দেশ বিদেশ
অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিশ নিয়ে সংসদে ক্ষোভ
সংসদ রিপোর্টার
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিশ দিয়েছেন এমপিরা। সেসব নোটিশ বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। নোটিশগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান স্পিকার। গতকাল সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এক বছর আগে দেয়া নিজের অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিশের অবস্থা জানতে চান আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তার বক্তব্য শেষে স্পিকার বলেন, আপনার নোটিশটি গ্রহণ করা হয়েছিল এবং সেই সঙ্গে আরো কয়েকজন এমপির নোটিশ গৃহীত হয়েছে। সেগুলো বিশেষ অধিকার কমিটিতে পেন্ডিং আছে এবং নোটিশগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এরইমধ্যে আরো কয়েকটি বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিশ এসেছে, সেগুলোও বিবেচনাধীন আছে। সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান স্পিকার। বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিশের জবাব চেয়ে শামীম ওসমান বলেন, এক বছর আগে কিছু পত্রিকার নিউজের কারণে আমি একটা অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিশ দিয়েছিলাম। এক বছর পেরিয়ে গেছে আমি তার কোনো রেজাল্ট পাইনি। তিনি বলেন, যে সমস্ত পত্রিকা আমাদের বিরুদ্ধে লিখছে বিশেষ করে যে পত্রিকারা এক এগারো সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল অথবা নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছিল কিংবা আমার নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দাঁড় করেছিল- তারা নতুন করে আবারো সংসদ সদস্যদের চরিত্র হরণ শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমার এলাকাতে আমার ব্যাপারে লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। এমনকি ওই পত্রিকার সম্পাদক খোদ নিজে গিয়ে হাজির হচ্ছেন, বক্তব্য দিচ্ছেন। স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, যদি দেখা যায় একজন এমপি ন্যায় বিচার চেয়ে অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিশ দেয়ার একবছর পরেও কোনো রেজাল্ট নেই। তাহলে আমরা কোথায় যাবো? তিনি আরো বলেন, দেশে সৎ সাংবাদিকের সংখ্যা ৯৯ শতাংশ আর অসৎ সাংবাদিকের সংখ্যা মাত্র এক শতাংশ। অসৎ সাংবাদিকরা যারা আছেন যারা সংবাদ মাধ্যমকে অন্য কিছু হিসেবে বেছে নিয়েছেন, তাদের যারা সংবাদপত্রকে বা সংবাদ মাধ্যমকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিবর্তন করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চান। তারা বার বার ক্ষত-বিক্ষত করবে। গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন আকার ইঙ্গিতে বিভিন্ন ধরনের নিউজের মাধ্যমে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা বার বার ক্ষত-বিক্ষত করবে। তাদের বিরুদ্ধে আমি লড়াই করে অভ্যস্ত। আমি সত্যের সঙ্গে আছি। এ ধরনের নোটিশ কেউ দেয় না, আমি দিয়েছি।