বিশ্বজমিন
এক বছরে আফগানিস্তানে সহিংসতায় নিহত প্রায় ৩,৫০০ বেসামরিক মানুষ
মানবজমিন ডেস্ক
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
গত বছর আফগানিস্তানে বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনায় নিহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ। আহত হয়েছেন সাত হাজারের বেশি। এসব সহিংসতার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে, জঙ্গি বোমা হামলা। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও সরকারি বাহিনীর চালানো বিমান হামলাও হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। জাতিসংঘের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, গত আগস্ট থেকে আফগানিস্তানে ব্যাপক পরিমাণে আগ্রাসী এক মার্কিন কৌশলের সূচনা করেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রামপ। নতুন কৌশল অনুসারে তীব্র করা হয় বিমান হামলা। জবাবে দেশটিতে হামলার পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে জঙ্গিরাও। সমপ্রতি কাবুলে এক জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছে প্রায় ১৫০ জন। গত বছরে বিভিন্ন হামলায় নিহত হয়েছেন মোট তিন হাজার ৪৩৮ জন। আহত হয়েছেন ৭ হাজার ১৫ জন। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে হতাহতের হার ৯ শতাংশ কম। সার্বিকভাবে হতাহতের সংখ্যা কমলেও জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০১৭ সালে মোট বেসামরিক হতাহতের মধ্যে সরকারবিরোধী বাহিনী থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো হামলায় হওয়া হতাহতের পরিমাণ ২৭ শতাংশ। এসব হামলার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে আত্মঘাতী ও জটিল হামলা। জাতিসংঘ ২০০৯ সাল থেকে আফগানিস্তানে সহিংস হামলায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের হিসেব রাখা শুরু করে। তখন থেকে বর্তমান পর্যন্ত সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হচ্ছে, ২০০৯ সালের মে মাসে কাবুলে চালানো এক আত্মঘাতী হামলা। ওই হামলায় প্রাণ হারান ৯২ বেসামরিক নাগরিক। আহত হন আরো ৪৯২ জন। গত বছরের মোট বেসামরিক নাগরিক হতাহতের দুই-তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী সরকারবিরোধী বাহিনীগুলো। এর মধ্যে জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবান পরিচালিত হামলায় ৪২ শতাংশ, আইএস পরিচালিত হামলায় ১০ শতাংশ ও অপরিচিত সরকার বিরোধী গোষ্ঠী পরিচালিত হামলায় ১৩ শতাংশ বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, এক-পঞ্চমাংশ বেসামরিক নাগরিক হতাহতের জন্য দায়ী সরকারপন্থি বাহিনীগুলো। এর মধ্যে আফগান বাহিনী ১৬ শতাংশ, আন্তর্জাতিক বাহিনী ২ শতাংশ ও প্রত্যেক সরকারপন্থি সশস্ত্র দলগুলো ১ শতাংশ করে বেসামরিক হতাহতের জন্য দায়ী। আন্তর্জাতিক ও সরকারি বাহিনী পরিচালিত বিমান হামলায় ঘটা বেসামরিক নাগরিক হতাহতের পরিমাণ ছয় শতাংশ। এসব বাহিনী পরিচালিত বিভিন্ন হামলায় মোট ২৯৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৩৩৬ জন। ২০১৬ সাল থেকে এক্ষেত্রে হতাহতের হার ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত বছর বিভিন্ন হামলায় নারী ও শিশুরা ব্যাপক আকারে হতাহত হয়েছে। বিভিন্ন হামলায় নিহত নারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫৯ জনে। আহত হয়েছেন আরো ৮৬৫ জন। এর আগের বছরের চেয়ে এদিক দিয়ে হতাহতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচ শতাংশ। অন্যদিকে শিশু নিহত হয়েছে ৮৬১টি। আহত হয়েছে আরো দুই হাজার ৩১৮ শিশু। ২০১৬ সালের চেয়ে শিশু হতাহতের পরিমাণ ১০ শতাংশ কমেছে।
খবরে বলা হয়, গত আগস্ট থেকে আফগানিস্তানে ব্যাপক পরিমাণে আগ্রাসী এক মার্কিন কৌশলের সূচনা করেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রামপ। নতুন কৌশল অনুসারে তীব্র করা হয় বিমান হামলা। জবাবে দেশটিতে হামলার পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে জঙ্গিরাও। সমপ্রতি কাবুলে এক জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছে প্রায় ১৫০ জন। গত বছরে বিভিন্ন হামলায় নিহত হয়েছেন মোট তিন হাজার ৪৩৮ জন। আহত হয়েছেন ৭ হাজার ১৫ জন। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে হতাহতের হার ৯ শতাংশ কম। সার্বিকভাবে হতাহতের সংখ্যা কমলেও জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০১৭ সালে মোট বেসামরিক হতাহতের মধ্যে সরকারবিরোধী বাহিনী থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো হামলায় হওয়া হতাহতের পরিমাণ ২৭ শতাংশ। এসব হামলার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে আত্মঘাতী ও জটিল হামলা। জাতিসংঘ ২০০৯ সাল থেকে আফগানিস্তানে সহিংস হামলায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের হিসেব রাখা শুরু করে। তখন থেকে বর্তমান পর্যন্ত সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হচ্ছে, ২০০৯ সালের মে মাসে কাবুলে চালানো এক আত্মঘাতী হামলা। ওই হামলায় প্রাণ হারান ৯২ বেসামরিক নাগরিক। আহত হন আরো ৪৯২ জন। গত বছরের মোট বেসামরিক নাগরিক হতাহতের দুই-তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী সরকারবিরোধী বাহিনীগুলো। এর মধ্যে জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবান পরিচালিত হামলায় ৪২ শতাংশ, আইএস পরিচালিত হামলায় ১০ শতাংশ ও অপরিচিত সরকার বিরোধী গোষ্ঠী পরিচালিত হামলায় ১৩ শতাংশ বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, এক-পঞ্চমাংশ বেসামরিক নাগরিক হতাহতের জন্য দায়ী সরকারপন্থি বাহিনীগুলো। এর মধ্যে আফগান বাহিনী ১৬ শতাংশ, আন্তর্জাতিক বাহিনী ২ শতাংশ ও প্রত্যেক সরকারপন্থি সশস্ত্র দলগুলো ১ শতাংশ করে বেসামরিক হতাহতের জন্য দায়ী। আন্তর্জাতিক ও সরকারি বাহিনী পরিচালিত বিমান হামলায় ঘটা বেসামরিক নাগরিক হতাহতের পরিমাণ ছয় শতাংশ। এসব বাহিনী পরিচালিত বিভিন্ন হামলায় মোট ২৯৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৩৩৬ জন। ২০১৬ সাল থেকে এক্ষেত্রে হতাহতের হার ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত বছর বিভিন্ন হামলায় নারী ও শিশুরা ব্যাপক আকারে হতাহত হয়েছে। বিভিন্ন হামলায় নিহত নারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫৯ জনে। আহত হয়েছেন আরো ৮৬৫ জন। এর আগের বছরের চেয়ে এদিক দিয়ে হতাহতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচ শতাংশ। অন্যদিকে শিশু নিহত হয়েছে ৮৬১টি। আহত হয়েছে আরো দুই হাজার ৩১৮ শিশু। ২০১৬ সালের চেয়ে শিশু হতাহতের পরিমাণ ১০ শতাংশ কমেছে।