বাংলারজমিন
পাকুন্দিয়ায় এমপি’র বিরুদ্ধে উপজেলার ভোটে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ
আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ থেকে
৪ মে ২০২৪, শনিবারআগামী ৮ই মে অনুষ্ঠেয় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংস্দ সদস্য এডভোকেট মো. সোহ্রাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে এলাকায় অবস্থান করে একজন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা এবং ভোটারদের প্রভাবিত ও চাপ প্রয়োগ করার অভিযোগ ওঠেছে। নির্বাচনে এমপি’র এই অবৈধ হস্তক্ষেপের প্রতিকার চেয়ে কৈ মাছ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ মো. মকবুল হোসেন রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগটি জমা দেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে সংস্দ সদস্য এডভোকেট মো. সোহ্রাব উদ্দিন দাবি করেছেন, তিনি এলাকাতেই নেই, তাই এ অভিযোগ অমূলক। রিটার্নিং অফিসারের কাছে দেওয়া অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ¦ মো. মকবুল হোসেন উল্লেখ করেছেন, তার নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য এডভোকেট সোহ্রাব উদ্দিন এলাকায় অবস্থান করে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন এবং ভোটারদেরকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত ও চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছেন। এমপি’র এ কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ¦ মো. মকবুল হোসেন। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার বিকালে মুঠোফোনে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এডভোকেট মো. সোহ্রাব উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ঢাকাতে আছি, এই সময়ে এলাকায় যাচ্ছি না। গত সপ্তাহে গিয়ে কটিয়াদী একটি প্রোগ্রাম করে দিনেই এসে পড়েছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি অভিযোগ।
এ ব্যাপারে জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা মো. আতাউল্লাহ্ সিদ্দিক মাসুদ বলেন, এমদাদুল হক জুটনের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে কোন রকম সংশ্লিষ্টতা কোন কালেও ছিল না, তিনি বিএনপির লোক। চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দলের অনেক যোগ্য লোক থাকার পরও সংসদ সদস্য এডভোকেট সোহ্রাব উদ্দিন নির্বাচনে জুটনকে প্রার্থী করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছেন। এ পরিস্থিতিতে তৃণমূল আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অধিকাংশ নেতাকর্মী রফিকুল ইসলাম রেনু’র সঙ্গে রয়েছেন উল্লেখ করে আতাউল্লাহ্ সিদ্দিক মাসুদ বলেন, পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগকে রক্ষার স্বার্থে রফিকুল ইসলাম রেনু’র পক্ষে আমরা নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, চার প্রার্থীকে ঘিরে বিভক্ত আওয়ামী লীগের ভোটের লড়াইয়ে সংসদ সদস্য সোহ্রাব উদ্দিনের একটি পক্ষ নেয়ার বিষয়টি এতটাই স্পষ্ট যে, তার ভাবমূর্তি রক্ষা করাই এখন এমপি অনুসারীদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।