ভারত
কলকাতা বইমেলায় পালিত হল বাংলাদেশ দিবস
কলকাতা প্রতিনিধি
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ১:২৯ পূর্বাহ্ন
প্রতিবছরের মত এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশ দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার মেলা প্রাঙ্গনে সারাদিন ধরে বেজেছে বাংলাদেশের গান। তবে এদিনের প্রধান আকর্ষন ছিল বাংলাদেশের সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধ শীষৃক সেমিনারও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গত ৩০ জানুয়ারি কলকাতার ঐতিহ্যবাহী বইমেলার উদ্বোধন করেন কিম্বদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। মেলা ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এবছর মেলা হয়েছে বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কে। তবে নতুন জায়গা হলেও মেলায় আগত বইপ্রেমীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। মেলায় ঢাকার আহসান মঞ্জিলের আদলে তৈরি হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বর্গপুটের বিশাল প্যাভেলিয়নটি। সরকারি প্রকাশনা সহ মোট ৪৩টি বাংলাদেশের প্রকাশনা সংস্থা বই সাজিয়ে বসেছে। তবে বাংলাদেশের বই সম্পর্কে আগ্রহীরা এবারও অভিযোগ করেছেন, পুরনো বইয়ের পাশাপাশি নতুন বইয়ের আভাব খুবই। তবে ¦ছরও বাংলাদেশ প্যাভেলিয়নে প্রবেশ করতে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে বইপ্রেমীদের। সেজন্য অবশ্য তারা মোটেই অধৈর্য্য হচ্ছেন না। এদিন বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে বইমেলার এসবিআই মিলনায়তনে বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন আয়োজিত বিশেষ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপ¯িথত ছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম মেহের আফরোজ চুমকি এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইব্রাহিম হোসেন খান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান,পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট লেখক সমরেশ মজুমদার বাংলা দেশের সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রভাব ব্যাখ্যা করেন। সেমিনারের পরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। উল্লেখ্য, বইমেলা শুরুর ২১ বছর পর থেকে বাংলাদেশ বইমেলায় অংশ গ্রহন করে আসছে। এদিকে কলকাতা বইমেলার এবার জায়গা সংকুলান না হওয়া সত্ত্বেও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যসহ বিশ্বের ২৯টি দেশ বইমেলায় অংশ নিয়েছে। এবারের ফোকাল দেশ হযেছে ফ্রান্স। ফ্রান্সের সাহিত্য ও সংস্কুতিকে তুলে ধরার জন্য তৈরি হয়েছে সুশিাল প্যাভেলিয়নও। এরেসছেন ফ্রান্সের সাহিত্য ও সাস্কৃতিক ব্যাক্তিত্বরা।