তথ্য প্রযুক্তি
সংবাদ সংস্থাগুলোকে ফেসবুক হুমকির মুখে ফেলছে না তো?
ইমরান আলী
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
বড় বড় সংবাদ সংস্থাগুলো তাদের আত্মাকে বিক্রি করে দিচ্ছে ফেসবুকের কাছে। এমনটাই বলছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। একটু গভীরে যাওয়া যাক। সংবাদ সংস্থাগুলো পাঠকের জন্য নিজেদের নিউজ ছেড়ে দিচ্ছে ফেসবুকে। কিন্তু আদৌ কি এতে সংবাদ সংস্থাগুলোর কোনো লাভ হচ্ছে? হয়তো হচ্ছে কিছুটা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে লাভবান হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক তাদের কৌশল এমনভাবে প্রয়োগ করেছে- পাঠক ইতোমধ্যে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে সকল নিউজের উৎস যেন এ ফেসবুকই। ফেসবুক এখন নিজেদের স্থানীয় সংবাদ প্রচারের প্লাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। ফেসবুকের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যাওয়ার ব্যাপারে প্রকাশকদেরকে ভেবে দেখার কথা বলছেন অনেকেই। বর্তমানে ছোট সংবাদ আউটলেটকে ফেসবুক অনেক বেশি প্রচারণা ও ট্রাফিকের ব্যবস্থা করে দিতে পারে ঠিকই কিন্তু ভবিষ্যতে সব সংবাদ ফেসবুকেই ‘পাওয়া যাবে’ পাঠকদের এমন ধারণায় অভ্যস্ত করে তুলছে ফেসবুক দুর্দান্ত এক কৌশলে।
ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছে নিজেদের আর্থিক ক্ষতির বিনিময়ে হলেও তারা নিউজ ফিডের পরিবর্তন করেছে। এখন থেকে বিজ্ঞাপন কম দেখাবে, গুরুত্ব দেয়া হবে ব্যাক্তিগত প্রোফাইলের ওপর। তবে ফেসবুকের এটা একটা কৌশল হতে পারে- ব্যবহারকারীদেরকে নিজেদের সাইটে ধরে রাখার জন্য। ইতিপূর্বে অনেক প্রতিষ্ঠান নিজেদের প্রচারণা চালাতে বিভিন্ন মাধ্যমকে বিসর্জন দিয়েছে। বেছে নিয়েছে ফেসবুককে। আজকাল বিশ্বব্যাপী অনেক প্রতিষ্ঠান নিজেদের প্রচারণার মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক পেজ, গ্রুপকেই গুরুত্ব দিচ্ছে বেশি।
যখন ফেসবুকের যাত্রা শুরু হয়েছিল তখন কোনো ‘ফিড’ ছিল না। শুরু হয়েছিল ব্যাক্তিগত প্রোফাইল চেক করার যাত্রা। ২০০৬ সাল থেকে ফেসবুকে সংবাদযুক্ত লিংকগুলো আসতে শুরু করলো। ধারণা দাঁড়াতে শুরু হলো, ফেসবুকে গেলেই সকল সংবাদ পাওয়া যাবে এমন। ডেস্কটপ কম্পিউটারের পরিবর্তে পাঠককে আকৃষ্ট করা হলো মোবাইলে ঢুঁ মারার। ফেসবুক তৈরি করলো তাদের নিজস্ব অ্যাপস। কম্পিউটারে বড় স্ক্রিনে একই সঙ্গে যেখানে অনেক উইন্ডোতে যাওয়া যেত সেখানে একটিমাত্র অ্যাপেই সীমাবদ্ধ করা হলো পাঠকদের। মোবাইলে একই সঙ্গে বিভিন্ন সাইট ব্রাউজ করা কষ্টসাধ্য। রয়েছে ওয়েবসাইটগুলোর ধীরগতির লোডিং স্পিড। এই দুর্বলতার সুযোগটি হাতছাড়া করেনি ফেসবুক। যেহেতু ফেসবুকেই সকল সংবাদ পাওয়া যেতে শুরু করলো পাঠক তাই নির্দিষ্ট সাইটে না গিয়ে মাত্র ফেসবুকের একটা অ্যাপেই স্ক্রল ডাউনে অভ্যস্ত হতে শুরু করলো।
টুইটারের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুক ব্যাক্তিগত পেজ, ফিচার, হ্যাশট্যাগের উপর গুরুত্ব দিল। পাঠকরা চিন্তা করতে শুরু করলো, বিভিন্ন সাইটে না গিয়ে ফেসবুকে কিভাবে সবকিছু পাওয়া যেতে পারে। ফেসবুক ২০১৫ তে নিয়ে এল ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল। যেখানে সংবাদ সাইটগুলোর সেøা স্পিডের কারণে পাঠক বিরক্ত হচ্ছিল সেখানে এই ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এসে মুহুর্তেই পাঠককে সংবাদ পড়ার সুযোগ করে দিলো। এতে করে ভিজিটর, ট্রাফিক হারাতে শুরু করলো সংবাদ আউটলেটগুলো। এমন অভিযোগও তুলেছেন কেউ কেউ। যদিও বিজ্ঞাপনের একটা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলে কিন্তু পাঠক স্থায়ীভাবে এই ফিচারেই আটকে যাচ্ছে যেন। সংবাদের মূল সাইটকে পেছনে ফেলার একটা পরোক্ষ চেষ্টা এই ফিচারে লক্ষ্য করা যায়। বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো তাই সরাসরি সংবাদ সাইটে বিজ্ঞাপন না দিয়ে বেছে নিতে শুরু করলো ফেসবুককেই।
ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলকে টেক্কা দিতে এএমপি সাইটের অবতারনা হলো কিছুদিন আগে। যেখানে সংবাদ সংস্থার নিজস্ব সাইটগুলো আগের মত ধীরগতির হবেনা বরং ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলর মতই দ্রুত লোড হবে। তবে ততদিনে ফেসবুক একটা বড় অংকের অর্থ নিজেরা আয় করে ফেলছে।
নতুন আশঙ্কা শুরু হয়েছে স্থানীয় সংবাদ সংস্থাগুলোর জন্য। ফেসবুক ইতিমধ্যে ‘লোকাল নিউজ ডাইজেস্ট’-এর পরীক্ষা চালাচ্ছে অনেক শহরে। যেখানে নিউজ এর কনটেন্টগুলো থাকবে আলোচনায়। আর তা শুধুই ফেসবুকেই। বিশ্বকে আরও বেশি হাতের মুঠোয় আনার নামে তারা তৈরি করছে নিজস্ব কমিউনিটি।
তবে আশার বিষয় থেমে নেই বড় বড় সংবাদ সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। গত মাসে নিউজ কর্পোরেশনে সিইও রুপার্ট মারডক বলেছেন, ফেসবুকের উচিত এখন সংবাদ প্রকাশকদেরকেই অর্থ দেয়া।
ফেসবুক তাদের নিউজ ফিডের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করে ৩০০ কোটি ডলার লসের সম্মুখীন হয়েছে সম্প্রতি। এই খবর চাউর হয়েছে বিশ্বব্যাপী। কিন্তু সংবাদ সংস্থাগুলো যে দীর্ঘমেয়াদিভাবে লসের সম্মুখীন হয়েছে ফেসবুকের কৌশলে তা এখনো ওভাবে আলোচনায় আসেনি।
ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছে নিজেদের আর্থিক ক্ষতির বিনিময়ে হলেও তারা নিউজ ফিডের পরিবর্তন করেছে। এখন থেকে বিজ্ঞাপন কম দেখাবে, গুরুত্ব দেয়া হবে ব্যাক্তিগত প্রোফাইলের ওপর। তবে ফেসবুকের এটা একটা কৌশল হতে পারে- ব্যবহারকারীদেরকে নিজেদের সাইটে ধরে রাখার জন্য। ইতিপূর্বে অনেক প্রতিষ্ঠান নিজেদের প্রচারণা চালাতে বিভিন্ন মাধ্যমকে বিসর্জন দিয়েছে। বেছে নিয়েছে ফেসবুককে। আজকাল বিশ্বব্যাপী অনেক প্রতিষ্ঠান নিজেদের প্রচারণার মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক পেজ, গ্রুপকেই গুরুত্ব দিচ্ছে বেশি।
যখন ফেসবুকের যাত্রা শুরু হয়েছিল তখন কোনো ‘ফিড’ ছিল না। শুরু হয়েছিল ব্যাক্তিগত প্রোফাইল চেক করার যাত্রা। ২০০৬ সাল থেকে ফেসবুকে সংবাদযুক্ত লিংকগুলো আসতে শুরু করলো। ধারণা দাঁড়াতে শুরু হলো, ফেসবুকে গেলেই সকল সংবাদ পাওয়া যাবে এমন। ডেস্কটপ কম্পিউটারের পরিবর্তে পাঠককে আকৃষ্ট করা হলো মোবাইলে ঢুঁ মারার। ফেসবুক তৈরি করলো তাদের নিজস্ব অ্যাপস। কম্পিউটারে বড় স্ক্রিনে একই সঙ্গে যেখানে অনেক উইন্ডোতে যাওয়া যেত সেখানে একটিমাত্র অ্যাপেই সীমাবদ্ধ করা হলো পাঠকদের। মোবাইলে একই সঙ্গে বিভিন্ন সাইট ব্রাউজ করা কষ্টসাধ্য। রয়েছে ওয়েবসাইটগুলোর ধীরগতির লোডিং স্পিড। এই দুর্বলতার সুযোগটি হাতছাড়া করেনি ফেসবুক। যেহেতু ফেসবুকেই সকল সংবাদ পাওয়া যেতে শুরু করলো পাঠক তাই নির্দিষ্ট সাইটে না গিয়ে মাত্র ফেসবুকের একটা অ্যাপেই স্ক্রল ডাউনে অভ্যস্ত হতে শুরু করলো।
টুইটারের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুক ব্যাক্তিগত পেজ, ফিচার, হ্যাশট্যাগের উপর গুরুত্ব দিল। পাঠকরা চিন্তা করতে শুরু করলো, বিভিন্ন সাইটে না গিয়ে ফেসবুকে কিভাবে সবকিছু পাওয়া যেতে পারে। ফেসবুক ২০১৫ তে নিয়ে এল ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল। যেখানে সংবাদ সাইটগুলোর সেøা স্পিডের কারণে পাঠক বিরক্ত হচ্ছিল সেখানে এই ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এসে মুহুর্তেই পাঠককে সংবাদ পড়ার সুযোগ করে দিলো। এতে করে ভিজিটর, ট্রাফিক হারাতে শুরু করলো সংবাদ আউটলেটগুলো। এমন অভিযোগও তুলেছেন কেউ কেউ। যদিও বিজ্ঞাপনের একটা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলে কিন্তু পাঠক স্থায়ীভাবে এই ফিচারেই আটকে যাচ্ছে যেন। সংবাদের মূল সাইটকে পেছনে ফেলার একটা পরোক্ষ চেষ্টা এই ফিচারে লক্ষ্য করা যায়। বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো তাই সরাসরি সংবাদ সাইটে বিজ্ঞাপন না দিয়ে বেছে নিতে শুরু করলো ফেসবুককেই।
ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলকে টেক্কা দিতে এএমপি সাইটের অবতারনা হলো কিছুদিন আগে। যেখানে সংবাদ সংস্থার নিজস্ব সাইটগুলো আগের মত ধীরগতির হবেনা বরং ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলর মতই দ্রুত লোড হবে। তবে ততদিনে ফেসবুক একটা বড় অংকের অর্থ নিজেরা আয় করে ফেলছে।
নতুন আশঙ্কা শুরু হয়েছে স্থানীয় সংবাদ সংস্থাগুলোর জন্য। ফেসবুক ইতিমধ্যে ‘লোকাল নিউজ ডাইজেস্ট’-এর পরীক্ষা চালাচ্ছে অনেক শহরে। যেখানে নিউজ এর কনটেন্টগুলো থাকবে আলোচনায়। আর তা শুধুই ফেসবুকেই। বিশ্বকে আরও বেশি হাতের মুঠোয় আনার নামে তারা তৈরি করছে নিজস্ব কমিউনিটি।
তবে আশার বিষয় থেমে নেই বড় বড় সংবাদ সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। গত মাসে নিউজ কর্পোরেশনে সিইও রুপার্ট মারডক বলেছেন, ফেসবুকের উচিত এখন সংবাদ প্রকাশকদেরকেই অর্থ দেয়া।
ফেসবুক তাদের নিউজ ফিডের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করে ৩০০ কোটি ডলার লসের সম্মুখীন হয়েছে সম্প্রতি। এই খবর চাউর হয়েছে বিশ্বব্যাপী। কিন্তু সংবাদ সংস্থাগুলো যে দীর্ঘমেয়াদিভাবে লসের সম্মুখীন হয়েছে ফেসবুকের কৌশলে তা এখনো ওভাবে আলোচনায় আসেনি।