গ্রন্থমেলা-২০১৮
গ্রন্থমেলায় রায়ের প্রভাব
মুনির হোসেন
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদার জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের প্রভাব ছিল অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। অন্যদিনের তুলনায় মেলায় এদিন দর্শনার্থী অনেক কম ছিল। মেলার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে দেখা যায় অনেকটা ফাঁকা ছিল গতকালকের মেলা। বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা হয়নি প্রায় ২৫টি স্টল। যেসব স্টল খোলা হয়েছে সেগুলোয় বিক্রয়কর্মীদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। তবে অমর একুশে গ্রন্থমেলার সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, ‘বিকাল ৩টায় সব স্টল খোলা হয়েছে। মেলা যথারীতি চলছে।’ যদিও অধিকাংশ প্রকাশনার বিক্রয়কর্মীরা বলেন, খালেদার রায়কে কেন্দ্র করে মানুষ আতঙ্কিত। রাস্তায় যানবাহনও তেমন ছিল না। তাই মেলায় দর্শনার্থী কম। বিক্রিও কম। তবে তারা আশা করেন- এ আতঙ্কভাব দু-একদিনের মধ্যে কেটে যাবে। অন্যদিকে মেলায় আসা দর্শনার্থীরা বলছেন, যানবাহনের অপ্রতুলতার কারণে মেলায় দর্শনার্থী কমেছে। তবে বাইরের পরিবেশে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু ছিল না। নিজেকে স্বাভাবিক রাখলেই চলে। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের ডিউটি ইনচার্জ পুলিশের উপপরিদর্শক সাইফুর বলেন, ‘মেলায় আসতে কোনো বাধা নেই। আতঙ্কিত হওয়ারও কোনো কারণ নেই। আমরা মেলাকে পুরোপুরি নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছি।’
জানতে চাইলে কাকলী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী একেএম নাসির আহমেদ সেলিম বলেন, ‘আমাদের রাজনীতিবিদদের আচার-আচরণ, চিন্তা-ভাবনার ওপর নির্ভর করবে যে আমরা মেলাকে সামনের দিনগুলোতে কেমন দেখতে চাই। এর আগে হরতালের সময়ও আমরা দেখেছি মেলায় দর্শনার্থী অনেক ভালো ছিল। কিন্তু আজকে দর্শনার্থী একেবারেই কম। সামনে কী হবে ওটা বুঝতে পারছি না। তবে আশা রাখি মেলা স্বরূপে ফিরবে দু-একদিনের মধ্যে।’ বিকাল পৌনে ৫টার সময় স্টল খোলায় ব্যস্ত চিলড্রেন্স বুকস সেন্টারের স্বত্বাধিকারী জুগল সরকারের কাছে বিলম্বে স্টল খোলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাস্তায় যানবাহনের স্বল্পতার কারণে মেলায় পৌঁছাতে বিলম্ব হয়েছে। যত কষ্টই হোক না কেন আমাদের তো মেলায় আসতে হবে এর পরিবেশ রক্ষায়।’ দর্শনার্থী মেলায় কম আসার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত মনে হচ্ছে। সেজন্য মেলায় দর্শনার্থী এত কম। আশা করি শিগগিরই মেলায় নিজস্ব জৌলুস ফিরে আসবে।’ রোদেলা প্রকাশনীর ম্যানেজার হাবীব খান বলেন, ‘সন্ধ্যা পর্যন্ত আশা করছি মেলায় লোকসমাগম হবে।’ ঐতিহ্য প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মহিউদ্দিন আল মাহিদ বলেন, ‘রায়টা প্রভাব ফেলেছে মেলায়। মনে হচ্ছে এর রায় মেলার স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত করবে। তবে আশা করি ৮-১০ দিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।’ তবে মেলায় যেসব দর্শনার্থী এসেছেন তারা মনে করেন, আতঙ্কিত হয়ে মেলায় না আসার কোনো কারণ নেই। বাইরে আতঙ্কিত হওয়ার মতো তেমন কিছু নেইও। তবে অনেকে আতঙ্কিত হয়েই আসছে না- এটা স্বীকার করতে হবে। কৌশিক আহমেদ নামে এক এনজিওকর্মী বলেন, ‘রাস্তায় ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। লোকজনও কম। ভয়ভীতি পাওয়ার মতো কিছু নেই। বিষয়টি হচ্ছে আমরা পরিস্থিতিকে কিভাবে নিচ্ছি। তবে আশা করছি মেলায় দর্শনার্থী আগামীকাল থেকে ভিড়া শুরু করবে।’ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ড. হাফসা আক্তার বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমার কাছে স্বাভাবিকই মনে হচ্ছে। মেলার পরিবেশও ভালো।’ এদিকে সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল মেলা বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে। মেলায় এদিন নতুন বই এসেছে ৬৪টি এবং প্রথম সপ্তাহে (১-৭) বাংলা একাডেমির নিজস্ব স্টলে বিক্রির পরিমাণ ২১ লাখ ৩ হাজার ২৬৪ টাকা।
জানতে চাইলে কাকলী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী একেএম নাসির আহমেদ সেলিম বলেন, ‘আমাদের রাজনীতিবিদদের আচার-আচরণ, চিন্তা-ভাবনার ওপর নির্ভর করবে যে আমরা মেলাকে সামনের দিনগুলোতে কেমন দেখতে চাই। এর আগে হরতালের সময়ও আমরা দেখেছি মেলায় দর্শনার্থী অনেক ভালো ছিল। কিন্তু আজকে দর্শনার্থী একেবারেই কম। সামনে কী হবে ওটা বুঝতে পারছি না। তবে আশা রাখি মেলা স্বরূপে ফিরবে দু-একদিনের মধ্যে।’ বিকাল পৌনে ৫টার সময় স্টল খোলায় ব্যস্ত চিলড্রেন্স বুকস সেন্টারের স্বত্বাধিকারী জুগল সরকারের কাছে বিলম্বে স্টল খোলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাস্তায় যানবাহনের স্বল্পতার কারণে মেলায় পৌঁছাতে বিলম্ব হয়েছে। যত কষ্টই হোক না কেন আমাদের তো মেলায় আসতে হবে এর পরিবেশ রক্ষায়।’ দর্শনার্থী মেলায় কম আসার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত মনে হচ্ছে। সেজন্য মেলায় দর্শনার্থী এত কম। আশা করি শিগগিরই মেলায় নিজস্ব জৌলুস ফিরে আসবে।’ রোদেলা প্রকাশনীর ম্যানেজার হাবীব খান বলেন, ‘সন্ধ্যা পর্যন্ত আশা করছি মেলায় লোকসমাগম হবে।’ ঐতিহ্য প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মহিউদ্দিন আল মাহিদ বলেন, ‘রায়টা প্রভাব ফেলেছে মেলায়। মনে হচ্ছে এর রায় মেলার স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত করবে। তবে আশা করি ৮-১০ দিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।’ তবে মেলায় যেসব দর্শনার্থী এসেছেন তারা মনে করেন, আতঙ্কিত হয়ে মেলায় না আসার কোনো কারণ নেই। বাইরে আতঙ্কিত হওয়ার মতো তেমন কিছু নেইও। তবে অনেকে আতঙ্কিত হয়েই আসছে না- এটা স্বীকার করতে হবে। কৌশিক আহমেদ নামে এক এনজিওকর্মী বলেন, ‘রাস্তায় ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। লোকজনও কম। ভয়ভীতি পাওয়ার মতো কিছু নেই। বিষয়টি হচ্ছে আমরা পরিস্থিতিকে কিভাবে নিচ্ছি। তবে আশা করছি মেলায় দর্শনার্থী আগামীকাল থেকে ভিড়া শুরু করবে।’ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ড. হাফসা আক্তার বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমার কাছে স্বাভাবিকই মনে হচ্ছে। মেলার পরিবেশও ভালো।’ এদিকে সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল মেলা বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে। মেলায় এদিন নতুন বই এসেছে ৬৪টি এবং প্রথম সপ্তাহে (১-৭) বাংলা একাডেমির নিজস্ব স্টলে বিক্রির পরিমাণ ২১ লাখ ৩ হাজার ২৬৪ টাকা।