ঢাকা, ১৮ মে ২০২৪, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোটি টাকার গাছ ২৬ লাখে বিক্রি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
৫ মে ২০২৪, রবিবার
mzamin

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়কের দু’ধারে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের লাগানো বিশাল আকারের ২৫৮টি গাছ নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে। গাছগুলো নিজেদের দাবি করে, কাটা বন্ধ রাখতে জেলা পরিষদকে চিঠি দেয় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিএমডিএ। এ নিয়ে জেলা পরিষদ ও বিএমডিএ’র মধ্যে চিঠি চালাচালি চলছে। ২৬ লাখে বিক্রি করা এ গাছগুলোর মূল্য কোটি টাকার মতো। এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে বিপুলসংখ্যক গাছ কেটে ফেলার সমালোচনা করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, নির্বিচারে গাছ কাটার কারণেই প্রকৃতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। গাছপালা কমে যাওয়ার কারণেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। সড়কের ধারে গাছগুলো ছিল চোখের সৌন্দর্য। ছায়াতলে মানুষ বিশ্রাম নিতো। আরামে চলাচল করতো পথচারীরা।

বিজ্ঞাপন
রাস্তার দু’পাশে শিমুল, কড়ই, শিশুসহ নানা প্রজাতির শত শত গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কিছুদিন আগেও ছায়াঘেরা আমনুরা বাজারটি এখন খাঁ খাঁ করছে। কাটা গাছের গুঁড়ি পড়ে আছে সড়কের দুই পাশে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা-কেন্দুল সড়কের দু’ধারের ২৫৮টি গাছ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে জেলা পরিষদ। প্রায় ২৬ লাখ টাকায় এসব গাছ বিক্রি করা হয়েছে। যদিও ৩০-৩৫ বছর বয়সী এসব গাছের মূল্য আরও অনেক বেশি। যার মূল্য কোটি টাকার মতো। তবে বাস্তবে এর কয়েক গুণ বেশি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি সড়কের একপাশে মাত্র ২৫০ মিটারের একটি ড্রেন নির্মাণ করা হবে। এজন্য সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এই অংশের গাছগুলো কেটে নিতে জেলা পরিষদকে অনুরোধ করেছিল। সেই সুযোগে জেলা পরিষদ সড়কের দুই পাশের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকার গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। ঠিকাদারের লোকজন এসব গাছ কাটছে।
বিএমডিএ চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আল মামুন রশীদ বলেন, ১৯৮৯-৯০ সালে সড়কের ধারে গাছগুলো রোপণ করে বিএমডিএ। কিন্তু তাদের না জানিয়েই ওই গাছ বিক্রি করে দেয় জেলা পরিষদ। এরইমধ্যে কেটে ফেলা হয়েছে শতাধিক গাছ। তা বন্ধে জেলা পরিষদকে চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু চিঠি উপেক্ষা করেই চলে গাছ কাটা। এমনকি বিএমডিএ’র সঙ্গে ২০২১ সালে সম্পাদিত চুক্তি মানতেও নারাজ জেলা পরিষদ। ওই চুক্তিতে ভূমির মালিক জেলা পরিষদ হলেও গাছের মালিক বিএমডিএ এবং গাছের হিস্যা উল্লেখ রয়েছে। জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন বলেন, ভূমি মালিক যেহেতু জেলা পরিষদ, তাই গাছের মালিকও তারা। নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রায় ২৬ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে গাছগুলো। তবে বিএমডিএ গাছের মালিকানার যথাযথ প্রমাণ দিতে পারলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status