শেষের পাতা
শিক্ষা ক্যাডারে সাড়ে ১২ হাজার পদ সৃষ্টি হচ্ছে
নূর মোহাম্মদ
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বুধবার, ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের সাড়ে ১২ হাজার পদ সৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে শিক্ষা প্রশাসনে কমপক্ষে চারটি পদ জাতীয় বেতন স্কেলের তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হবে। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো শিক্ষা ক্যাডার থেকে দ্বিতীয় গ্রেড পাচ্ছে ৭টি পদ। তৃতীয় গ্রেড ৪৮টি বাড়িয়ে ৫২৪টি করা হচ্ছে। এই পদগুলো সৃষ্টি হলে শিক্ষা ক্যাডারের পদ সংকট দূর হবার পাশাপাশি শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতি নির্ধারকরা। গত ৭ই ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন এ নতুন পদের বিষয়টি অনুমোদন দেন। এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো পদ সংযোজন বিয়োজন করে এই কাঠামো ঠিক করে দেয়। গতকাল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে এক বৈঠকে খুঁটিনাটি আরো কারেকশন করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। এরপর সচিব কমিটির অনুমোদনের পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। অনুমোদন হওয়া নতুন ১২ হাজার ৫৮৮টি পদের মধ্যে অধ্যাপক ১৩৮৫, সহযোগী অধ্যাপক ৩৩৫৬, সহকারী অধ্যাপক ৪৩৫১ এবং প্রভাষক ৩৪৯৬টি। বর্তমানে ১৫০৪১টি পদের মধ্যে অধ্যাপক ৫৩৩, সহযোগী অধ্যাপক ২২১২, সহকারী অধ্যাপক ৪২৮৬ এবং প্রভাষক ৮০৩০টি। আর শিক্ষা প্রশাসনে চারটি পদ তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতি দিয়ে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। শিক্ষা ক্যাডারের দীর্ঘদিনের দাবি দ্বিতীয় গ্রেড তাদের প্রবেশাধিকার। নতুন পদ সৃষ্টিতে দ্বিতীয় গ্রেড দেয়া হয়েছে ৭টি। আর তৃতীয় গ্রেড ৪৮ থেকে বাড়িয়ে ৫২৪টি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, পদ সৃষ্টির বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী সব স্তরে পদ সৃজনের সোপান তৈরি করেছি। তাতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় গ্রেডের পদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। একাডেমিক পদগুলোও সুন্দর হবে। বেশি করে শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে। বিভাগ ভিত্তিক শিক্ষক সংকট থাকবে না। সব কিছু মিলিয়ে সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট আর থাকবে না। শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। নতুন পদ সৃজন না হলে গুণগত শিক্ষা অর্জন করা সম্ভব হবে না। কারণ শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক না থাকলে পাঠদান করা সম্ভব হয় না।
জানা গেছে, নতুন পদ সৃষ্টির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন উইং-এর পরিচালক প্রফেসর সেলিম মিয়া আর সদস্য সচিব করা হয় ঢাকা আঞ্চলিক অফিসের পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ ইউসুফকে ঢাকা কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক মুজাহিদুল ইসলামকে সদস্য করা হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান ও নায়েমের মহাপরিচালক পদটি জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী শিক্ষা ক্যাডারের তৃতীয় বা চতুর্থ গ্রেডের অধ্যাপকদের পদায়ন করা হয়। একইভাবে মাউশির কলেজ ও মাধ্যমিক শাখার দুই পরিচালক পদে একই গ্রেডের অধ্যাপকদের পদায়ন করা হয়। অনুমোদিত কাঠোমোয় এই চারটি পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। চারটি পদে সরাসরি নিয়োগ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এসব পদে নিচের গ্রেডের কাউকে আর বসানো যাবে না। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তৃতীয় গ্রেডের অধ্যাপকরা ওই চারটি পদে নিয়োগ পাবেন।
মাউশির তথ্যানুযায়ী, ১৯৮২ সালে গঠিত এনাম কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়। সারা দেশে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ২১৬টি সরকারি কলেজ বয়েছে। এর মধ্যে মহানগর ও জেলা শহরে ১৫৩টি এবং উপজেলায় ৬৩টি। স্নাতক পর্যায়ের ৬৫টি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে মহানগর ও জেলা শহরে ১৯টি এবং উপজেলায় ৪৬টি। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৬টি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে মহানগর ও জেলা শহরে ২৩টি এবং উপজেলায় তিনটি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে বর্তমানে পদ রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার। এর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১৩ হাজারের মতো শিক্ষক। বাকি দুই হাজার পদ শূন্য রয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কলেজগুলোতেই শিক্ষক পদ শূন্য বেশি। ফলে ওইসব কলেজে মানসম্মত শিক্ষাদান হোঁচট খাচ্ছে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি ও রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার বলেন, প্রায় ৪০ বছরের পুরনো এ জনবল দিয়ে বর্তমানে সরকারি কলেজগুলো চলছে। একটি বিসিএসে যে পরিমাণ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়, দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে ওই সময়ের মধ্যে তার চেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষক অবসরে চলে যান। তাই শিক্ষকের সংকট থেকেই যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, পদ সৃষ্টির বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী সব স্তরে পদ সৃজনের সোপান তৈরি করেছি। তাতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় গ্রেডের পদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। একাডেমিক পদগুলোও সুন্দর হবে। বেশি করে শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে। বিভাগ ভিত্তিক শিক্ষক সংকট থাকবে না। সব কিছু মিলিয়ে সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট আর থাকবে না। শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। নতুন পদ সৃজন না হলে গুণগত শিক্ষা অর্জন করা সম্ভব হবে না। কারণ শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক না থাকলে পাঠদান করা সম্ভব হয় না।
জানা গেছে, নতুন পদ সৃষ্টির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন উইং-এর পরিচালক প্রফেসর সেলিম মিয়া আর সদস্য সচিব করা হয় ঢাকা আঞ্চলিক অফিসের পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ ইউসুফকে ঢাকা কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক মুজাহিদুল ইসলামকে সদস্য করা হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান ও নায়েমের মহাপরিচালক পদটি জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী শিক্ষা ক্যাডারের তৃতীয় বা চতুর্থ গ্রেডের অধ্যাপকদের পদায়ন করা হয়। একইভাবে মাউশির কলেজ ও মাধ্যমিক শাখার দুই পরিচালক পদে একই গ্রেডের অধ্যাপকদের পদায়ন করা হয়। অনুমোদিত কাঠোমোয় এই চারটি পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। চারটি পদে সরাসরি নিয়োগ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এসব পদে নিচের গ্রেডের কাউকে আর বসানো যাবে না। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তৃতীয় গ্রেডের অধ্যাপকরা ওই চারটি পদে নিয়োগ পাবেন।
মাউশির তথ্যানুযায়ী, ১৯৮২ সালে গঠিত এনাম কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়। সারা দেশে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ২১৬টি সরকারি কলেজ বয়েছে। এর মধ্যে মহানগর ও জেলা শহরে ১৫৩টি এবং উপজেলায় ৬৩টি। স্নাতক পর্যায়ের ৬৫টি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে মহানগর ও জেলা শহরে ১৯টি এবং উপজেলায় ৪৬টি। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৬টি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে মহানগর ও জেলা শহরে ২৩টি এবং উপজেলায় তিনটি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে বর্তমানে পদ রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার। এর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১৩ হাজারের মতো শিক্ষক। বাকি দুই হাজার পদ শূন্য রয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কলেজগুলোতেই শিক্ষক পদ শূন্য বেশি। ফলে ওইসব কলেজে মানসম্মত শিক্ষাদান হোঁচট খাচ্ছে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি ও রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার বলেন, প্রায় ৪০ বছরের পুরনো এ জনবল দিয়ে বর্তমানে সরকারি কলেজগুলো চলছে। একটি বিসিএসে যে পরিমাণ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়, দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে ওই সময়ের মধ্যে তার চেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষক অবসরে চলে যান। তাই শিক্ষকের সংকট থেকেই যাচ্ছে।