন্টার জড়িত এই অভিযোগ এনে এবার পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৬ দিন আগে থেকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ফলে সারাদেশের মতো পুরান ঢাকায়ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকায় পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্যান্য ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। কিন্তু কোচিং বন্ধ থাকার পরও ধারাবাহিকভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোচিং খোলার ব্যাপারে কোন নির্দেশনা দেয়নি। ফলে কোচিং পরিচালকরা কোচিং খোলা না রাখায় ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তাই কোচিং সেন্টার খোলা রাখার দাবিতে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় মানববন্ধন করার চেষ্টা করে সচেতন অভিভাবক ফোরাম নামে ওই এলাকার কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মানববন্ধন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে দশটার দিকেই আশেপাশের এলাকা থেকে শত শত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জড়ো হতে থাকে। অভিভাবকরা জানান, মানববন্ধন করার জন্য থানাকে অবগত করতে হয়। আমরাও তাই করেছি। কিন্তু হঠাৎ থানা থেকে ফোন করে বলা হলো মানববন্ধন করা যাবে না। কিন্তু এ তথ্য জানার আগেই অনেকে চলে আসে। তাদের আমরা বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে অনেক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাদের বিএনপির মামলায় আটকের হুমকি দিয়েছেন। মুসলিম স্কুলের সোহান নামের এক ছাত্র বলেন, আমরা কোন বিশৃঙ্খলা করিনি। এমনকি তখনো ব্যানার ফেস্টুনও ধরিনি। কিন্তু পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়েছে। অথচ আমরা তো সরকার বিরোধী কিছু করিনি।
ইসলামিয়া হাই স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রের অভিভাবক রোজিনা ইসলাম বলেন, আমাদের দাবী ,যারা প্রকৃত প্রশ্নফাঁকারী তাঁদের বিচার করতে হবে। কারণ আমাদের সন্তানের ভবিষৎ হুমকির মুখে। এভাবে চলতে পারেনা। তাছাড়া আমার পরিবার নিম্নমধ্যবিত্ত ,চাইলেই আমি হাজার হাজার টাকা খরচ করে বাসায় টিচার রাখতে পারি না। তাই কোচিং এ দিয়েছিলাম কিন্তু এখন কোচিং বন্ধ থাকায় আমার ছেলে শুয়ে বসে, ফেজবুক চালিয়ে সময় পার করে দেয়। তাই বাধ্য হয়ে আজকে আমাদের কথা জানাতে এসেছিলাম। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় চলে যাবো বলে ঠিক করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালবাগ বিভাগে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মুরাদ আলী বলেন, আজকে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি থাকায় এবং কোর্ট এলাকায় ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া হওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের অনুরোধ করেছি তিনদিন পরে মানববন্ধন করার জন্য। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে আমরা সহযোগিতা করবো।
ইসলামিয়া হাই স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রের অভিভাবক রোজিনা ইসলাম বলেন, আমাদের দাবী ,যারা প্রকৃত প্রশ্নফাঁকারী তাঁদের বিচার করতে হবে। কারণ আমাদের সন্তানের ভবিষৎ হুমকির মুখে। এভাবে চলতে পারেনা। তাছাড়া আমার পরিবার নিম্নমধ্যবিত্ত ,চাইলেই আমি হাজার হাজার টাকা খরচ করে বাসায় টিচার রাখতে পারি না। তাই কোচিং এ দিয়েছিলাম কিন্তু এখন কোচিং বন্ধ থাকায় আমার ছেলে শুয়ে বসে, ফেজবুক চালিয়ে সময় পার করে দেয়। তাই বাধ্য হয়ে আজকে আমাদের কথা জানাতে এসেছিলাম। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় চলে যাবো বলে ঠিক করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালবাগ বিভাগে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মুরাদ আলী বলেন, আজকে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি থাকায় এবং কোর্ট এলাকায় ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া হওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের অনুরোধ করেছি তিনদিন পরে মানববন্ধন করার জন্য। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে আমরা সহযোগিতা করবো।