এক্সক্লুসিভ
চালের দাম স্থির
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার, ৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
রাজধানীর বাজারগুলোতে সরবরাহ বাড়ায় গত সপ্তাহের চেয়ে আরো কমেছে পিয়াজের দাম। তবে আমদানিকৃত বড় পিয়াজ দেশি পিয়াজের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। গেল সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে পিয়াজের দর। অন্যদিকে বাজারে চালের দাম কেজিতে এক থেকে দেড় টাকা বেড়ে স্থির রয়েছে। রাজধানীর হাতিরপুল, কাওরানবাজার ও সেগুনবাগিচাসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে পিয়াজের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে আরো এক ধাপ কমেছে। কাওরান বাজারে দেশি পিয়াজ প্রতিকেজি ৪০ টাকা ও ভারতীয় পিয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে, অন্য কাঁচাবাজারে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা প্রতিকেজি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে একরকম বাধ্য হয়ে দাম কমিয়েছেন তারা। আমদানি বাড়ায় কমে এসেছে ভারতীয় পিয়াজের দাম।
অন্যদিকে কয়েকদিনের ব্যবধানে বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে এক থেকে দেড় টাকা বেড়ে স্থির রয়েছে। কিছুদিন আগেই বাজারে এসেছে নতুন আমন চাল। পাশাপাশি আমদানি করা চালের সরবরাহও রয়েছে যথেষ্ট। বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু তার কোনো প্রভাবই নেই চালের বাজারে। উল্টো গেল কয়েকদিনে কেজিতে এক থেকে দেড় টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সরবরাহ ঘাটতি না থাকলেও আড়তদাররা বলছেন আমদানি করা চালের মূল্য বেশি হওয়ায় প্রভাব পড়েছে দেশীয় চালে।
চাল ব্যবসায়ী মালেক বলেন, এই সময়ে দেশের বাজারে চালের দাম একটু বাড়েই। যেহেতু আমরা পরনির্ভরশীল, ভারত থেকে চাল না আসলে আমাদের চালের বাজার স্থিতিশীল থাকে না। ভারতের বাজারে চালের দাম বেশি তাই আমাদের এখানেও দাম বেড়েছে।
বাজারে আদা কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। কমেছে রসুনের দরও। বাজারে সব থেকে কম টাকায় মিলবে আলু। কেজিপ্রতি মাত্র ৮ থেকে ১১ টাকায় পাইকারি দরে চলছে এই নিত্যপণ্যটি। তবে বাজারে খোলা তেলের দর বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত। ভারতীয় মসুর
ডাল ৫৫ টাকা এবং দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি দরে।
কাওরান বাজারে বিভিন্ন মানের টমেটো প্রতিকেজি ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। এ ছাড়া শিম, ফুল কপি, বাঁধা কপিসহ শীতের অন্যান্য সবজিও বিক্রি হয় প্রতিকেজি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায়। নভেম্বরে শীতকালীন টমেটো বাজার আসার পর প্রতিকেজি ১০০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তার আগেও বাজারে টমেটো থাকলেও দীর্ঘদিন তা কেজিপ্রতি ১০০ টাকার বেশিতে বিক্রি হয়। দেশি ও আমদানি করা গাজর দীর্ঘদিন ধরেই কেজিপ্রতি ১০০ টাকার কাছাকাছিতে বিক্রি হয়।
গত বছর এপ্রিলে প্রথম দফা বন্যার পরেই সবজির দাম চড়তে থাকে, এরপর জুলাই-অগাস্টে দ্বিতীয় দফা বন্যায় উত্তরাঞ্চলের বিস্তৃত ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় সবজির দাম অনেক বাড়ে। প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা হয়।
কাওরাান বাজারে সবজি বিক্রেতা নাসির উদ্দিন বলেন, বাজারে শাক-সবজির সরবরাহ অনেক বেশি। গাজর, কপি, টমেটো এখন অনেক কম দামে কিনতে পারছি। তাই বিক্রিও করছি কম দামে।
এদিকে আকার ভেদে প্রতিকেজি রুই মাছ ২০০-২৫০ টাকা, কাতলা ২৫০-৩০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ টাকা, চাষের কই ২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ টাকা ও দেশি ছোট শিং মাছ ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতিটি ইলিশ বিক্রি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।
মাংসের বাজারে তেমন পার্থক্য দেখা যায়নি আগের সপ্তাহের সঙ্গে। গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ টাকা এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে পিয়াজের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে আরো এক ধাপ কমেছে। কাওরান বাজারে দেশি পিয়াজ প্রতিকেজি ৪০ টাকা ও ভারতীয় পিয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে, অন্য কাঁচাবাজারে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা প্রতিকেজি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে একরকম বাধ্য হয়ে দাম কমিয়েছেন তারা। আমদানি বাড়ায় কমে এসেছে ভারতীয় পিয়াজের দাম।
অন্যদিকে কয়েকদিনের ব্যবধানে বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে এক থেকে দেড় টাকা বেড়ে স্থির রয়েছে। কিছুদিন আগেই বাজারে এসেছে নতুন আমন চাল। পাশাপাশি আমদানি করা চালের সরবরাহও রয়েছে যথেষ্ট। বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু তার কোনো প্রভাবই নেই চালের বাজারে। উল্টো গেল কয়েকদিনে কেজিতে এক থেকে দেড় টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সরবরাহ ঘাটতি না থাকলেও আড়তদাররা বলছেন আমদানি করা চালের মূল্য বেশি হওয়ায় প্রভাব পড়েছে দেশীয় চালে।
চাল ব্যবসায়ী মালেক বলেন, এই সময়ে দেশের বাজারে চালের দাম একটু বাড়েই। যেহেতু আমরা পরনির্ভরশীল, ভারত থেকে চাল না আসলে আমাদের চালের বাজার স্থিতিশীল থাকে না। ভারতের বাজারে চালের দাম বেশি তাই আমাদের এখানেও দাম বেড়েছে।
বাজারে আদা কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। কমেছে রসুনের দরও। বাজারে সব থেকে কম টাকায় মিলবে আলু। কেজিপ্রতি মাত্র ৮ থেকে ১১ টাকায় পাইকারি দরে চলছে এই নিত্যপণ্যটি। তবে বাজারে খোলা তেলের দর বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত। ভারতীয় মসুর
ডাল ৫৫ টাকা এবং দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি দরে।
কাওরান বাজারে বিভিন্ন মানের টমেটো প্রতিকেজি ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। এ ছাড়া শিম, ফুল কপি, বাঁধা কপিসহ শীতের অন্যান্য সবজিও বিক্রি হয় প্রতিকেজি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায়। নভেম্বরে শীতকালীন টমেটো বাজার আসার পর প্রতিকেজি ১০০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তার আগেও বাজারে টমেটো থাকলেও দীর্ঘদিন তা কেজিপ্রতি ১০০ টাকার বেশিতে বিক্রি হয়। দেশি ও আমদানি করা গাজর দীর্ঘদিন ধরেই কেজিপ্রতি ১০০ টাকার কাছাকাছিতে বিক্রি হয়।
গত বছর এপ্রিলে প্রথম দফা বন্যার পরেই সবজির দাম চড়তে থাকে, এরপর জুলাই-অগাস্টে দ্বিতীয় দফা বন্যায় উত্তরাঞ্চলের বিস্তৃত ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় সবজির দাম অনেক বাড়ে। প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা হয়।
কাওরাান বাজারে সবজি বিক্রেতা নাসির উদ্দিন বলেন, বাজারে শাক-সবজির সরবরাহ অনেক বেশি। গাজর, কপি, টমেটো এখন অনেক কম দামে কিনতে পারছি। তাই বিক্রিও করছি কম দামে।
এদিকে আকার ভেদে প্রতিকেজি রুই মাছ ২০০-২৫০ টাকা, কাতলা ২৫০-৩০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ টাকা, চাষের কই ২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ টাকা ও দেশি ছোট শিং মাছ ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতিটি ইলিশ বিক্রি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।
মাংসের বাজারে তেমন পার্থক্য দেখা যায়নি আগের সপ্তাহের সঙ্গে। গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ টাকা এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।