ঢাকা, ১৮ মে ২০২৪, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

উপজেলা নির্বাচন

হাতিবান্ধায় নির্বাচনী সহিংসতায় চেয়ারম্যান নারী প্রার্থীসহ আহত ২২

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
৫ মে ২০২৪, রবিবার

লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় গত শুক্রবার গভীর রাতে হাতিবান্ধা মেডিকেল চত্বরে নির্বাচনী সংঘর্ষ হয়। দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মুখোমুখি সংঘর্ষে  চেয়ারম্যান পদে নারী প্রার্র্থী, সাংবাদিক, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২২ জন আহত হয়। কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। 
জানা গেছে, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়্যারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী অংশ নেয়। আগামী ৮ই মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে তত বাড়ছে নির্বাচনী সহিংসতা। দেশীয় অস্ত্র, রামদা, কুড়াল, রড লাঠিসোটার প্রদশন করছে প্রার্থীর লোকজন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কাপ পিরিচ মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত আলী বাচ্চুর সমর্থকরা হ্যান্ড মাইকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেত্রী আনারস মার্কার নারী প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা গালিগালাজ করে বক্তব্য দেয়। এতে সীমার লোকজন বাধা দেয়। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে সীমা সমর্থক নিয়ে হাতিবান্ধা হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে লাঠিসোটা, রড, ছোড়া, বল্লম, রামদা নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি লিয়াকত আলী বাচ্চুর লোকজন সীমাসহ তার সমর্থকদের ওপর হামলা করে।

বিজ্ঞাপন
সীমার লোকজন পাশে হাসপাতালের ক্যাম্পাসে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলা করে। হামলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা, তার স্বামী পাটিকাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়া লীগ নেতা শাহাদত আহত হয়। আহত হয় সাংবাদিক হাসানসহ আরও ২২জন। আহতরা হাতিবান্ধা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন। পরে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাদের রংপুর মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে অনেক পরে পুলিশ এসে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। 
হাতিবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওদিকে আনারস প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা অভিযোগ করেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রচার-প্রচারণা চালানোর সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী লিয়াকত আলীর বাচ্চুর লোকজন দেশীও অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। 
লিয়াকত আলী বাচ্চু এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানান, সীমার লোকজন হামলা করে। আমার সমর্থকদের কোনো দোষ ছিল না। পাটিকা পাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদত হোসেন জানান, প্রশাসন নিরপেক্ষ না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। হাতিবান্ধা উপজেলা নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকতা মো. নাজমুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী প্রচারণার সময় সহিংসতার ঘটনায় অভিযোগ দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাতিবান্ধা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দিনের পর দিন যেভাবে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে তাতে নির্বাচনের দিনে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না বলে জানান সাধারণ ভোটাররা।
 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status