বিশ্বজমিন
ইরানে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত: ৬৬ আরোহী নিহত
মানবজমিন ডেস্ক
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার, ২:১৬ পূর্বাহ্ন
ইরানের মধ্যাঞ্চলে ৬৬ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে এক যাত্রীবাহী বিমান। ঘটনায় সকল আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬০ যাত্রী ও বাকিরা বিমানের কর্মী। বিমানটি রাজধানী তেহরান থেকে ইয়াসুজ শহরের দিকে যাওয়ার সময় পার্বত্য অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়। ঠিক কি কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। বিশ বছরের পুরনো এটিআর-৭২ মডেলের বিমানটি ইরান আসেমান এয়ারলাইন্সের। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আলজাজিরা। ইরান আসেমান এয়ারলাইন্সের এক মুখপাত্র দেশটির রাষ্ট্র পরিচালিত টিভি চ্যানেল প্রেস টিভিকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় বিমানটির সকল আরোহীই নিহত হয়েছেন। বিমানটি সেমিরম শহরের নিকটবর্তী এক পার্বত্য এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। ইরানিয়ান রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার এলাকাটিতে তারা কর্মী মোতায়েন করেছে। তবে দুর্ঘটনার সময় এলাকাটি তীব্র্র কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখবে।
সম্ভাব্য কারণ: বিমানটি ২০ বছরের পুরনো হলেও ইরান আসেমান এয়ারলাইন্স যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি বাতিল করে দিয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এমনটি ঘটেছে। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, গত কয়েক সপ্তাহে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল বিমানটিতে। স্ট্র্যাটেজিক এরো রিসার্চ সেন্টার এর প্রধান বিশ্লেষক সাজ আহমাদ জানান, যেকোনো কারণেই বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। তিনি বলেন, আবহাওয়া একটি ইস্যু হতে পারে তা ঠিক। কিন্তু এখনই কোনো কিছু অনুমান করা ঠিক হবে না। ইরান আসেমান এয়ারলাইন্স অনুসারে, সাত বছর ধরে অচল পড়ে থাকার পর পুনরায় ২৬শে অক্টোবর সক্রিয় করা হয় বিমানটি। কো¤পানিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো থেকে তাদের বিবৃতি সরিয়ে নিয়েছে। তবে ইন্সটাগ্রামে তাদের পোস্টের একটি স্ক্রিনশট এখনো বিভিন্ন সাইটে ছড়িয়ে পড়ছে। বিমানটি ২৫শে জানুয়ারি একবার জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করে। তখন তেহরানে বিমানটির যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয় খতিয়ে দেখা হয় ও সকল সমস্যা ঠিক করা হয়। বিমান চালনা বিষয়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও সাবেক পাইলট ড্যাভিড লিয়ারমাউন্ট লন্ডন থেকে বলেন, বিমানটি যেখানে পতিত হয়েছে ওই পার্বত্য অঞ্চলের আবহাওয়া খুবই খারাপ ছিল। তিনি বলেন, এটা দেখতে অনেকটা এমন যে, বিমানটি প্রাথমিক উড্ডয়নের সময় ভুল অবস্থানে ছিল। যার দরুন এটি পাহাড়ের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে। মূলত এটা পরিচালনার ভুল। একটি বিমান পাহাড়ের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়া হচ্ছে একটি জাহাজ পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার মতো। লিয়ারমাউন্টের মতে, বিধ্বস্ত বিমানটি খুবই ভালোভাবে পরীক্ষিত ছিল। কিন্তু ইরানের দুর্গম অঞ্চলগুলোতে দুর্ঘটনার সঙ্গে অপরিচিত ছিল না। লিয়ারমাউন্ট বলেন, ইরান আসেমান এয়ারলাইন্স দেশটির বহু দুর্গম অঞ্চল দিয়ে যাতায়াত করে। ইরান এরকম একটি দেশ, যেখানে সংস্থাটির বিমানগুলো সে দেশে উড়ার কারণেই ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
সম্ভাব্য কারণ: বিমানটি ২০ বছরের পুরনো হলেও ইরান আসেমান এয়ারলাইন্স যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি বাতিল করে দিয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এমনটি ঘটেছে। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, গত কয়েক সপ্তাহে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল বিমানটিতে। স্ট্র্যাটেজিক এরো রিসার্চ সেন্টার এর প্রধান বিশ্লেষক সাজ আহমাদ জানান, যেকোনো কারণেই বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। তিনি বলেন, আবহাওয়া একটি ইস্যু হতে পারে তা ঠিক। কিন্তু এখনই কোনো কিছু অনুমান করা ঠিক হবে না। ইরান আসেমান এয়ারলাইন্স অনুসারে, সাত বছর ধরে অচল পড়ে থাকার পর পুনরায় ২৬শে অক্টোবর সক্রিয় করা হয় বিমানটি। কো¤পানিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো থেকে তাদের বিবৃতি সরিয়ে নিয়েছে। তবে ইন্সটাগ্রামে তাদের পোস্টের একটি স্ক্রিনশট এখনো বিভিন্ন সাইটে ছড়িয়ে পড়ছে। বিমানটি ২৫শে জানুয়ারি একবার জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করে। তখন তেহরানে বিমানটির যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয় খতিয়ে দেখা হয় ও সকল সমস্যা ঠিক করা হয়। বিমান চালনা বিষয়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও সাবেক পাইলট ড্যাভিড লিয়ারমাউন্ট লন্ডন থেকে বলেন, বিমানটি যেখানে পতিত হয়েছে ওই পার্বত্য অঞ্চলের আবহাওয়া খুবই খারাপ ছিল। তিনি বলেন, এটা দেখতে অনেকটা এমন যে, বিমানটি প্রাথমিক উড্ডয়নের সময় ভুল অবস্থানে ছিল। যার দরুন এটি পাহাড়ের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে। মূলত এটা পরিচালনার ভুল। একটি বিমান পাহাড়ের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়া হচ্ছে একটি জাহাজ পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার মতো। লিয়ারমাউন্টের মতে, বিধ্বস্ত বিমানটি খুবই ভালোভাবে পরীক্ষিত ছিল। কিন্তু ইরানের দুর্গম অঞ্চলগুলোতে দুর্ঘটনার সঙ্গে অপরিচিত ছিল না। লিয়ারমাউন্ট বলেন, ইরান আসেমান এয়ারলাইন্স দেশটির বহু দুর্গম অঞ্চল দিয়ে যাতায়াত করে। ইরান এরকম একটি দেশ, যেখানে সংস্থাটির বিমানগুলো সে দেশে উড়ার কারণেই ঝুঁকির মধ্যে থাকে।